শিবিরের তাণ্ডব, চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্রসহ আটক ৪১

চট্টগ্রাম শহরে আজ রোববার সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা আকস্মিকভাবে তাণ্ডব চালিয়েছেন। এ সময় তাঁরা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। তাঁদের হামলায় দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ৪১ জনকে আটক করেছে। তিনজনকে প্রবর্তক মোড় এবং বাকি ৩৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশ থেকে আটক করা হয়।


এদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ষোলশহরের ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। সেখানে উপপরিদর্শক (এসআই) বশিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ একটি পিকআপ ভ্যানে বসে ছিলেন। মিছিল থেকে নেতা-কর্মীরা হঠাত্ পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং তাঁদের মারধর করেন। এ সময় পুলিশের পিকআপ ভ্যানটিসহ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এরপর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নগরের নাসিরাবাদে যান। সেখান থেকে তাঁরা প্রবর্তক মোড়-চকবাজার হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের দিকে গিয়ে মিলিয়ে যান। এই পথে তাঁরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
দুই পুলিশসহ তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিত্সাধীন কনস্টেবল নুরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, তাঁর কাছ থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ২০টি গুলি ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রবর্তক মোড় থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি-উত্তর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। শিবিরের কর্মীরা এখান থেকেই পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল ছিল পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.