আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেন অ্যাসাঞ্জ

হস্তান্তর ঠেকানোর আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেন উইকিলিকসের প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের একটি আদালত তাঁকে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে এ হস্তান্তর ঠেকানোর জন্য আবেদন করেছিলেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে খুব শিগগির উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।


স্পর্শকাতর নথি ফাঁস করে যুক্তরাষ্ট্রের রোষের মুখে পড়া অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দুই সুইডিশ নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন। সুইডেনের কেঁৗসুলিরা এ মামলায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। স্টকহোমের জারি করা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতেই ৭ ডিসেম্বর লন্ডন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন অ্যাসাঞ্জ। এর ৯ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে তিনি সুইডেনে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেন। অ্যাসাঞ্জ আদালতে যুক্তি দেন, সুইডেনে তিনি ন্যায়বিচার নাও পেতে পারেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ হস্তান্তর করার মতো গুরুতর নয়।
বেলমার্শ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাওয়ার্ড রিডল গতকাল অ্যাসাঞ্জের দাবি নাকচ করে তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। রায়ের সময় আদালতে অ্যাসাঞ্জকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় আদালতে তাঁর ব্রিটিশ শুভাকাঙ্ক্ষীরাও উপস্থিত ছিলেন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন, সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করা হলে দেশটি অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আড়াই লাখ গোপন নথি প্রকাশ করে ডিসেম্বরে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে উইকিলিকস। এ ঘটনায় বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র সরকার অ্যাসাঞ্জের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। গণমাধ্যমের দাবি, অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করার উপায় খতিয়ে দেখছে দেশটি। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.