সন্তানের পিতৃপরিচয় নয়তো আত্মহত্যা

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি: বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে আসলেন পালেরচক গ্রামের সুবর্ণা। কাঁদলেন। স্বামী একই গ্রামের মৃত তৈইমুছ আলীর ছেলে শাহাজানের প্রতারণার কাহিনী বর্ণনা করলেন। শেষ পর্যায়ে বললেন- সন্তানের পিতৃপরিচয় এবং স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যা করবো। যাতে করে আর কোন প্রতারক ও তার সহযোগীরা প্রতারণা করে পার না পায়। শাহাজান আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। তার কারণে পিতা আমার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছেন। আমাকে ত্যাজ্য করেছেন। ঈদের আগে শাহাজান বলে ভাইদের কারণে আমি প্রথমে তোমাকে ডির্ভোস দিয়েছিলাম তারপরও তারা আমাকে পৃথক করে দিয়েছেন। তোমাকে ঘরে তুলতে হলে বাড়িতে দেয়াল নির্মাণ করে ভাইদের সঙ্গে বাড়ির অংশ পৃথক করতে হবে। তাই টাকার প্রয়োজন। সন্তানের পিতৃপরিচয় এবং স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার আশায় দেয়াল নির্মাণের জন্য আশি হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেই। এই টাকা নিয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেখে গত ঈদের আগে বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে আসার পর মোবাইলের সিমকার্ড পাল্টে ফেলে। খোঁজ নিতে নিতে কামাল বাজারের জনসভায় পেয়ে যাই এবং জাপটে ধরি। কি করবো বলেন, সব হারিয়ে ফেলেছি। সেখানে বেঁচে থাকার কি প্রয়োজন। আমাকে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে আপোষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আপোষ মানে তারা টাকা দিতে চায়। আমি টাকা দিয়ে কি করবো। যার জীবনটা শেষ তার টাকা দিয়ে কি হবে? এদিকে শাহাজান সুবর্ণার সকল বক্তব্য মিথ্যা বলে দাবি করেছে। বলেন আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। টাকা নেয়ার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। ডিভোর্সের পর থেকে  সুবর্ণার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। সূত্র জানিয়েছে, টাকা দিতে রাজি হয়েছে শাহাজানের পরিবার। কিন্তু কোন অবস্থাতে ঘরে তুলে নিতে রাজি নয়। যার ফলে শাহাজানকে দেশের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে নির্যাতিতা সুবর্ণার একদিকে আতঙ্ক অন্যদিকে পিতৃপরিচয়ের জন্য চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
গত ৩রা জানুয়ারি কামাল বাজারে আওয়ামী লীগের সভায় সুবর্ণা বেগম একই গ্রামের তৈইমুছ আলীর ছেলে শাহাজানকে জাপটে ধরে।

No comments

Powered by Blogger.