বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ও বিএবির ফান্ড গঠনের খবর-ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেন সূচক ও শেয়ারের দাম

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছে_এমন খবরে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) পক্ষ থেকে স্টক মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড গঠনের ঘোষণারও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রভাবে আগের কার্যদিবসের (বৃহস্পতিবার) ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে। বেড়েছে বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম। তাই বেড়েছে সূচকও। গতকাল লেনদেন বেড়েছে ২১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২৫৬টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩০টির। ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে ১০৯.৫০ পয়েন্ট।


এর প্রভাবে প্রথম ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ১৯টি কম্পানির কোনো শেয়ার বিক্রেতা ছিল না। একই সঙ্গে সাতটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো ক্রেতা নেই। এ সময় স্টক এঙ্চেঞ্জটিতে সূচক বাড়ে ২৯৪ পয়েন্ট। সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন হওয়া প্রায় সব কম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বিক্রেতাশূন্য হওয়া কম্পানিগুলো হলো_ব্যাংক এশিয়া, বিডি সার্ভিস, বিজিআইসি, ব্র্যাকএসবন্ড, সিটি ব্যাংক, গ্রামীণফোন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, কে অ্যান্ড কিউ, লিব্রা ইনফিউশন, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, মুন্নু স্টাফলার, নিটল ইনস্যুরেন্স, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়ান ব্যাংক, ফার্মা এইড, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, শমরিতা হাসপাতাল ও সিঙ্গার বিডি।
একই সময় ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। এগুলো হলো_প্রথম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, দ্বিতীয় আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, তৃতীয় আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, চতুর্থ আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, পঞ্চম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
তবে টানা দরপতনের পর আবার এ ধরনের বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা। সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতনের যেমন কোনো ব্যাখ্যা নেই, তেমনি হঠাৎ করে মূল্যবৃদ্ধিও স্বাভাবিক নয়।'
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে মোট ২৫৬টি কম্পানির আট কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ১৫২টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬১৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯৯৭ টাকা। এটা আগের দিনের চেয়ে ২১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি।
দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ১০৯.৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৫৬৫৪.২৪ পয়েন্টে স্থির হয়। লেনদেন হওয়া ২৫৬টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ কম্পানির শেয়ারের দাম।
গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪২ টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_গ্রামীণফোন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবিএল, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, বেঙ্মিকো, এম আই সিমেন্ট, ওয়ান ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, সাউথইস্ট ব্যাংক ও বেঙ্মিকো ফার্মা।
মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো_ব্যাংক এশিয়া, লিগাসি ফুট ওয়্যার, গ্রামীণফোন, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ, ওয়ান ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, বিজিআইসি।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_ইমাম বাটন, দেশ গার্মেন্টস্, বাংলাদেশ অটোকারস্, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ঢাকা ডায়িং, মিথুন নিটিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিঙ্, অলটেঙ্, সোনালী আঁশ।

No comments

Powered by Blogger.