শুনানিতে পেট্রায়াস বললেন-স্বতঃস্ফূর্ত নয় বেনগাজিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে

লিবিয়ার মার্কিন কূটনৈতিক মিশনে হামলা প্রসঙ্গে গত শুক্রবার কংগ্রেসের শুনানিতে রিপাবলিকনদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রীতিমতো ঘাম ছুটে যায় সিআইএর সদ্য পদত্যাগকারী পরিচালক ডেভিড পেট্রায়াসের। তবে প্রশ্নকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি তিনি। ক্যাপিটল হিলে গত শুক্রবার কংগ্রেসের দুই কক্ষের গোয়েন্দা কমিটির দুটি শুনানিতে পেট্রায়াস বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় গত সেপ্টেম্বরে লিবিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিক নিহত হয়।


সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো যাতে সতর্ক হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই শুরুতে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত হামলার কথা বলা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
বিবাহবহির্ভূত প্রণয়ে জড়িয়ে গেল সপ্তাহে সিআইএ থেকে পদত্যাগের পর শুক্রবারই প্রথম জনসমক্ষে হাজির হন পেট্রায়াস। মিডিয়াকে এড়াতে সকালেই শুনানি কক্ষে ঢুকে যান তিনি। প্রস্থানও গোপনে। ফলে প্রশ্নোত্তরের ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত শুনানিতে উপস্থিত কমিটির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে পেট্রায়াসের বক্তব্য জানা গেছে।
প্রথমে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের গোয়েন্দা কমিটির সামনে শুনানির শুরুতে পেট্রায়াসকে তাঁর জীবনীকার পলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, বেনগাজির হামলার নয়, বরং এ সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার জন্যই তিনি সিআইএ থেকে পদত্যাগ করেন। পেট্রায়াস কমিটিকে জানান, হামলা হতে পারে_এমন আভাস সিআইএর কাছে ছিল। তবে তিনি এ-ও স্বীকার করেন, হামলার সময় কনস্যুলেটের নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢিলেঢালা ছিল। ফলে হামলাকারীরা খুব সহজে ভবনের ভেতরে ঢুকে যায়। পেট্রায়াস জানান, ইচ্ছাকৃতভাবেই স্বতঃস্ফূর্ত হামলার বিষয়টি প্রচার করা হয়। তবে এ প্রচারের সিদ্ধান্ত কার, তা তিনি জানেন না। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল_তা গোয়েন্দা স্বার্থেই, রাজনৈতিক কারণে নয়। হোয়াইট হাউস থেকে এ সিদ্ধান্ত আসেনি। ৯০ মিনিটের শুনানিতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুজান রাইসের প্রসঙ্গটিও চলে আসে। তিনি প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত হামলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। পেট্রায়াস জানান, সুজানের কাছে এ হামলার বিস্তারিত কোনো তথ্যই ছিল না। তাঁকে তথ্যগুলো সরবরাহ করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই গণমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.