যে খবর নাড়া দেয়-জীবনে যাদের হররোজ রোজা

ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসে। রাস্তাঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। রকমারি ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, হালিম, কাবাব দেখতে না দেখতে প্যাকেট হয়ে চলে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। দ্রুত হাতে ইফতার তুলে দিচ্ছে যে মানুষটি, কিংবা যে শিশুটি ফুট ফরমাশ খাটছে, আমরা কি কখনো তাদের জন্য ভাবি?


সম্ভবত ভাবি না বলেই ‘সবার দিলটা বাজানগো মতো হইলে ভালো হইতো’ শিরোনামটা বেশি করে চোখে পড়ে। ছবিটাও চোখে পড়ার মতো। চেয়ার-টেবিল সাজানো। সেখানে খাবার সামনে বসে আছে সেই সব শিশুই, যাদের কাজ মূলত অন্যদের জন্য খাবার তৈরি ও পরিবেশন। ওরা কেউ ক্যান্টিনে ফুট ফরমাশ খাটে। কারও পরিচিতি স্রেফ ‘ছিন্নমূল’ অথবা ‘পথশিশু’। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এথিকস ক্লাব তাদের জন্য আয়োজন করেছিল এই ইফতার অনুষ্ঠানের। ( সূত্র: প্রথম আলো, পৃষ্ঠা: ৪, ২৯ জুলাই, ২০১২)।
বছর ঘুরে রোজা আসে। পত্রিকার পাতায় কতশত রকমারি ইফতার ছবি হয়ে উঠে আসে। রোজ রোজ আয়োজন থাকে ইফতার অনুষ্ঠানের। সবচেয়ে সুন্দর ইফতার অনুষ্ঠান সেগুলোই, যেখানে খাওয়ার সুযোগ পায় অনাহারী মানুষ।
চোখের সামনে রাজ্যের ইফতার। অনাহারী মানুষগুলো তৃপ্তি করে খাচ্ছে। তাদের চোখে যুগপৎ আনন্দ ও বিস্ময়। এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কী হতে পারে এই পৃথিবীতে?
—ই.হো.চৌ

No comments

Powered by Blogger.