জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা- চিঠি লিখতে দুই সপ্তাহ পেলেন রাজা পারভেজ

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালু করতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে চিঠি লিখতে আরও দুই সপ্তাহ সময় পেলেন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে শুনানির পর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে চিঠি লেখার নির্দেশ দেন।


এদিকে আদালত অবমাননা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে পার্লামেন্টে সম্প্রতি যে আইন পাস হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানি গতকাল শুরু হয়েছে।
১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে জারদারির বিরুদ্ধে মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে ২৫ জুলাই (গতকাল) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। গতকাল এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে বিচারপতি আসিফ সাইদ খান খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদন নাকচ করে দুই সপ্তাহ সময় বাড়ান। সেই হিসাবে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে জারদারির মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে হবে। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কাদির বেঞ্চে বিচারপতি খোসার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বিচারপতি খোসাকে পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ করে বেঞ্চ থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের এই আহ্বান নাকচ করে দেন।
বিচারপতি খোসা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের কোনো প্রমাণ দিতে পারলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করবেন। তিনি বলেন, বিচারকেরা এমন কিছু করতে পারেন না, যাতে দেশ বা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে। বিচারকেরা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং এই ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে চান।
অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের ১২ জুলাইয়ের আদেশ পর্যালোচনার জন্য আবেদন করবেন বলে জানান। আদালত ৮ জুলাইয়ের মধ্যে এ-সংক্রান্ত আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি দেওয়া-সংক্রান্ত আইন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানি গতকাল প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে শুরু হয়েছে। এই বেঞ্চের অন্য বিচারকেরা হলেন: বিচারপতি শাকিরুল্লাহ জান, বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেন, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি তাসাদ্দুক হুসেন জিলানি।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত আইনটি ২০০৩ সালে পার্লামেন্টে পাস করা হয়। তখন আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আনেননি। পিটিআই, ডন।

No comments

Powered by Blogger.