সিরিয়া সংকট- চলতি মাসে ‘কনট্যাক্ট গ্রুপ’ আলোচনায় বসছে

সিরিয়ার আশপাশের দেশগুলোর ‘কনট্যাক্ট গ্রুপ’ নিউইয়র্কে চলতি মাসে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিসরের রাজধানী কায়রোয় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন।


মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিনা জানায়, সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিসর, তুরস্ক ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে যোগ দেন। তবে যোগদানের কথা থাকলেও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। তিন দেশের মন্ত্রীরা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের এক ফাঁকে পরবর্তী আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।
সিরিয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার সময় এখনো হয়নি বলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ কামেল আমর গতকাল বৈঠকের পর মন্তব্য করেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির উদ্যোগে ওই চার দেশ সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধের লক্ষ্যে পারস্পরিক ‘কনট্যাক্ট গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, সিরিয়ার ব্যাপারে আলোচনায় সৌদি আরবের অংশগ্রহণ জরুরি।
‘কনট্যাক্ট গ্রুপের’ পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বলেন, সিরিয়া পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে ইরান ও সৌদি আরবের পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে লাখদার ব্রাহিমি: জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ শান্তিদূত লাখদার ব্রাহিমি তুরস্কের হাতায় শহরে আলতিনোজু শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি সিরীয় শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে গতকাল মঙ্গলবার ওই আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত আলতিনোজুতে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৩০০ সিরীয় নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে। তুরস্ক সরকার ওই শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে। সিরিয়ায় সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত বছরের মার্চে ওই আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়।
ব্রাহিমি চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে ‘প্রায় অসম্ভব’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর আগে সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ শান্তিদূতের দায়িত্বে ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.