আমিনুলের পরিবারে উদ্বেগ আর শঙ্কা

তিন ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ, এমনকি মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নিয়েও উদ্বেগে দিন কাটছে আমিনুলের স্ত্রী হোসনে আরা ফাহিমার। হোসনে আরা বলেন, যখন আমিনুল ছিলেন, তখন তিন ছেলেমেয়েই বাড়ির বাইরে থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। এখন মেয়ে সায়মা আক্তারকে বাড়ির কাছের একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন।


আর যমজ দুই ছেলে আবদুল কাইয়ুম ও আবদুল হাই আবাসিক মাদ্রাসায় পড়ে।
হোসনে আরা জানান, মৃত্যুর আগে কালিয়াকৈরের মৃধাপাড়ায় ইটের দেয়াল ও টিনের ছাদের বাড়িটি বিক্রি করে কাছেই জমি কিনেছিলেন আমিনুল। নতুন বাড়ি তৈরি না হওয়ায় তিনি ওই বাড়িতেই আছেন। আবার আমিনুলকে এ বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তিনি বাড়িটি ছেড়েও যেতে পারছেন না। এখন জমি বেচে বাড়ি রক্ষার চিন্তা করছেন।
হোসনে আরা বলেন, ‘এখন এই বাড়িতে তারে রাইখা আমরা কই যাব। ছেলেমেয়েগুলাও ছোট। চেষ্টা করতাছি বাড়িটা আবারও কিনে নেওয়ার জন্য।’
হোসনে আরা আরও বলেন, আমিনুল আশুলিয়া এলাকা থেকে রাত-বিরেতে বাড়িতে ফিরতেন। বিষয়টি তাঁদের কাছে স্বাভাবিক ছিল। আমিনুল শুধু ভয় পেতেন পুলিশকে। এর আগে এনএসআই তাঁকে একবার অপহরণ করেছিল। শিল্প পুলিশের সদস্যরাও তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর আমিনুল একদিন তাঁকে বলেছিলেন, ‘এরপর অপহরণ করলে তুমি আমার লাশও পাইবা না।’
হোসনে আরা বলেন, আমিনুলের বন্ধু হিসেবে মোস্তাফিজুরকে চিনতেন তিনি। একদিন আমিনুলের সঙ্গে শ্রমিকদের একটি সমাবেশে গিয়ে মোস্তাফিজুরের সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়েছিল। এ ছাড়া বাড়িতে বিভিন্ন সময় মোস্তাফিজুর সম্বন্ধে গল্প করেছিলেন আমিনুল। তবে কখনো মোস্তাফিজুর সম্বন্ধে খারাপ কিছু বলেননি আমিনুল। মোস্তাফিজুরকে সন্দেহ করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেডা কোন চাইল চালছে, এইডা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবে।’

No comments

Powered by Blogger.