র‌্যাবের অভিযান- বোটানিক অ্যারোমার কারখানা বন্ধ, মালিকসহ নয়জনের দণ্ড

ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে পারদসহ বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগে বোটানিক হারবাল কেয়ারের মালিক ও তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ছয়জন কর্মীকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘বোটানিক অ্যারোমা’ পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।


গতকাল শনিবার সকালে র‌্যাব-১-এর সহায়তায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ায় বোটানিক অ্যারোমার কারখানায় অভিযান শুরু করেন। র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বোটানিক অ্যারোমার মালিক আসাদুজ্জামান লিটন, তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার ও তত্ত্বাবধায়ক আখতার বেপারিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে র‌্যাব। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক এম এ হাসনাত-ই রাব্বি, মান ব্যবস্থাপক আবদুর রউফ, উৎপাদন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক, কর্মচারী অহিদুজ্জামান ও আবদুস সোবহানকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার পাশা বলেন, অভিযানের আগে র‌্যাব কয়েক মাসব্যাপী প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়েছে। বোটানিক অ্যারোমার চারটি পণ্য পরমাণু শক্তি কমিশনের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এগুলোতে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনওয়ান নামের একটি রাসায়নিক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা র‌্যাবকে বলেছেন, এসব রাসায়নিক খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের চামড়ায় সাদা ভাব আনতে পারলেও ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এসব রাসায়নিক বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ও প্রদাহের জন্যও দায়ী। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি ও পরিপাকতন্ত্রে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং অন্তঃসত্ত্বার সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত, এমনকি অবসাদ, উদ্বেগের মতো রোগের জন্ম দেয়।

No comments

Powered by Blogger.