রাস্তাঘাটের টাকা আত্মসাৎ হয়

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যদি তার শতকরা ৭০ ভাগও খরচ হতো, তাহলে এ দেশের রাস্তাঘাটের চেহারাই পাল্টে যেত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে রাস্তাঘাটের টাকা আত্মসাৎ হয়। ঠিকমতো কাজ হয় না। যেটুকু হয়, সেটার মান ভালো হয় না।’


আজ শনিবার সকালে টঙ্গী-নরসিংদী আঞ্চলিক সড়ক পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় যোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য শুধু বেপরোয়া চালকই দায়ী নয়, বেপরোয়া পথচারীরাও দায়ী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০ বছরের স্বভাব ২০ মাসে পাল্টানো যাবে না। এটা আমাদের বুঝতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে অর্থ বরাদ্দ একটি বিলম্বিত প্রক্রিয়া। অন্য কোনো দেশে বরাদ্দ এত বিলম্বিত হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জাতীয় মহাসড়ক থেকে অবৈধ গাড়ি দুই মাসের মধ্যে তুলে নেব। তবে এসব গাড়ি ফিডার সড়কে চলবে।’ যোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি গরিবের পেটে লাথি মারতে চাই না। এসব গাড়ির ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত এগুলো মহাসড়কে চলবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে যখন যানজট দেখি, মন্ত্রী হিসেবে আমি লজ্জা পাই। আর যানজটের মধ্যে যখন আমি নিজেই পড়ি, তখন মন্ত্রী হিসেবে আমার জন্য এটা বড় লজ্জার ব্যাপার।’ তিনি বলেন, ‘যানজটের কারণগুলো আমার সময় সৃষ্টি হয়নি। এটা অনেক দিনের সৃষ্টি। এগুলো নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সাংসদ মেহের আফরোজ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান, সড়ক ও জনপথের (সওজ) ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মফিজুল ইসলাম, ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.