পবিত্র কোরআনের আলো-শয়তান আদম-হাওয়াকে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেতে প্ররোচিত করল
১৭. ছুম্মা লাআ-তিইয়ান্নাহুম্ মিম্ বাইনি আইদীহিম ওয়া মিন খালফিহিম ওয়া আ'ন আইমা-নিহিম ওয়া আ'ন শামা-য়িলিহিম; ওয়া লা তাজিদু আকছারুহুম শা-কিরীন। ১৮. ক্বালাখ্রুজ্ মিনহা মায্ঊমাম্ মাদ্হূরা; লামান তাবিআ'কা মিনহুম লাআমলাআন্না জাহান্নামা মিনকুম আজমায়ী'ন। ১৯. ওয়া ইয়া আ-দামু ছ্কুন আনতা ওয়া যাওজুকাল জান্নাতা ফাকুলা মিন হাইছু শি'তুমা ওয়া লা তাক্বরাবা হা-যিহিশ্ শাজারাতা ফাতাকূনা মিনায্ যা-লিমীন।
২০. ফাওয়াছওয়াছা লাহুমাশ্ শাইত্বা-নু লিইউবদিয়া লাহুমা মা উরিইয়া আ'নহুমা মিন্ ছাওআ-তিহিমা ওয়া ক্বা-লা মা নাহা-কুমা রাব্বুকুমা আ'ন হা-যিহিশ্ শাজারাতি ইল্লা আন তাকূনা মালাকাইনি আও তাকূনা মিনাল খা-লিদীন।
[সুরা : আল-আ'রাফ, আয়াত : ১৭-২০]
অনুবাদ : ১৭. অতঃপর আমি তাদের কাছে অবশ্যই আসব (তাদের পথভ্রষ্ট করার জন্য)। আসব তাদের সামনের দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাঁ দিক থেকে। ফলে তুমি এদের বেশির ভাগকেই কৃতজ্ঞতা আদায়কারী হিসেবে পাবে না।
১৮. আল্লাহ বললেন, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও অপমানিত ও বিতাড়িত অবস্থায়। মানবজাতির যারাই তোমার অনুসরণ করবে, তোমাদের সবাইকে দিয়ে আমি জাহান্নাম পূর্ণ করে দেব।
১৯. (আল্লাহ বললেন) হে আদম! এবার তুমি ও তোমার সঙ্গী জান্নাতে বাস করতে থাকো, আর এখানে যা কিছু চাইবে সবই খেতে পারো, কিন্তু ওই গাছটির কাছেও যেয়ো না। (যদি যাও তবে) তোমরা উভয়েই জালিমদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাবে।
২০. এরপর শয়তান তাদের দুজনকেই কুমন্ত্রণা দিল, যেন সে তাদের লজ্জাস্থানগুলো যা তাদের পরস্পরের কাছ থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছিল_প্রকাশ করে দিতে পারে। সে তাদের আরো বলল, তোমাদের প্রভু এ গাছটি তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন, তাঁর উদ্দেশ্য এ ছাড়া আর কিছুই নয় (এর ফল খেলে) তোমরা উভয়েই ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা তোমরা অমরত্ব লাভ করবে।
ব্যাখ্যা : ১৭ নম্বর আয়াতে শয়তানের উক্তিটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাঁ দিক থেকে অর্থাৎ চারদিক থেকে আক্রমণ চালানোর সংকল্প ব্যক্ত করেছে। চারদিক বলতে এখানে শাব্দিকভাবে চারদিক বোঝানো হয়নি, বরং এর মর্মগত অর্থের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। চারদিক বলতে এখানে সব ধরনের কল্প-কৌশল ব্যবহার করার সংকল্পের কথা বোঝানো হয়েছে। শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করে পাপকাজে নিয়োজিত করার জন্য সব ধরনের অপকৌশল ব্যবহার করবে_এটাই বলা হয়েছে। শয়তান মানুষের রক্তে, মাংসে, স্নায়ুতন্ত্রে ও চিন্তাভাবনায় মিশে গিয়ে তাকে পাপকাজে প্ররোচিত করার চেষ্টা করবে। এভাবেই বেশিসংখ্যক মানুষকে পাপিষ্ঠ করে তোলা সম্ভব হবে বলে শয়তান আশা করছে। ১৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা শয়তান ও তার অনুসারীদের ভয়ংকর পরিণতির কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। ১৯ নম্বর আয়াতে নিষিদ্ধ গাছের প্রসঙ্গই এসেছে। এটাই মানুষের ওপর প্রথম বিধিনিষেধ এবং বিধান ভঙ্গ করা বা না করার স্বাধীনতা। ২০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, শয়তান কিভাবে আদম-হাওয়া (আ.)-এর অন্তরে কুমন্ত্রণা দিয়েছিল। এই আয়াতের দ্বারা বোঝা যায়, নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার মাধ্যমে আদম ও হাওয়ার জীবনে ইহজাগতিক ও মানবিক জীবনের ধারা শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই গাছের ফল খেলে জান্নাতের পোশাক খুলে যায়, তাদের গুপ্তস্থান উন্মোচিত হয়ে যায়। প্রস্রাব-পায়খানার মতো মানবিক ক্রিয়াকর্মের সূচনা ঘটে। ইত্যাদির কারণ ছিল তাদের কৃতকর্ম অর্থাৎ নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ। শয়তান তাদের এই ফল খাওয়ানোর জন্য নানা রকম যুক্তি দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিল। তাদের সে এই প্রলোভন দিয়েছিল যে এর ফলে তারা ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা অমরত্ব লাভ করবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ব্যাপারে সে যুক্তি দেখাল যে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা এখন এই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আল-আ'রাফ, আয়াত : ১৭-২০]
অনুবাদ : ১৭. অতঃপর আমি তাদের কাছে অবশ্যই আসব (তাদের পথভ্রষ্ট করার জন্য)। আসব তাদের সামনের দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাঁ দিক থেকে। ফলে তুমি এদের বেশির ভাগকেই কৃতজ্ঞতা আদায়কারী হিসেবে পাবে না।
১৮. আল্লাহ বললেন, তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও অপমানিত ও বিতাড়িত অবস্থায়। মানবজাতির যারাই তোমার অনুসরণ করবে, তোমাদের সবাইকে দিয়ে আমি জাহান্নাম পূর্ণ করে দেব।
১৯. (আল্লাহ বললেন) হে আদম! এবার তুমি ও তোমার সঙ্গী জান্নাতে বাস করতে থাকো, আর এখানে যা কিছু চাইবে সবই খেতে পারো, কিন্তু ওই গাছটির কাছেও যেয়ো না। (যদি যাও তবে) তোমরা উভয়েই জালিমদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাবে।
২০. এরপর শয়তান তাদের দুজনকেই কুমন্ত্রণা দিল, যেন সে তাদের লজ্জাস্থানগুলো যা তাদের পরস্পরের কাছ থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছিল_প্রকাশ করে দিতে পারে। সে তাদের আরো বলল, তোমাদের প্রভু এ গাছটি তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন, তাঁর উদ্দেশ্য এ ছাড়া আর কিছুই নয় (এর ফল খেলে) তোমরা উভয়েই ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা তোমরা অমরত্ব লাভ করবে।
ব্যাখ্যা : ১৭ নম্বর আয়াতে শয়তানের উক্তিটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাঁ দিক থেকে অর্থাৎ চারদিক থেকে আক্রমণ চালানোর সংকল্প ব্যক্ত করেছে। চারদিক বলতে এখানে শাব্দিকভাবে চারদিক বোঝানো হয়নি, বরং এর মর্মগত অর্থের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। চারদিক বলতে এখানে সব ধরনের কল্প-কৌশল ব্যবহার করার সংকল্পের কথা বোঝানো হয়েছে। শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করে পাপকাজে নিয়োজিত করার জন্য সব ধরনের অপকৌশল ব্যবহার করবে_এটাই বলা হয়েছে। শয়তান মানুষের রক্তে, মাংসে, স্নায়ুতন্ত্রে ও চিন্তাভাবনায় মিশে গিয়ে তাকে পাপকাজে প্ররোচিত করার চেষ্টা করবে। এভাবেই বেশিসংখ্যক মানুষকে পাপিষ্ঠ করে তোলা সম্ভব হবে বলে শয়তান আশা করছে। ১৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা শয়তান ও তার অনুসারীদের ভয়ংকর পরিণতির কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। ১৯ নম্বর আয়াতে নিষিদ্ধ গাছের প্রসঙ্গই এসেছে। এটাই মানুষের ওপর প্রথম বিধিনিষেধ এবং বিধান ভঙ্গ করা বা না করার স্বাধীনতা। ২০ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, শয়তান কিভাবে আদম-হাওয়া (আ.)-এর অন্তরে কুমন্ত্রণা দিয়েছিল। এই আয়াতের দ্বারা বোঝা যায়, নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার মাধ্যমে আদম ও হাওয়ার জীবনে ইহজাগতিক ও মানবিক জীবনের ধারা শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই গাছের ফল খেলে জান্নাতের পোশাক খুলে যায়, তাদের গুপ্তস্থান উন্মোচিত হয়ে যায়। প্রস্রাব-পায়খানার মতো মানবিক ক্রিয়াকর্মের সূচনা ঘটে। ইত্যাদির কারণ ছিল তাদের কৃতকর্ম অর্থাৎ নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ। শয়তান তাদের এই ফল খাওয়ানোর জন্য নানা রকম যুক্তি দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিল। তাদের সে এই প্রলোভন দিয়েছিল যে এর ফলে তারা ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা অমরত্ব লাভ করবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ব্যাপারে সে যুক্তি দেখাল যে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা এখন এই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছেন।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments