সওজের ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের দরপত্র হবে অনলাইনে

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের দরপত্র অনলাইনে আহ্বান এবং তা জমা (ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি) দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
সওজের গোপালগঞ্জ জোনের অধীনে ৫০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিভিন্ন কাজের দরপত্র অনলাইনে আহ্বান করা এবং তা দাখিলের পর গতকাল সোমবার সেগুলোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল এসব কাজের কার্যাদেশ অনুমোদন করেন।
কার্যাদেশ দেওয়া তিনটি কাজ হচ্ছে: ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের মেরামত, ২৩ কোটি টাকার মোস্তফাপুর-মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক মেরামত এবং সাড়ে ১৬ কোটি টাকার দৌলতদিয়া-ফরিদপুর-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মংলা সড়কের ফরিদপুর অংশের মেরামত।
সওজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরে সওজের অধীনে ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন কাজের দরপত্র অনলাইনে আহ্বান ও জমা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল থেকে বড় ধরনের কাজের দরপত্রও অনলাইনে সম্পন্ন করা শুরু হয়েছে। ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের দরপত্র যোগাযোগমন্ত্রী অনুমোদন করতে পারেন। এর বেশি হলে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। এখন থেকে সওজের ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত সব দরপত্র অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে।
কার্যাদেশ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দরপত্রপ্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতি ও অপকর্ম মুক্ত করার জন্য ‘ই-টেন্ডারিং’ (অনলাইন) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে দরপত্র জমা দেওয়া ও মূল্যায়নে গতিশীলতার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, অনলাইনে দরপত্র-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি পরিচিতি নম্বর (আইডি) ও পাসওয়ার্ড থাকে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া অংশগ্রহণকারী সবাই দেখতে পারেন। তাই এখানে কোনোভাবেই অনিয়ম করা সম্ভব হবে না।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সওজ এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীন অনলাইন পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান ও তা দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ঠিকাদারকে নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে সরকারের কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটে (সিপিটিউ)। সেখান থেকে ঠিকাদারদের একটি পরিচয় নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.