জার্মানির ৩০টি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা-কম্পানির শীর্ষপদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে

কোটা পূরণার্থে নিয়োগ মানে নারীকে খাটো করা। তাই আর বাধ্যতামূলক কোটা নয়, স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কম্পানির ব্যবস্থাপনায় আরো বেশি করে নারী নিয়োগ দেবে জার্মানির ৩০টি বৃহৎ কম্পানি। দেশটির ব্নু-চিপ ড্যাঙ্ বাণিজ্যের ৩০টি বৃহৎ কম্পানি গত সোমবার নতুন এ পরিকল্পনার কথা জানায়। পরিকল্পনাকে 'ইউরোপে ইউনিক' আখ্যা দিয়ে কম্পানিগুলো জানিয়েছে, তারা প্রতিটি কম্পানির জন্য বাস্তবভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা স্থির করবে এবং বছর শেষে এর অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে।


এ ক্ষেত্রে কোনো জোরজবরদস্তি নয়; বরং পরিকল্পনার স্বতঃস্ফূর্ততার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা জানান, এ পরিকল্পনায় কম্পানিগুলোর স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অংশগ্রহণ টেকসই এবং একই সঙ্গে ন্যায়সংগতও হবে। এতে আইনগত বাধ্যবাদকতার বিষয়টি আর প্রয়োজন হবে না।
জার্মান অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ১০ বছর আগেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু তাতে পরিবর্তন সামান্যই এসেছে বলা যায়। জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে জার্মানির ২০০ বৃহৎ কম্পানির সম্মানজনক পদে নারীর প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৩.২ শতাংশ। গত সোমবার ৩০ ড্যাঙ্ কম্পানিগুলো তাদের নির্বাহী পদগুলোয় নারীর অংশগ্রহণের হিসাব প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, আদিদাসের শীর্ষ পদগুলোয় নারীর প্রতিনিধিত্ব ২৮ শতাংশ। থিসেনক্রুপে ৮ শতাংশ এবং কসমেটিক কম্পানি হেঙ্কেলের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২৮.৭ শতাংশ। গাড়ি কম্পানি ভকসওয়াগন জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ পদে নারীর প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৩.৭ শতাংশ। তবে ২০২০ সাল নাগাদ তারা এর পরিমাণ ২০ শতাংশে নিতে চায় বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে আরেক গাড়ি কম্পানি ডেইমালারে রয়েছে ১১.৯ শতাংশ। ২০১৪ সাল নাগাদ তারা ১৪ শতাংশে নিয়ে আসবে। বৃহৎ জ্বলানি কম্পানি ইওএনের বর্তমান পরিমাণ ১২ শতাংশ। ফোর্বস ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী হয়েছেন জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মার্কেল। তিনি নারীকে কম্পানির উচ্চপদে নিয়োগের কোটাপ্রথা থেকে বেরিয়ে আনতে চাইছেন। তাঁর এ আইডিয়াকে সমর্থন জানান আরেক নারী, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী উরসুলা ভন দ্যার লিয়েন। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী ক্রিস্টিনা শ্রোয়েডার এটাকে সমর্থন জানাননি।

No comments

Powered by Blogger.