ভারতের প্রশংসায় ওয়াটসন

ময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার এখন শেন ওয়াটসন। টেস্ট, ওয়ানডে_দুই ধরনের ক্রিকেটেই আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে আছেন তিন নম্বরে। আবার অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কও। ওয়ানডের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৫টি ছক্কা মারা ওয়াটসনের স্ট্রেট ড্রাইভগুলোর তুলনা হয় শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে। তবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে টেন্ডুলকারের সঙ্গে কোনো তুলনাতেই যেতে রাজি নন এ অস্ট্রেলীয়, 'টেন্ডুলকারের সঙ্গে আমার তুলনা হওয়া উচিত


নয়, আমিও চাই না সেটা। ব্যাটিংয়ের যেকোনো ক্ষেত্রে তিনিই সেরা, আমি কেবল আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করছি। এখন ফিফটিগুলোকে আরো বড় রানের ইনিংসে পরিণত করতে পারছি, গত কিছুদিনে করতে পেরেছি এ উন্নতিটা।'
অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সিরিজ মানেই যেন 'বলিউডি মসলা'। একটা না একটা বিতর্ক লেগেই আছে। কখনো সাইমন্ডস-হরভজনের কর্মকাণ্ড ক্রিকেট মাঠের বাইরে আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়েছে আবার কখনো হেইডেন-গিলক্রিস্টের মতো তারকারা ঝামেলায় জড়িয়েছেন বিতর্কিত মন্তব্য করে। সর্বশেষ ২০০৭-০৮ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে তো ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলে বলেই বসেছিলেন, 'একটা মাত্র দল এই সিরিজে ক্রিকেটের স্পিরিট মেনে খেলছে, আর এই দলটা ভারত।' তবে এখন আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিয়মিত খেলছেন বলে কমে এসেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বটা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ড্রেসিংরুমে সাইমন্ডস-হরভজন একই সঙ্গে সময় কাটালে জাতীয় দলে খেলার সময় তাঁরা শত্রু হবেন কিভাবে? ওয়াটসনও সে কথাই বললেন, 'আইপিএল কেবল ভারত-অস্ট্রেলিয়া নয়, কাছাকাছি এনেছে সব দেশের ক্রিকেটারদেরই। খেলাটার জন্য খুবই ভালো বিজ্ঞাপন এটা। অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার আগে এ টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমি ভাগ্যবান মনে করি নিজেকে। শেন ওয়ার্নের সঙ্গে সেখানে খেলেই আরো পরিণত হয়েছি আমি।'
ইংল্যান্ড সফরে হোয়াইটওয়াশ হয়ে টেস্টের সিংহাসনটা হারিয়েছে ভারত। নিয়মিত কজন খেলোয়াড়ের চোট আর ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই ইংল্যান্ডে পেরে ওঠেনি ধোনির দল। তবে অস্ত্রোপচারের পর জহির খান ফিট হয়ে আবারও ফিরেছেন বলে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন ওয়াটসন, 'ভারত সব সময়ই শক্তিশালী দল, তাদের সঙ্গে অতীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অনেক ম্যাচ খেলেছি আমরা। ব্যাটিংয়ে তাদের বিশ্বমানের অনেক ব্যাটসম্যান আছে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে ভালো করার মতো বোলারও আছে। জহির এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ঈশান্ত শর্মাও দারুণ বোলার। তাদের সামলানোর ছক কষতে হবে আমাদের।'
২০০৩-০৪ ও ২০০৭-০৮ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে চোটের কারণে পুরো সিরিজ খেলতে পারেননি জহির খান। দুই সিরিজে খেলেছেন মাত্র ৩টি টেস্ট। তবে অস্ত্রোপচারের পর এবার পুরো সিরিজই খেলার ব্যাপারে আশাবাদী রঞ্জি ট্রফির দুই ম্যাচে ৪৩ ওভার ব্ল করে ৭ উইকেট নেওয়া এ পেসার, 'অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি আমি। পরের লক্ষ্যটা হচ্ছে সেখানে পুরো সিরিজ খেলা। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো বোলিং করতে চাই আমি।' পিটিআই

No comments

Powered by Blogger.