বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলি
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে: বগুড়ার গাবতলীতে টেস্ট রিলিফের (টিআর) সরকারি গমের ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) পত্র কেনাবেচা নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা পৃষ্ঠা ১১ কলাম ৩
হয়। এ ঘটনায় বগুড়া-সারিয়াকান্দি, বগুড়া-সোনাতলা সড়কে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাবতলী উপজেলায় বরাদ্দকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য টেস্ট রিলিফের (টি-আর) ১শ’ ২৫ টন গমের ৮৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই বরাদ্দকৃত টি আরের ছাড়পত্র (ডি-ও) কেনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে গাবতলী উপজেলা চত্বরে ছাত্রলীগ নেতা শিলুর নেতৃত্বে মহড়া চলে। তবে ওই গ্রুপের সঙ্গে বিএনপির লোকজনও জোট বাঁধে। গতকাল আবারও অন্য গ্রুপ উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা মহড়া দিতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপি নেতা আবু তাহের ও বাবলু উপজেলা চত্বরে পৌঁছলে শিলু গ্রুপের হারুনসহ অন্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় প্রায় ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে উপজেলা চত্বরসহ গাবতলী পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে থানা গেইট, তিন মাথা মোড়, হাসপাতাল সড়কে আরও প্রায় ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণসহ ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের সময় ইব্রাহীম (২৫), জাফরুল (৩৩), সুজন (১৯), দুলাল (২৮), ফজলু (৩২), বিপ্লব (২৬) ও লাভলু (৩১)সহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সংঘর্ষের সময় গাবতলী পৌর এলাকার সকল প্রকার যান চলাচল, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চার ঘণ্টা বগুড়া-সারিয়াকান্দি, বগুড়া-সোনাতলা সড়কে চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ইমারত আলী বলেন, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নিয়ে জোরপূর্বক ডিও লেটার কম দামে কেনা হয়। এই কেনাকে গাবতলীর প্রায় অঙ্গসংগঠনসহ মূল সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলাসহ গুলি বর্ষণ, ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচ আজম খান বলেন, বিএনপি নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ডিও কেনা নিয়ে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় মিনহাজ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাপ্রাপ্ত ও বঞ্চিত গ্রুপের সঙ্গে টেস্ট রিলিফের ডিও লেটার কেনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। তিনি ঘটনার সময় গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।
হয়। এ ঘটনায় বগুড়া-সারিয়াকান্দি, বগুড়া-সোনাতলা সড়কে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাবতলী উপজেলায় বরাদ্দকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য টেস্ট রিলিফের (টি-আর) ১শ’ ২৫ টন গমের ৮৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই বরাদ্দকৃত টি আরের ছাড়পত্র (ডি-ও) কেনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে গাবতলী উপজেলা চত্বরে ছাত্রলীগ নেতা শিলুর নেতৃত্বে মহড়া চলে। তবে ওই গ্রুপের সঙ্গে বিএনপির লোকজনও জোট বাঁধে। গতকাল আবারও অন্য গ্রুপ উপজেলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা মহড়া দিতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপি নেতা আবু তাহের ও বাবলু উপজেলা চত্বরে পৌঁছলে শিলু গ্রুপের হারুনসহ অন্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় প্রায় ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে উপজেলা চত্বরসহ গাবতলী পৌর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে থানা গেইট, তিন মাথা মোড়, হাসপাতাল সড়কে আরও প্রায় ১৫টি ককটেল বিস্ফোরণসহ ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের সময় ইব্রাহীম (২৫), জাফরুল (৩৩), সুজন (১৯), দুলাল (২৮), ফজলু (৩২), বিপ্লব (২৬) ও লাভলু (৩১)সহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সংঘর্ষের সময় গাবতলী পৌর এলাকার সকল প্রকার যান চলাচল, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চার ঘণ্টা বগুড়া-সারিয়াকান্দি, বগুড়া-সোনাতলা সড়কে চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ইমারত আলী বলেন, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নিয়ে জোরপূর্বক ডিও লেটার কম দামে কেনা হয়। এই কেনাকে গাবতলীর প্রায় অঙ্গসংগঠনসহ মূল সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলাসহ গুলি বর্ষণ, ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচ আজম খান বলেন, বিএনপি নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ডিও কেনা নিয়ে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় মিনহাজ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের সুবিধাপ্রাপ্ত ও বঞ্চিত গ্রুপের সঙ্গে টেস্ট রিলিফের ডিও লেটার কেনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। তিনি ঘটনার সময় গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়।
No comments