খালেদা পাকিস্তানের গুপ্তচরঃ হানিফ by মফিজুল সাদিক

বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া পাকিস্তানি এজেন্ট ও গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
সোমবার সন্ধ্যায় ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) উপজেলা নেতাদের জাতীয় সম্মেলন ও ৩৭তম কাউন্সিলের শেষ অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ আরো বলেন,  ‘‘বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর জন্য খালেদাকে অর্থ দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। নানাভাবে পাকিস্তান খালেদা জিয়াকে সাহায্য করছে। খালেদা আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া। কারণ, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীর সহচর।’’

‘‘বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা এক হয়ে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।’’

সরকারের ঘরে যুদ্ধাপরাধী আছে খালেদা জিয়ার  এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘‘খালেদা কাকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলেছে আমার জানা নেই। তবে  যুদ্ধাপরাধীরা যেখানেই থাকুক না কেন, বিচার হবেই।’’

হানিফ আরো বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন। খালেদার জ্ঞান সম্পর্কে আমার জানা আছে। কারণ, তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস। মাঝে মধ্যে তিনি ভুল তথ্য দেন।’’

‘‘তবে খালেদা জিয়ার আশেপাশে যেসব উপদেষ্টারা থাকেন, তারা যেন খালেদা জিয়াকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন।’’

হানিফ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। খাদ্য ও বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে টকশোতে যেসব ব্যক্তি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।’’

‘‘বিদ্যুৎ ধান ও গম নয় যে, বাইরে থেকে আমদানি করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলাম। এটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া’’ বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, একটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতে হলে ২ থেকে ৩ বছর অপেক্ষা করা লাগে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেন, ‘‘পদ্মাসেতু শেখ হাসিনা যদি না করতে পারেন, তবে খালেদাও করতে পারবেন না। পদ্মাসেতু যদি হয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সারা দেশে যতো বড়ো বড়ো সেতু হয়েছে সব বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হতে হয়েছে।’’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার শান্তির মডেল জাতিসংঘ অনুমোদন করেছে। এতে করে আমরা গর্বিত।’’

এ সময় মন্ত্রী বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।

আইডিইবি’র কাউন্সিল হলে আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে আরো বক্তব্য রাখেন  স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান প্রমুখ ।

No comments

Powered by Blogger.