গ্রিনল্যান্ডে অস্বাভাবিক হারে বরফ গলছে

গ্রিনল্যান্ডের বিশাল এলাকাজুড়ে চলতি মাসে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হারে বরফ গলেছে। এই গলে যাওয়ার চিত্র স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার বিজ্ঞানীরা এ ঘটনাকে ‘নজীরবিহীন’ উল্লেখ করেছেন।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত তিন দশকের স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণে গ্রিনল্যান্ডের যে পরিমাণ এলাকাজুড়ে বরফ গলে যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে, চলতি মাসের এই দৃশ্য তার চেয়েও ব্যাপক। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে শীতল ও উঁচু স্থান সামিট স্টেশনও এ থেকে বাদ পড়েনি। ৮ জুলাই থেকে মাত্র চার দিনেই বরফ গলার হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ শতাংশে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফাচ্ছাদিত অংশের প্রায় অর্ধেকটায় গ্রীষ্মকালজুড়ে বরফ গলার চিত্র স্বাভাবিক। কিন্তু এ বছর যে দ্রুততার সঙ্গে ও ব্যাপক পরিসরে বরফ গলতে দেখা যাচ্ছে, তা তাঁদের বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের কথায় এটি ‘অস্বাভাবিক’।
নাসা বলেছে, গ্রিনল্যান্ডের বরফাচ্ছাদিত অংশের গভীরতা গড়পড়তা তিন কিলোমিটার (দুই মাইল)। এর প্রায় পুরো অংশের উপরিভাগের বরফ বিভিন্ন মাত্রায় গলছে।
সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ওয়ালিদ আবদালাতি বলেন, ‘আমরা যখন দেখি নতুন নতুন অংশের বরফ গলছে, যা আগে কিংবা অন্তত দীর্ঘদিনে দেখা যায়নি, তখন আমাদের নড়েচড়ে বসতেই হয়। প্রশ্ন জন্ম নেয়, সেখানে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছরগুলোয় আমরা কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, এটি তার একটি বড় সংকেত।’
ওয়ালিদ আরও বলেন, গ্রিনল্যান্ডে আগেও যেহেতু ব্যাপক আকারে বরফ গলার ঘটনা ঘটেছে, তাই বরফ গলার সাম্প্রতিকতম এই দৃশ্য স্বাভাবিক, ব্যতিক্রমী, নাকি মানুষের তৈরি বৈশ্বিক উষ্ণতার ফল, তা এখনই নাসার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.