আবাহনী ও গাজীর জয়

য়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে লীগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এবং গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। মিরপুরে লো স্কোরিং ম্যাচে গাজী ট্যাংক ২ উইকেটে পরাজিত করে কলাবাগানকে। আর বিকেএসপিতে মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটিংয়ে সূর্যতরুণের ২৪০ রান টপকে যায় আবাহনী। মার্শালময় আবাহনী ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আড়াইশ'র আশপাশে রান মানে ম্যাচ অর্ধেক পকেটে।


অভিজ্ঞ গাজী সালাউদ্দিন এবং পাকিস্তানের রাজা আলির দুটি সত্তরোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪০ রানের পর মনে হয়েছিল লীগে প্রথম জয়টা মনে হয় পেতে যাচ্ছে সূর্যতরুণ। সালাউদ্দিন ৯৭ বলে ৭১ এবং রাজা ৭৩ বলে করেন ৭৬ রান করে জয়ের সুবাস ছড়িয়েছিলেন। ইদানীং আবাহনীর টপ অর্ডার তেমন ভালো না খেলায় সন্দেহটা আরও জেঁকে বসেছিল। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে ভারতের পুনিত সিং এবং তরুণ আনামুল হক বিজয় ৫৮ রান তুলে ভালো একটা সূচনা এনে দেন দলকে। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে তাইবুর পারভেজ প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দিলে জুটি বাঁধেন পিটার ট্রেগো এবং মার্শাল আইয়ুব। এ জুটি ৭৭ রান যোগ করে আবাহনীর জয়ের ভিত গড়ে। জয় থেকে ৯০ রান দূরে থাকা অবস্থায় ট্রেগো ফিরে গেলেও মার্শাল প্যাভিলিয়নে আসেন দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে। ১০৫ বলে ৬টি চার এবং ৩টি ছয়ে ৯১ রানের চমৎকার ইনিংসটি দিয়ে সূর্যতরুণের সব সম্ভাবনা শেষ করে দেন এ তরুণ। তিনি ফিরে আসার পর বাকি কাজটুকু ঠাণ্ডা মাথায় সম্পন্ন করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার রজত ভাটিয়া। এ জয়ের ফলে চার ম্যাচে তিন জয় হলো আবাহনীর।
বোলারদের লড়াই
মিরপুরে আসলে লড়াইটা হয়েছে দুই দলের বোলারদের। যাতে জয়ী হয়েছেন গাজী ট্যাংকের বোলাররা। আর ৫ উইকেট নিয়ে এনে নেতৃত্ব দিয়েছেন উদীয়মান পেসার আলাউদ্দিন বাবু। তবে দুই স্পিনার নাসির হোসেন এবং নায়ার আব্বাসের ভূমিকাও কম না। মাত্র ১ উইকেটে ৭৩ রানে পেঁৗছে যাওয়া কলাবাগানের টপ এবং মির্ডল অর্ডার এই দুই স্পিনার গুড়িয়ে দেন দলের রান একশ হওয়ার আগেই। ওপেনার নাজমুস সাদাতকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে দলকে প্রথম সফলতা এনে দেওয়া আলাউদ্দিন বাবু এরপর প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনের লেজটা দ্রুত ছেটে দিলে মাত্র ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান। জবাব দিতে নেমে গাজী ট্যাংক আরো খারাপ অবস্থায় চলে গিয়েছিল। শাহাদাত হোসেন রাজীব, রকিবুল হাসান এবং সোহাগ গাজীর ত্রিমুখী আক্রমণে মাত্র ৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল গাজী ট্যাংক। কিন্তু ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন মিলন ৩৯ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলে দারুণ এক জয় এনে দেন দলকে। এর মধ্যে বল হাতে সফল আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩২ এবং নবম উইকেটে পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামির সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে ২৬ রান তুলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

No comments

Powered by Blogger.