প্রাণ বাঁচাতে সোনাদানা-অর্থ দিতে চেয়েছিলেন গাদ্দাফি

সোনাদানা ও অর্থের বিনিময়ে নিজের জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলেন লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক গাদ্দাফি। নিহত হওয়ার আগে তিনি বিদ্রোহীদের কাছে এই আকুতি জানান বলে দাবি করেছেন ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
হামাদ মুফতি আলী নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জীবনের বিনিময়ে বিদ্রোহীদের বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্ত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন গাদ্দাফি।
সির্ত শহরের একটি ব্রিগেডের কমান্ডার মুফতি আলী ইতালির সংবাদপত্র করিয়েরে দেলা সেরাকে বলেন, গাদ্দাফি একটি নর্দমার পাইপে লুকিয়ে ছিলেন। তাঁকে টেনে সেখান থেকে তোলা হয় এবং ধাক্কা দেওয়া হয়। জীবনের বিনিময়ে সবকিছু দিতে রাজি বলে জানান গাদ্দাফি। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ৬৯ বছর বয়সী গাদ্দাফির শরীর এ ধকল সইতে পারেনি। তাঁর অবস্থা ছিল করুণ। তাঁকে পেটানো হয়েছিল এবং বিস্ফোরিত বোমার টুকরো তাঁর সর্বাঙ্গে বিঁধেছিল।
মুফতি আলী আরও বলেন, একপর্যায়ে কেউ একজন চিৎকার করে গাদ্দাফিকে বলেন, একজন ভালো মুসলিম হিসেবে তাঁর অর্থবিত্তের আলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত। মৃত্যুর আগে তাঁর উচিত আত্মার সদ্গতির জন্য স্রষ্টার উদ্দেশে প্রার্থনা করা। কিন্তু গাদ্দাফি বলতেই থাকেন, আরও অনেক অনেক অর্থ ও সোনাদানা দিতে তিনি প্রস্তুত।
ধারণা করা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গোপনে সংরক্ষিত রয়েছে কর্নেল গাদ্দাফির নগদ অর্থ ও সোনাদানা। এ সম্পদের মূল্য ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। চলতি বছর লিবিয়ায় বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, গাদ্দাফির সম্পদের কিছু অংশ জিম্বাবুয়েতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, লিবিয়া অন্তত ১৪০ টন সোনা গোপনে লুকিয়ে রেখেছে বলে তাদের বিশ্বাস।
গাদ্দাফির অন্তিম মুহূর্ত নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে এখনো। কীভাবে তিনি নিহত হয়েছিলেন, তা অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন দাবি এসেছে।

No comments

Powered by Blogger.