২- এই বিচারকই সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের অংশটি উঠিয়ে দিয়েছেন, তার অন্তর কাঁপেনি

যাবজ্জীবনের দাবি কেন করা হলো না, সে এক রহস্য!
...বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে আদালত অবমাননার সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান আপিল বিভাগ আমার প্রথম মামলাতেই লঙ্ঘন করেছিলেন। সেই বিচিত্র রায়ের সুযোগ নিয়েই অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এবার দাবি করলেন, আমাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের এই পাঁচ বছরের শানেনজুল তিনিই ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তার কাছ থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি কেন এলো না, সেও এক রহস্য!

‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’ পুরোটা পড়া শেষ করে অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে লাগলেন। ভদ্রলোকের বক্তব্যের মধ্যে আইনের কথার চেয়ে তার রাজনৈতিক মতামতই প্রাধান্য পাচ্ছিল। বেলা এগারোটার নির্ধারিত বিরতির মিনিট দশেক আগে সরকার পক্ষের প্রাথমিক বক্তব্য প্রদান সমাপ্ত হলো। এবার ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক আদালত অবমাননার শোকজের জবাব দিতে উঠে দাঁড়ালেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে তিনি বললেন, চিন্তা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সঙ্গে আদালতের কোনো বিরোধের উত্পত্তি হলে সেসব দেশের আদালত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই অধিক মূল্য দিয়ে থাকেন। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গম্ভীর হয়ে মন্তব্য করলেন, এটা বাংলাদেশ। বিরতির আগে রাজ্জাক ভাই পনেরো মিনিটের বেশি বলার সুযোগ পেলেন না।
আপিল বিভাগের তিন লর্ডশিপ এজলাস ত্যাগ করলে আমরাও গল্প-গুজব করার খানিক সময় পেলাম। ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম আমাকে আইনের বেশ কয়েকটি পাঠ্যবই হাতে তুলে দিল। বুড়ো বয়সে শেষ পর্যন্ত আইনের ডিগ্রি নেয়া হবে কি-না জানি না, তবে আমিই বোধহয় বাংলাদেশে প্রথম ব্যক্তি, যার আইন পড়ায় হাতেখড়ি হলো প্রধান বিচারপতির এজলাসে। বাবলু অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিরতির মধ্যেই চলে গেল; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ আবার ডিন নির্বাচন। মহাজোট সরকারের পৌনে দুই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাকে শিকেয় তুলে রেখে সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ চলছে। প্রথম শ্রেণী মেধা তালিকায় প্রথম সারির ছেলে-মেয়েদের বাদ দিয়ে অবলীলাক্রমে নিচের দলীয় নেতা-কর্মীদের শিক্ষক বানানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডিন নির্বাচনের ফল কী হবে, আন্দাজ করা শক্ত না হলেও বাবলুকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে মন চাইল না। এফআইডিএইচের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিজ ফ্লোরেন্স বেলেভিয়েরকে নিয়ে শুভ্রও উঠল এই ফাঁকে সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত্কার সেরে নিতে।
ঠিক দুপুর বারোটায় তিন লর্ডশিপ তাদের আসনে আবার বসলেন। শুরুতেই প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ব্যারিস্টার রাজ্জাককে তার যুক্তিতর্ক তিরিশ মিনিটের মধ্যে সমাপ্ত করতে নির্দেশ দিলেন। আদালত অবমাননার প্রথম মামলায় তখনকার প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিম আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আমাকে সাকুল্যে দশ মিনিট সময় দিয়েছিলেন। ব্যারিস্টারের সম্মানেই সম্ভবত রাজ্জাক ভাই আজ তিনগুণ সময় পেলেন। অসাধারণ বাগ্মিতা এবং আইনি কুশলতার সঙ্গে তিনি একটার পর একটা ‘ল’ পয়েন্ট আদালতের কাছে তুলে ধরলেন। বার বার বাধাগ্রস্ত হলেও ব্যারিস্টার রাজ্জাক একবারের জন্যও খেই হারাননি। নিজের প্রতি তার এই নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা আমাকে বিস্মিত করেছিল। প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এবং বিচারপতি এস কে সিনহা থেমে থেমে আমার প্রতি তাদের অপরিসীম উষ্মা ও বিরাগ প্রকাশ করে যাচ্ছিলেন। প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে বললেন, আমার লেখা পড়ে নাকি তার চল্লিশ বছরের পেশার প্রতি হতাশা জন্মে গেছে। ভয়ঙ্কর ক্রোধ বেশিক্ষণ চাপতে না পেরে তিনি আমাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানোরও ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ওদিকে বিচারপতি এস কে সিনহা আমার লেখায় বিচারপতিদের ধর্মবিশ্বাস, বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম চর্চাকারী বিচারপতিদের নিয়ে কটাক্ষ থাকায় বিষম উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। মুসলমান বিচারপতিদের উদ্দেশে করা আমার মন্তব্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই মাননীয় বিচারপতির কী সমস্যা হলো, সেটা আমার বোধগম্য হলো না। তিনি লেখা থেকে একটি বিশেষ অংশ আদালতে পড়ে শোনানোর জন্য ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সঙ্গে রীতিমত জবরদস্তি করলেন।
ওই অংশে আমি লিখেছিলাম,
“আল্লাহ্তায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা আল-হাদীদের ২৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সঙ্গে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে।’ আজকের বাংলাদেশের আদালতে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দুর্ভাগ্যক্রমে বিচারকদের মধ্যকার একটি বৃহত্ গোষ্ঠী ক্ষমতাসীনদের এসব অপতত্রতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিরোধ সৃষ্টি না করে বরং ন্যক্কারজনকভাবে তাদের সক্রিয় সহযোগিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এসব বিচারকের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাহ্যিকভাবে নাকি ধর্মপালনও করে থাকেন। ধর্মপালনকারীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা শুনেছি নিয়মিত নামাজও আদায় করেন। তাদের উদ্দেশে সূরা আল-বাক্কারার তিনটি আয়াত উদ্ধৃত করে আজকের মন্তব্য প্রতিবেদন সমাপ্ত করব।
সূরা আল-বাক্কারা
(৮) আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ তারা আদৌ ঈমানদার নয়।
(৯) তারা আল্লাহ্ ও ঈমানদারদের ধোঁকা দেয়। অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না।
(১০) তাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্ত এবং আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুত তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আজাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।”
প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কেবল নিয়মিত নামাজই পড়েন না, পীর-ফকিরদের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত করার গুজব উচ্চ আদালত পাড়ার অলিতে-গলিতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত। আমার মন্তব্য প্রতিবেদনের বিশেষ অংশটি ভরা এজলাসে পঠিত হওয়ার পর তার মনের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। উত্তেজিত প্রধান বিচারপতি উপস্থিত সকলকে তার কোরআন-হাদিসের ব্যাপারে অগাধ পাণ্ডিত্যের কথা শুধু উচ্চকণ্ঠে জানানই দিলেন না, আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মেরাজ গমন উপলক্ষে একটি হাদিস শুনিয়েও দিলেন। সেই হাদিসে দুর্নীতিবাজ, জালিম বিচারকদের দোজখে শাস্তির বর্ণনা রয়েছে। বিচারপতি খায়রুল হকের হাদিস বর্ণনা শুনে আমি যুগপত্ কৌতুক এবং বিতৃষ্ণা বোধ করছিলাম। এই সেই বিচারক, যিনি আমাদের সংবিধানের মূলনীতি থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের অংশটি নির্দ্বিধায় উঠিয়ে দিয়েছেন। এই অতীব গর্হিত শিরক্ করতে তার অন্তর কম্পিত হয়নি। এমন একজন ধর্মবিরোধী ব্যক্তির মুখ থেকেই হাদিসের বয়ান শুনতে হচ্ছে। আজ শুনানির সময় আদালতে শ্মশ্রুমণ্ডিত, পরহেজগার বর্ষীয়ান মুসলমানের অভাব ছিল না। তাদের মধ্য থেকে একজন উঠে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতিকে পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের বিষয়টি সাহস করে স্মরণ করিয়ে দিলে বাংলাদেশে ইনসাফের পক্ষে দাঁড়ানোর এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হতে পারত। প্রধান বিচারপতি আরও দাবি করলেন যে, তারা নাকি প্রতি সকালে এজলাসে ইয়া হাদিয়ু, ইয়া হাদিয়ু বলতে বলতে ওঠেন। তার এই দাবি সত্য হলে বুঝতে হবে ইয়া হাদিয়ু উচ্চারণ করলেই হেদায়েতপ্রাপ্ত হওয়া যায় না।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক মূলত তিনটি যুক্তি উপস্থাপন করলেন। তিনি বললেন, আমার ‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’ শীর্ষক লেখায় জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার যে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে আদালত অবমাননার অভিযোগ সংবিধানসম্মত নয়। দ্বিতীয়ত সকল সমালোচনাই আদালত অবমাননার সংজ্ঞাভুক্ত হতে পারে না। তার যুক্তি ছিল, কুত্সামূলক লেখার মাধ্যমে কোনো চলমান বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হলে সেটিই কেবল আদালত অবমাননার পর্যায়ভুক্ত হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশ-বিদেশের ডজনখানেক মামলার নজিরও দেখালেন। তৃতীয়ত দ্বিতীয় মামলাটি আদালত অবমাননার প্রথম মামলার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হওয়ায় সংবিধানের ৩৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একই অপরাধে দু’বার সাজা দেয়ার সুযোগ নেই। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাইবে না।” ‘চেম্বার মানেই সরকার পক্ষে স্টে’ শিরোনামে একটি সত্য, তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানিকালে সরকার পক্ষ আমার লেখা ‘মন্তব্য প্রতিবেদনটি’ প্রথম মামলার অতিরিক্ত আলামত হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে, আমি অব্যাহতভাবে আদালত অবমাননা করে চলেছি। সেই সময় পুরো লেখাটি আদালতে একবার পড়ে শোনানোও হয়েছিল। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পনেরো মিনিট সময় বেশি নিয়ে ঠিক বারোটা পঁয়তাল্লিশে তার বক্তব্যে ইতি টানলেন।
এরপর মহাপ্রতাপশালী অ্যাটর্নি জেনারেলের পালা। প্রধান বিচারপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সমাপনী বক্তব্য দিতে বললে বুঝলাম মামলায় শুনানি আর দীর্ঘায়িত না করে আজই আদেশ দেয়া হবে। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল তার অভ্যাস অনুযায়ী আইনের ধারেকাছেও না গিয়ে মিনিট দশেকের একটি বিদ্বেষমূলক, দলীয় বক্তব্য দিলেন। আমি আদালতের কাছে অনুকম্পার আবেদন না করলেও মাহবুবে আলম সুয়োমোটো অভিমত দিলেন, আমাকে কোনোরূপ অনুকম্পা দেখানো উচিত হবে না। তার বক্তব্যে আইনি মাল-মসলা তেমন না থাকলেও, তিনি আমার সাজার যে দাবিটি করলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে সেটাও ‘অনন্য’ নজির হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে আদালত অবমাননার সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান আপিল বিভাগ আমার প্রথম মামলাতেই লঙ্ঘন করেছিলেন। সেই বিচিত্র রায়ের সুযোগ নিয়েই অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এবার দাবি করলেন, আমাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে!
অ্যাটর্নি জেনারেলের এই পাঁচ বছরের শানে নজুল তিনিই ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তার কাছ থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি কেন এলো না, সেও এক রহস্য! আমার কাছেই বসা এক তরুণ আইনজীবী রসিকতার ছলে বলে উঠলেন অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত মাহমুদুর রহমানের সাজা দাবি করা উচিত ছিল। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর সে পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার খায়েশ খানিকটা নিষ্কন্টক হতো। এ দেশে আওয়ামী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলের বিদ্যমান আইন অথবা সংবিধানের কোনো রকম তোয়াক্কা না করলেও চলে। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শেষ হলে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কেবল পাঁচ মিনিট সময় চাইলেন আদালত অবমাননা প্রশ্নে দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের জন্য। প্রধান বিচারপতি রফিক ভাইকে সময় না দিয়ে রায়ের কপি আদালতে জমা দিতে বলে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। এজলাস ত্যাগের আগে বলে গেলেন তারা পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফিরে এসে আদেশ শোনাবেন। আমরা পুনরায় গল্প-গুজব শুরু করে দিলাম। প্রধানত অ্যাটর্নি জেনারেলের আবদার নিয়েই হাস্য-পরিহাস করার ফাঁকেই দেখলাম, প্রধান বিচারপতির সুউচ্চ এজলাসের পেছনের দরজা খুলে গেল। তিন লর্ডশিপ তাহলে কথামত দ্রুতই ফিরে আসছেন।

No comments

Powered by Blogger.