পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরও নিয়োগপত্র দিতে গড়িমসি



সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা পরিষদে ‘সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পরও আরিফুর রহমান নামের এক প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে আরিফুর রহমান জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কাজীপুর উপজেলা পরিষদে ‘চালক’ ও ‘সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে একজন করে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চলতি বছরের ১১ অক্টোবর আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ওই নিয়োগ বোর্ডের প্রধান তৎকালীন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাইফুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পরীক্ষায় সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে সর্বোচ্চ ৬১ নম্বর পেয়ে আরিফুর রহমান প্রথম হন; এবং চালক পদে আবদুল হামিদ নামের এক প্রার্থী প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরে ওই দুই প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করে সুপারিশসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজামেঞ্চল হক গত ১৪ অক্টোবর শুধু আবদুল হামিদকে চালক পদে নিয়োগপত্র প্রদান করেন। কিন্তু তিনি আরিফুর রহমানের নিয়োগপত্র আটকে রাখেন।
আরিফুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি নিয়োগপত্র দেননি। পরে আরিফুর রহমান জানতে পারেন, কোনো কিছুর বিনিময়ে তাঁর পরিবর্তে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের তৎপরতা চলছে। এরপর তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজামেঞ্চল হক বলেন, ‘কিছু সমস্যার কারণে নিয়োগপত্র ইস্যু করা বন্ধ রাখা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

No comments

Powered by Blogger.