কালের কণ্ঠ অনুসন্ধান-রোগীর খাবারে কালো থাবা-তিন হাসপাতালের ঠিকাদারি ২২ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তার কবজায় by হায়দার আলী

ঢাকার শেরে বাংলানগর এলাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিচতলায় গত ৮ অক্টোবর সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢুকতেই দেখা যায়, ট্রলিতে করে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের স্টাফ আবদুর রশিদ ও বিউটি আক্তার। তাঁরা ঢোকেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে।


খাবারগুলো হাসপাতালের বেডের একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা। ওয়ার্ডের ২৮ নম্বর বেডের রোগী দ্বীন ইসলাম খাবারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, 'দেখুন ভাই, এভাবে ময়লা কাপড় দিয়ে ঢেকে খাবার আনে। এই খাবার খেলে তো পেটের অসুখ হবে, আরো অসুস্থ হয়ে যাব। এই অবস্থা দেখে হাসপাতালের খাবার এক দিনও আমার পেটে যায়নি।' একই ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর বেডের রোগী সাবের হোসেন বলেন, 'যে খাবার এখানে দেওয়া হয়, তা খাওয়া যায় না। যাদের অবস্থা খুবই খারাপ, বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই, তারাই বাধ্য হয়ে খায়।' পাশে বসা তাঁর স্ত্রী ফয়জুন্নেসা খাতুন বলেন, 'পাঙ্গাশ মাছ রোগী খায় না, সেই মাছের তরকারি দেয়।'
২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডের রোগী মো. রাজু আহামেদ ২১ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। রাজু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ডাল তো না যেন হাত ধোয়ার পানি!' রাজুর ভাবি নার্গিস আক্তার বলেন, রোগীদের ভাত-তরকারির বিকল্প রুটি-দুধ-ডিম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দেওয়া হয় না।
রোগীর খাবার নিয়ে একই রকম চিত্র দেখা গেল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেও (পঙ্গু হাসপাতাল)। এই তিনটি সরকারি হাসপাতালেই রোগীর বিনা মূল্যের খাবার নিয়ে বহুদিন থেকে চলছে এ রকম অরাজকতা। কেন এই অবস্থা?
কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো নেপথ্যের কারণ। বেশ কিছুদিন ধরে ওই তিন হাসপাতালে সরেজমিনে তত্ত্ব-তালাশ করে পাওয়া গেল এক 'অবিশ্বাস্য' ঘটনা। জানা গেল, বড় এই তিনটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিনা মূল্যের সরকারি খাবার সরবরাহের ঠিকাদারি
গত ২২ বছর ধরে কবজা করে রেখেছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর দাপটের মুখে অন্য কোনো ঠিকাদার টেন্ডারের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেন না। খাবারের মান নিয়ে কেউ টুঁ শব্দ করার সাহস দেখায় না। পারিবারিক দাপটেই তিনি তাঁর মর্জিমাফিক খাবার সরবরাহ করে চলেছেন হাসপাতালে। এই কর্মকর্তা কাম ঠিকাদারের নাম কাজী জাহিদ হোসেন তারিফ।
সরকারি কর্মকর্তা যখন ঠিকাদার : খোঁজ করে জানা গেল, কাজী জাহিদ হোসেন তারিফ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। আর সরকারি কর্মকর্তা বলেই তিনি নিজের নামে কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স বা প্রতিষ্ঠান করেননি; করেছেন অন্যের নামে। তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম 'কাজী এন্টারপ্রাইজ'। এটির লাইসেন্স কাজী তারিফের মায়ের নামে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরো তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রভি এন্টারপ্রাইজ, ওরিয়েন ফুড এবং সুজন এন্টারপ্রাইজও কাজী তারিফের হয়েই কাজ করে। ঘুরেফিরে ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ওই হাসপাতালগুলোর ঠিকাদারি কাজ করে যাচ্ছেন কাজী তারিফ। এই কৌশল এবং নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে সরকার বদল হলেও বদল হয় না ঠিকাদার। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিটি সরকারের আমলেই ওই তিন হাসপাতালে টানা খাবার সরবরাহের কাজ করছেন তিনি।
সরকারি কর্মচারীরা অন্য কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতে পারেন না। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, 'কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হইতে অথবা অন্য কোন চাকুরি বা কার্য গ্রহণ করিতে পারিবেন না।'
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কাজী তারিফ কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'অফিস সময়ে আমি ঠিকাদারি করি না। অফিসের ডিউটি শেষ হলেই সেখানে যাই। প্রতিষ্ঠান আমার ছোট ভাই চালায়।'
অন্যের নামে লাইসেন্স দিয়ে ২২ বছর ধরে কাজী তারিফ কিভাবে ঠিকাদারি করে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ক্ষমতা থাকলে সবই সম্ভব। সব সরকারের আমলেই তাদের এই ক্ষমতা বহাল থাকে। তিনি বলেন, এই ঠিকাদার সিন্ডিকেটের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কেউ এখানে কাজ নিতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে কথা বলে জানা যায়, এই কাজী তারিফ হলেন ঢাকার পশ্চিমাংশে আশি থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত ঢাকার শেরে বাংলানগর-মোহাম্মদপুর-তেজগাঁও এলাকার দাপুটে ঠিকাদার কাজী জরিফের বড় ভাই। তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতাও ছিলেন জরিফ। তিনিও তখন এই তিনটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহের ঠিকদারি করতেন। তবে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ওই সময় দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ ও প্রকাশের সঙ্গে তাঁর ছিল চরম বিরোধ। ১৯৯৪ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বারান্দায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কাজী জরিফকে গুলি করে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর পর বড় ভাই তারিফ সরকারি চাকরির পাশাপাশি এই ঠিকাদারি কবজা করেন। তাঁর আরেক ছোট ভাই কাজী কবিরও বড় ভাইকে সহযোগিতা করে আসছেন। এলাকাবাসী জানায়, কবিরের কারণেই বড় ভাই তারিফ নিরাপদে ঠিকাদারি করে যাচ্ছেন।
ঠিকাদারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নুর ইসলাম ও রাসেল হাসপাতালগুলোয় নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'তারিফ মামা হাসপাতালে খাবারের মান ধরে রেখেছেন এবং কম রেট দিয়েই তিনি কাজ পাচ্ছেন। অন্যরা তাঁর চেয়ে কম রেট দিতে পারে না বলে কাজ পায় না।' খাবারের মান প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, যখন খাবার সরবরাহের দরপত্র পেয়েছেন, তখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম ছিল এক রকম। কয়েক মাসের ব্যবধানে তা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোগীদের খাবার সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তাকেও কমিশন দিতে হয়। সবাইকে ম্যানেজ করে রোগীদের খাবার দিয়ে ঠিকাদারের পকেটে লাভের টাকা যায় না বললেই চলে।
ঢাকায় হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহ করে থাকেন, এমন কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই তিন সরকারি হাসপাতালের দরপত্রে অংশ নেওয়ার চিন্তাও কখনো তাঁদের মাথায় আসে না। সেগুলোতে কাজী তারিফেরাই ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অন্য কোনো ঠিকাদার গিয়ে সেখানে কাজও করতে পারবেন না। ওখানকার সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।
তবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাজী এন্টারপ্রাইজ আমাদের হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে খাবার সরবরাহ করে আসছে। অন্য ঠিকাদারদের তুলনায় দর কম দিয়ে তারা কাজ পেয়েছে। রোগীদের খাবারের মানও ঠিক রাখতে চেষ্টা করছে।' একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কাজী তারিফ কিভাবে এখানে ঠিকাদারি করছেন, প্রশ্ন করা হলে তিনি এর কোনো জবাব দিতে রাজি হননি।
কাজী তারিফের কর্মস্থল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে তাঁর সহকর্মীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, 'তারিফ একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বছরের পর বছর ঠিকাদারি করে যাচ্ছেন। বিষয়টা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তাঁকে কিছু বলারও যেন কেউ নেই।'
জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কাগজে-কলমে রোগীদের জন্য বেড রয়েছে ৬৬৬টি, গড়ে সাড়ে ৫০০ রোগী থাকে প্রতিদিন। হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বেড রয়েছে ৪৪০টি, গড়ে প্রতিদিন রোগী থাকে সাড়ে ৭০০। আর পঙ্গু হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৫০০, রোগী থাকে গড়ে ৬০০। তিনটি হাসপাতালেরই দরপত্র অনুযায়ী রোগীপিছু প্রতিদিন বিকেলের নাশতা চা-বিস্কুটসহ চার বেলা খাবারের জন্য সরকারি বরাদ্দ ৭৫ টাকা করে।
সরেজমিন রান্নাঘর : সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রোগীদের জন্য তৈরি হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের বাইরে টিনশেডের ঘর। পাকিস্তান আমলে নির্মিত এই ঘরেই চলে হাসপাতালের রোগীদের সব রান্নাবান্নার কাজ। গত ৬ অক্টোবর দুপুর পৌনে ১টার দিকে সেখানে ঢুকেই দেখা যায়, মেঝে কুচকুচে কালো, ময়লা আটকে আছে। চুলার পশ্চিম পাশের দেয়ালগুলোয় ময়লার স্তূপ জমে আছে। টিনশেডের চালে স্থানে স্থানে ফুটো; বৃষ্টি এলে পানি পড়ে বলে জানা যায়। মাকড়সার জাল ঝুলে আছে চারপাশে।
পাশের স্টোররুমের ভেতরেও স্যাঁতসেঁতে অবস্থা। এ বিষয়ে বাবুর্চির কয়েকজন সহকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, '৫০ বছর আগে রান্নাঘরটি তৈরি হলেও মেরামত করে না কর্তৃপক্ষ। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই আমাদের রান্নাবান্নার কাজ করতে হচ্ছে।'
রান্নাঘরে দেখা গেল, চুলার এক পাশে ডাল রাঁধছেন বাবুর্চির সহকারী মো. রুবেল। রুবেল বলেন, 'আমি ছোটবেলা থেকেই কাজী তারিফ মামার এখানে কাজ করছি। তিনি সোহরাওয়ার্দী, হৃদরোগ এবং পঙ্গু হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহ করেন। এসব খাবার রান্নার কাজ করেন বাবুর্চি জাহাঙ্গীর মিয়া, জাকির হোসেন, আবদুর রশিদ চুন্নু ও মীর জাফর।' যেসব রোগী হাসপাতালের খাবার খায় না, তাদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে রুবেল বলেন, যারা ভাত-তরকারি খেতে পারে না, দুপুরের খাবার নেয় না, তাদের জন্য ৩ নম্বর ডায়েটের ব্যবস্থা আছে। আস্ত একটি পাউরুটির সঙ্গে দুটি কলা, একটি ডিম আর এক গ্লাস দুধ সরবরাহ করা হয় বলে দাবি করেন রুবেল।
কিন্তু হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের প্রায় অর্ধেক রোগী দুপুর এবং রাতের খাবার নেয় না। তারা বাইরে থেকে কিনে এনে খায়। দুপুরে যারা ভাত-তরকারি খায় না, তাদের জন্য হাসপাতাল থেকে বিকল্প খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। কাজী তারিফের হয়ে খাবার সরবরাহের কাজ করেন নুর ইসলাম। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, সপ্তাহের তিন দিন পাঙ্গাস মাছ, দুই দিন গ্রাসকার্প এবং দুই দিন রুই মাছ দেওয়া হয় রোগীদের। রাতের বেলায় দুই দিন মুরগি ও মাছ দেওয়া হয়। খারাপ কোনো খাবার এখানে দেওয়া হয় না। ঠিকাদার ভালো খাবার সরবরাহ করেন বলেই প্রতিবছর হাসপাতালের কাজ পেয়ে থাকেন। মাছ কোথায় রাখা হয় জানতে চাইলে নুর ইসলাম এ প্রতিবেদককে নিয়ে যান স্টোররুমে। দেখা যায়, একপাশে আলু, সবজি স্তূপ করে রাখা। পাশের ফ্রিজ থেকে পাঙ্গাস ও গ্রাসকার্প মাছ দেখিয়ে তিনি বলেন, 'রুই মাছের চেয়ে মজাদার মাছ এই গ্রাসকার্প ও পাঙ্গাস। রোগীদের ভালো খাবার দেওয়ার ব্যাপারে তারিফ মামার কড়া নির্দেশ রয়েছে।'
ফ্রিজে দেখা যায় প্লাস্টিকের তিনটি বস্তা। সেগুলোর মুখ খুলতেই দেখা যায় পাঙ্গাস আর গ্রাসকার্প। তিন থেকে চার মণের মতো পাঙ্গাস-গ্রাসকার্প থাকলেও চোখে পড়েনি একটিও রুই মাছ। ফ্রিজের অন্য পাশে বরফে জমে আছে ব্রয়লার মুরগি। গ্রাসকার্পগুলো এত নরম কেন জানতে চাইলে রুবেল বলেন, 'মাছ দূর থেকে আনতে কিছুটা তো নরম হবেই। তবে দেখেন, পাঙ্গাস কেমন তাজা!' রুই মাছ নেই কেন- এ প্রশ্নের জবাবে নুর ইসলাম বলেন, 'রুই কম আনা হয়, তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে। রুইয়ের চেয়ে গ্রাসকার্পই বেশি চলে।'
তবে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার কথা অস্বীকার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের স্টুয়ার্ড (রোগীদের খাবার তত্ত্বাবধানকারী) মিজানুর রহমান বলেন, 'রোগীদের খাবার প্রতিদিন ঠিকাদারদের কাছ থেকে বুঝে নিই। খারাপ কোনো জিনিস এখানে বুঝে নেওয়া হয় না। এখানে কাজী এন্টারপ্রাইজ, প্রভি এন্টারপ্রাইজসহ চারটি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহের কাজ করে থাকে।' যেসব রোগী ভাত-তরকারি খায় না, তাদের জন্য বিকল্প খাবার দেওয়া হচ্ছে না- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, 'গড়ে সব রোগীর জন্য খাবার তৈরি করা হয়। অনেক রোগী নিজে না খেলেও অন্য রোগীর জন্য খাবার রেখে দেয়। বিকল্প খাবার শুধু তাদের জন্য দেওয়া হয়, যে রোগীরা ডাক্তারের কাছে বলে- তারা ভাত-তরকারি খেতে পারে না। শুধু তাদের জন্য আমরা রুটি, ডিম, দুধ, কলার ব্যবস্থা করে থাকি। এ ছাড়া রান্না করা হয়ে গেলে সেটা আর ফেরত দেওয়ার বিধান নেই।'
স্টোর অফিসার দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাজী তারিফ সাহেবই মূলত রোগীদের খাবারের অভিভাবক হিসেবে আছেন। তার লোকজনই ওই সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ দেখাশোনা করে থাকে। তবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে, বেশি দামে কিনে হলেও এখন তাদের খাবার সরবরাহ করতে হচ্ছে।'
ঠিকাদার বললেন

No comments

Powered by Blogger.