আলোর মুখ দেখছে না মালদ্বীপে বালি রপ্তানির পরিকল্পনা

বাংলাদেশের নদী থেকে খনন করা বালি জলবায়ু পরিবতর্নের ফলে বিপন্নতার শিকার মালদ্বীপে রপ্তানি করার পরিকল্পনা এখনও হিমাগারেই রয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে মালদ্বীপে বালি রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা নিয়ে গত বছর উভয় রাষ্ট্রই একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায়।

জলবায়‍ু পরিবর্তনজনিত কারণে বর্তমানে সমস্যার মুখোমুখি দ্বীপরাষ্ট্রটি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন,“ আমি মনে করি পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। তারা বালি আমদানি করতে চেয়েছিলো। আমরা নদী খনন করে বালি নিয়ে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু পরে তারা আর পরিপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে নিয়ে আসেনি।”

উল্লেখ্য,২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিলো।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশও এ প্রকল্পের ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী ছিলো। দেশের নদীগুলো খোঁড়ার জন্য ইতিমধ্যেই ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বাংলাদেশে।

তবে মালদ্বীপ আগ্রহী হলে এটি এখনও বাস্তবায়ন সম্ভব বলে উল্লেখ করে গোলাম কাদের। বিশেষ করে পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে এটির সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান বলে মত দেন তিনি।

ভারত মহাসাগরের বুকে ১১শ দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দেড় মিটার ওপরে অবস্থিত। ফলে জলবায়ুজনিত উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাবে দ্বীপদেশটি সমুদ্র গর্ভে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই দেশটির সরকার দেশের পর্যটন খাতের আয় দিয়ে প্রতিবেশী ভারত ও শ্রীলংকাসহ অস্ট্রেলিয়াতেও জমি কিনে আক্রান্ত মালদ্বীপবাসীদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.