বসুন্ধরা এন ব্লকের কাজ বন্ধ রাখতে আবার নির্দেশ

সুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অননুমোদিত এন ব্লকের কাজ বন্ধ রাখতে আবারও চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গতকাল বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়। বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক ও রাজউক থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত ও মতামত পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের উন্নয়নকাজ ও মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ রাখতে হবে।


এদিকে, গতকাল ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। এতে এন ব্লকের ভূমি উন্নয়নের কাজ আবার চালু করার অনুমতি চাওয়া হয়।
চিঠিতে রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) পানিধারণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বোয়ালিয়া খাল ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। দাবি করা হয়, ‘ড্যাপ বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত বলে বিবেচনা করা যায়। ওই এলাকা ড্যাপের গেজেটভুক্ত হওয়ার বহু আগেই মাটি ভরাট করা হয়েছে।’
ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের উপব্যবস্থাপক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বোয়ালিয়া খালের উভয় পাশে দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর জমি বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় লিমিটেডের অধিগ্রহণকৃত, যা গেজেটভুক্ত।
এই চিঠি নিয়ে গতকাল ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টির একজন কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তরে যান। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক তাঁর হাতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার নির্দেশসংবলিত চিঠি ধরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে মুনীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বোয়ালিয়া খাল ভরাট ও দখল ছাড়াও বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ অবস্থানগত ছাড়পত্র ছাড়া প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী বেআইনি কাজ। রাজউকের অনুমোদন ও জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্র ছাড়া প্রকল্প শুরু করার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এন ব্লকের মধ্যে বোয়ালিয়া খালের কত অংশ পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির তা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হবে।

No comments

Powered by Blogger.