পদ্মা সেতু বেসরকারি খাতে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি খাতে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে কোনোভাবেই হোক পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের জন্য অপেক্ষা করা হবে না। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে এ সেতু হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারাই এগিয়ে আসবে, তাদেরই কাজ দেওয়া হবে।


একই সঙ্গে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কারা কত টাকা দুর্নীতি করেছে তার প্রমাণ দিতে হবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে সুষ্ঠুভাবে এ অভিযোগ তদন্তের সুযোগ হয়েছে। তদন্ত করে দুর্নীতি প্রমাণ করুন।
শেখ হাসিনা শনিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া সফরের ওপর এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হলেও মন্ত্রিসভায় রদবদল, পদ্মা সেতু, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়েও কথা বলেন তিনি। এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান মন্ত্রিসভার সবাইকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ কাউকে নেওয়া হলে মন্ত্রিসভা শক্তিশালী হবে, বিশেষ কাউকে না নেওয়া হলে শক্তিশালী হবে না_ এ ধারণা ঠিক নয়। সরকারের তিন বছরে কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউই এমন কোনো দুর্নীতির অভিযোগ বা প্রমাণ দিতে পারেনি। ব্যর্থ হলে এ মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশেরও বেশি সিদ্ধান্ত কিংবা এডিপি ও বাজেটের ৯৩ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত করা যেত না।
তিনি বলেন, অতীতের কোনো সরকার, এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত কিংবা এডিপির ৭৩-৭৪ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই এটা পেরেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যারা তাদের সরকারের নির্দেশে একাত্তরে এ দেশে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে
তাদের অপরাধ এক ধরনের। কিন্তু যারা এ দেশের মানুষ হয়েও পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও অগি্নসংযোগ করেছে, দেশের মাটিতে বসে দেশের সঙ্গে বেইমানি ও গাদ্দারি করেছে তারা যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী। তাদের বিচার হতেই হবে। বিচার শেষ করে জাতিকে অভিশাপমুক্ত করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে। এ বিচারে ঐক্যবদ্ধ হতে ও সরকারকে সহযোগিতা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক রদবদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত করার সঙ্গে মন্ত্রিসভার রদবদলের কোনো সম্পর্ক নেই। সংসদীয় গণতন্ত্রে এ রদবদল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পদ্মা সেতু করা দরকার। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্যও এ সেতু একান্ত প্রয়োজন। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবিও এটি। কিন্তু যাদের অর্থায়ন নিয়ে এত কথা উঠেছে, তাদের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে এটা করতে হবে কেন? তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্ত করলে করুক। তদন্ত শেষে বিশ্বব্যাংক কিংবা অন্য কোনো দাতা সংস্থা টাকা দিলে প্রয়োজনে সেটা অন্য খাতে ব্যয় করা হবে। আমরা পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে চাই।
পিপিপিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এতে সরকারি অর্থের প্রয়োজন হবে না, বৈদেশিক মুদ্রাও খরচ করতে হবে না। যারা বিনিয়োগ করে নির্মাণ করবেন, তারাই এটি পরিচালনা করবেন, টোল আদায় করবেন, নিজেদের টাকা নিজেরাই উঠিয়ে নেবেন। তা ৩০, ৪০ কিংবা ৫০ বছর যত সময়ই লাগুক, সেটা তাদের বিষয়।
তিনি বলেন, সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়েছে এখন থেকে বড় বড় প্রকল্পের কাজও পিপিপিতেই করা হবে। যেহেতু সরকারের অত অর্থ নেই সে কারণে এরই মধ্যে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রও এভাবে করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়াসহ সাম্প্রতিক বিদেশ সফরকালেও তিনি এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিশ্বব্যাপী বড় বড় কাজ পিপিপিতেই হচ্ছে। অনেক দেশই আছে, যারা নিজেদের টাকায় এ ধরনের উন্নয়ন কাজ করছে। তাদের প্রতিও আমরা আহ্বান জানিয়েছি পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ করতে।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, বিশ্বব্যাংক কী পদ্মা সেতুর অর্থ ছাড় করেছে? করেনি। যদি টাকাই না দিয়ে থাকে তাহলে দুর্নীতি হলো কীভাবে? বিশ্বব্যাংকের এ দুর্নীতির অভিযোগও অনুমাননির্ভর। তারা একটি ধারণাপত্র দিয়েছে মাত্র; কিন্তু দুর্নীতির কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক অভিযোগ দেওয়ার পর সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নিজেই এটি তদন্তের জন্য দুদককে অনুরোধ করেছিলেন। দুদক বিশ্বব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিলেও তারা এ বিষয়ে কানাডার পুলিশকে জিজ্ঞাসা করতে বলেছিল। কিন্তু কানাডার পুলিশ বলেছে, তারা কেন তথ্য দেবে? এই হচ্ছে দুর্নীতির ইতিহাস! আর এ কারণে আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করে দেওয়া হলো।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা রদবদলের পেছনে তিরস্কার কিংবা পুরস্কারের প্রশ্ন নেই। আমি তো কোনো মন্ত্রীর এমন কোনো অপরাধও দেখি না। তা ছাড়া ছিয়ানব্বইয়ের মন্ত্রিসভায় যেখানে সামাদ আজাদ বাদে সবাই নতুন ছিলেন, এবার সেখানে অধিকাংশই পুরনো ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। প্রত্যেক মন্ত্রীই দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মন্ত্রিসভায় কে আছেন সেটা নয়, কাজ হচ্ছে কি-না, দেশ এগোচ্ছে কি-না সেটাই বড় বিষয়। আমরা তো পিছিয়ে নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যা-ক্যুর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন, বিচার বন্ধ করে দিয়ে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছেন। এমনকি মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীও বানিয়েছেন। কাজেই তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইবেন না, বাধাগ্রস্ত করতে চাইবেন_ এটাই স্বাভাবিক। এটা দেশবাসীকে উপলব্ধি করতে হবে, এর বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হতে হবে।
টিপাইমুখ বাঁধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই সরকার ভারতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, তথ্য চেয়েছে। এরপরও সরকার সেখানে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। ভারত এ নিয়ে এখনও সার্ভে শুরু করেনি। সার্ভে শুরু হলে তখন আবারও সরকার নজরদারি করবে, প্রয়োজনে আবারও প্রতিনিধি পাঠাবে।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না। দেশের স্বার্থরক্ষায় যা যা প্রয়োজন সরকার তা-ই করবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই সেটা পারে, অন্য কেউ নয়।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা কী চিঠি লিখলেন আর কী জবাব পেলেন_ তা আমরা জানতেও পারলাম না। একজন সচেতন মানুষ হয়ে এ গোপন চিঠি চালাচালির বিষয়টা কী?
টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের লংমার্চের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এখন যারা লংমার্চ করছেন, চিঠি লিখছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, ক্ষমতায় থাকতে এ নিয়ে কিছু করেননি কেন? খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি বণ্টনের কথা তুলে ধরতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর টিপাইমুখ বাঁধের কথা তার স্মরণেও ছিল না। ক্ষমতায় থাকলে তারা ভুলে যান আর বিরোধী দলে গেলে সোচ্চার হন। তবে আওয়ামী লীগ কখনও ভোলে না, তারা সবসময়ই দেশের স্বার্থে কাজ করে। তিনি বলেন, বিরোধী দল টিপাইমুখ নিয়ে সস্তা রাজনীতি করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে সীমানা সমস্যাসহ ৬৪ বছর ধরে চলে আসা ছিটমহল সমস্যা সমাধানের উল্লেখ করে বলেন, কারা দেশপ্রেমিক, কারা দেশের স্বার্থে কাজ করে, সেটি সবাই জানে।
ডিসিসিকে দু'ভাগ করা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা নয়, সিটি করপোরেশন ভাগ হয়েছে মাত্র। নাগরিক সেবা বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিলি্লতেও সিটি করপোরেশন তিন ভাগ হয়েছে। কই সেখানে তো বিরোধী দল দিলি্ল ভাগ হয়েছে বলে হরতাল ডাকেনি।
তিনি প্রশ্ন করেন, ডিসিসি ভাগে কার ক্ষতি হয়েছে? ঢাকাবাসীর তো কোনো ক্ষতি হয়নি। আর খালেদা জিয়া সবসময়ই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে বসবাস করায় নিজে কখনও ডিসিসির ভোটার ছিলেন না। এখন তো তাদের সুবিধাই হয়েছে। দুই অংশের নির্বাচনে দু'জন প্রার্থী দিয়ে জিতে আসতে পারেন। সবটিতেই তারা জিতুন না!
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নির্বাচনে কে জিতল সেটি নয়, তিনি চান জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বহাল থাকুক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করেছি দেশের মানুষের কল্যাণ ও সেবায়। তবে কিছু লোক আছে, যাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই_ জনগণের কাছে যেতে পারেন না, জনসমর্থন ও ভোট নেই, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে, তাদের মধ্যেই সব হতাশা।
একজন মহিলা সাংসদ সম্পর্কে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের অশালীন বক্তব্য সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে তাকে বহাল রাখা যায় কি-না, এ নিয়ে তিনি স্পিকার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া সফরের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়গুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দু'দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া সফরকালেও দু'দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মিয়ানমার সফরকালে এ দেশে থাকা ওই দেশের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাকিটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে তিনি দেশের ৬৪টি জেলার সবটিতে সফর ও জনসভা-সমাবেশ করবেন, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।

No comments

Powered by Blogger.