প্রাণের গভীরে- নিষিদ্ধ মন

তোমার মনের সীমানায় ছিল না কোন প্রহরী তুমি একাই শাসন করতে সেই মন। যেখানে প্রবেশ ছিল এক প্রকার নিষিদ্ধ সেই নিষিদ্ধ মনের দেয়াল টপকে ভুলক্রমে ঢুকে পড়েছিলাম আমি। ভুলক্রমে নয় ঠিকÑ কারণ আমি জেনেছিলাম ভালবাসা ছাড়া জীবন বাঁচে না।
এই আবেগী বাণী আমাকে তোমার দুর্ভেদ্য ঐ জায়গাটিকে ভেদ করার দূরন্ত সাহস জুগিয়েছিল। সে সাহসের অপ্রতিরোধ্যতায় আমি ভুলে গিয়েছিলাম তোমার স্বৈরাচারিতার কথা। আমি ভুল করেছি আমার হিসেব মেলাতে। কিন্তু তুমি ভুল করোনি। তোমার ভেতরের সেই হিংস্রতার প্রকাশ ঘটাতে। চির সবুজ হাস্যোজ্জ্বল একটা মনে হেসে হেসে তীর ছুড়ে রক্ত ঝরালে অবিরাম। আর তোমার হাসি থাকল সদা অম্লান। তবুও এই আমি কান্না, হাসি ভোলা এক নিষ্প্রাণ পাথরের মূর্তি হয়ে দাড়িয়ে আছি তোমার নিষিদ্ধ মনের প্রান্তে। থাকব চিরদিন, অনন্তকাল।
মোস্তাসিম
০১৭২২৭২৫০৮৮

সেই মেয়ে এবং...
দিন যায় দিন আসে, দিন দিনে অনেক স্মৃতিই মানুষের জীবনে অক্ষয় অমলিন হয়ে ভাসতে থাকে। তেমন এক স্মৃতি আমার জীবন। কালের বিবর্তনের সঙ্গে মানুষের সাথে মানুষের অনেক সম্পর্ক হয়, তেমনি সম্পর্কে সম্পর্কিত হলাম স্বামীহারা এক রাজকুমারীর সাথে। যতই দিন যাচ্ছিল, ততই গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগল আমাদের বন্ধন। কিন্তু নিয়তি সেই বন্ধনকে স্থায়ী হতে দেয়নি, ১-২ করে যখন চারটি বছর বন্ধুত্বের সম্পর্ক কাটালাম তখনই বাদ সাধল নিয়তি। সে বিয়ের পিঁড়িতে পা রাখল আবার। হারিয়েছি তোমায়। আর আমি হয়ে গেলাম একা, ভীষণ একা। এই পাওয়ায় আমার পূর্ণতা নেই। তুমি হয়ত বা ভুলে গেছ আমাকে। বন্ধু আমি আজও ভুলিনি। ভুলিনি তোমাকে, নীরব আগুনে পুড়ি নির্জনে অশ্রু ফেলি। এর জন্য শূন্য হৃদয় নিয়ে কোন এক রাজকুমারীর পথ চেয়ে থাকি, রঙিন স্বপ্ন নিয়ে নীরবে।
প্রিন্স
০১৯১২৭৮৩৪৩৯

বিশ্বাস
তুমি কাছে নেই বলে আজ আমার মনের খাঁচা শূন্য হয়ে পড়ে আছে, আর আমি তোমাকে কাছে না পাওয়ার ব্যথা নিয়ে দুঃখের বারতা গুনছি। বিশ্বাস, তোমার কাছে থেকে পাওয়া ভালবাসা নামের বীজটা থেকে আমার জীবনে ভালবাসা বিস্তৃতি ঘটেছে। তুমি আছ আমার প্রতিটি বিশ্বাসে, নিঃশ্বাসে, তুমি মিশে আছ আমার অনুভবে। নীল আকাশের দিকে যখন তাকাই মনে হয়, মনের অকাশের বুকে তোমার ছবি ভেসে আছে, তোমাকে পাওয়ার আকুতি আমার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার করেছে। হয়ত তুমি বুঝতে পারছ না তোমাকে কতটুকু ভালবাসি। কারণ অবিশ্বাসের দেয়াল এখন তোমার মাঝে তোমার জন্য হৃদয়ের দরজা খোলা থাকবে ...

আমি কাঁদি
আমার কষ্টটা যার হৃদয় স্পর্শ করত ক্ষয়ে গেছে ধবল কাশবনের মতো বয়সের ভারে যেমন যায় ধীরে ধীরে মেষ পালকের মতো হাঁটতে হাঁটতে চলে গেছে বহু দূরে, ঘাসের বুকে পৌষের ঝরা শিশির তার হিসাব বা জলছাপা চিহ্ন রাখেনি সে হেঁটে গেছে নীরবে অমাবস্যা রাতে জোনাকির কান্না প্রতীকের মতো থামে নিত সে, কেবলই পথ চলেছে, পথের সন্ধান ছেড়ে চলেছে আমায়, আমি কেঁদেছি বহুবার আকাশের কান্নার মতো আষাঢ় মাসের মেঘ ঢল নামে অর্ধ অনাহারি প্রার্থনার বাণী, ফেরাতে পারেনিকো তাকে সে দ্বীন-অনাথের মতো চলেছে আমায় করে গেছে দান সব কষ্টের।
রানা
০১৮১৯৫১২৬২০

একাকিত্বের মাঝে
মনটা হঠাৎ ঝুঁকে পড়েছে। একাকিত্বের স্বাদ গ্রহণে, নিঃসঙ্গতার বিষাদ মাখতে বড় আকুল এ মন। বন্ধুদের ঠেলে দিচ্ছি দূরে, যোগাযোগের একক প্রচেষ্টায় এখন অনেকে ক্লান্ত বিরক্ত। হয়ত কেউ মনে করে আবার কেই নয়। কিন্তু আজও আমি বিশাল একাকিত্বের মাঝে খুঁজে ফিরি পুরনো বন্ধুদের। রাতের ধ্রুবতারার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় পুরনো স্মৃতির মাঝে বিলীন হয়ে যাই। আনমনে স্মরণে আসে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া মিশ্র ঘটনা। জানালার ফাঁক গলে হঠাৎ আসা উষ্ণ হাওয়ায় অনুভব করি তাদের আলিঙ্গন। আনমনতার এক পর্যায়ে কর্ণকুহরে ধ্বনিত হয় চিরচেনা প্রিয় সেই কণ্ঠস্বর। নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই। আমার এক স্তরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। অনেকের অনেক অভিমান আমার ওপর। কেউ হয়ত উৎসুক ভরা দৃষ্টি মেলে চেয়ে থাকে পথ পানে আমার আশায় ... আজও। আবার হয়ত কারও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছি ... একটা ঝরা পাতার মতো মিশে গেছি- অস্তিত্ব বিলীন করে ...।
পাবেল
০১৭১৭৩৬৮৮৯২

No comments

Powered by Blogger.