রবিবার ঢাকায় সোমবার সারাদেশে ১৮ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

হরতালে গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রতিবাদে আগামী রবিবার ঢাকায় এবং সোমবার সারাদেশের সকল জেলা, উপজেলা ও মহানগর সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ১৮ দলীয় জোট। শুক্রবার জোটের মহাসচিব পর্যায়ের এক বৈঠকে এ কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হয়।


পরে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের আরও জানান, ঢাকায় রবিবার সকাল ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ- সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহম্মদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুলাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, এনপিপির মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এম এ রশিদ প্রধান, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আঃ মালেক চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার এবং বাংলাদেশ পিপলস লীগের মহাসচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিধি ভেঙ্গে জোট নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন- রফিকুল ॥ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ক্ষেত্রে আইনের বিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। শুক্রবার রাজধানীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে তিনি দাবি করেন, কোন মামলায় অভিযোগ গঠনের সময় আদালত আসামিদের জিজ্ঞেস করবে- তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা। অথচ গাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় আদালত কোন প্রশ্ন না করেই তড়িঘড়ি অভিযোগ গঠন করেছে। এটা বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ সময় তিনি অবিলম্বে এই ‘মিথ্যা’ মামলার অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানান। ১৮ দলীয় জোট নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রতিবাদে বিএনপিপন্থী সংগঠন স্বাধীনতা ফোরাম জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় ৪০ নেতার পক্ষে আলাদাভাবে আইনজীবী নিয়োগের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত সেসব আবেদনের নিষ্পত্তি করেননি। এক তরফাভাবে আদালত অভিযোগ গঠন করেছে। এটা নজিরবিহীন। রফিকুল অভিযোগ করেন, গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে মামলা হলেও তার চালককেই এতে সাক্ষী করা হয়নি। তিনি দাবি করেন, জাতীয় নেতারা গাড়ি পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন- তেমন কোন প্রমাণও মামলার এজাহার বা অভিযোগপত্রে নেই।
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে বা অভিযোগ গঠন করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানো যাবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ঈদের পর বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। সরকার দুর্নীতিতে ‘আকণ্ঠ’ ডুবে গেছে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, তাঁর দল আগামীতে ক্ষমতায় গেলে এসব দুর্নীতির বিচার করা হবে।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া আনোয়ার হোসেন মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.