যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী- ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র বিক্রি ও প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস-এর বিক্রি ও প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রোববার উত্তরার আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ বছরের হজযাত্রীদের জন্য হজ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বাসস।


কোনো মুসলমান মহানবী (সা.)-এর অবমাননা সহ্য করতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ওই চলচ্চিত্র নির্মাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন এই চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। আওয়ামী লীগ সব সময় ইসলামের সেবায় নিয়োজিত। ইসলামের চেতনা ও আদর্শের জন্য অবমাননাকর কোনো কর্মকাণ্ড কখনো মেনে নেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী খুন, বোমাবাজিসহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সে সময় ইসলামের নামে এসব ছিল তাদের নিয়মিত কর্মকাণ্ড। তাঁর সরকার কঠোর হাতে সন্ত্রাসীদের দমন করে দেশকে সন্ত্রাসী দেশের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন গোটা বিশ্বে অনুকরণীয় ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তাঁর সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত হজযাত্রীদের প্রতিবছরই দালাল-প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হতো। বর্তমান সরকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় হজনীতি ২০১০-২০১৪ প্রণয়ন করে হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ হজব্রত পালনকে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির আওতায় এনেছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে নির্মিত ইনোসেন্স অব মুসলিমস চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধের দাবিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির আরবি ভাষায় ডাবিং করা সংস্করণ মুক্তি পায় এবং মিসরের একটি টেলিভিশনে এর ভিডিও ফুটেজ প্রচারিত হওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয়।

No comments

Powered by Blogger.