৮- এক শেয়ারবাজার থেকেই আওয়ামী রথী-মহারথীরা লুটে নিয়েছে কমপক্ষে এক বছরের বাজেট

টিআইবি রিপোর্টে মিডিয়ার কণ্ঠরোধের এসব চিত্র আসেনি
...জেলে আসার আগেও আমি কোনো টেলিভিশন টক শো’তে যাওয়ামাত্র বিশেষ সংস্থার লোকজন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতো। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমার অনুষ্ঠানের সিডি চাওয়া হতো, আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়া হতো আমাকে না আনাটাই তাদের জন্য মঙ্গলজনক। টিআইবি প্রতিবেদনে মিডিয়ার কণ্ঠরোধের এসব চিত্র কিন্তু উঠে আসেনি।...

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির সূচক প্রকাশ করেছে। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ‘মাত্র এক ধাপ’ নিচে নেমে ১২-তে গেছে। এক থেকে দশের সূচকে আমরা পেয়েছি ২.৩ নম্বর। গেল বছরও আমাদের প্রাপ্তি একই ছিল। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সেক্যুলার সরকারকে যথাসম্ভব খাতির করেছে। দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র প্রতিবেদনের তুলনায় অনেক ভয়াবহ। বিএনপি আমলে কোটির অঙ্কে দুর্নীতি হতো, আর ডিজিটালের যুগে শত কোটির নিচে কোনো লেনদেন নেই। এক শেয়ারবাজার থেকেই আওয়ামী লীগের রথী-মহারথীরা কমপক্ষে বাংলাদেশের এক বছরের বাজেট লুটে নিয়ে গেছে। চট্টগ্রামে ইউনি পে টু নামক হায় হায় কোম্পানি অন্তত নিয়েছে আরও অর্ধ বছরের বাজেটের সমপরিমাণ অর্থ। সমালোচকরা বলতে পারেন বন্দিত্বের কারণে ব্যক্তিগত বিরাগ থেকে আমি এসব কথা বলছি। এই অভিযোগের জবাবে একটা সাধারণ যুক্তি তুলে ধরছি। সচেতন পাঠক মাত্রই জানেন, খবরের কাগজে প্রকাশিত দুর্নীতি বিষয়ক সংবাদ টিআইবি’র পরিসংখ্যানের অন্যতম প্রধান সূত্র। বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম বর্তমানে যে ভয়ঙ্কর ভীতি ও চাপের মধ্যে আছে, তার সঙ্গে কেবল স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিব আমলের তুলনা চলে। আমি জেলে এসেছি ফার্স্ট ফ্যামিলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটা খবর ছাপানোর অপরাধে। আমার দেশ-এর অভিজ্ঞতার পর দুর্নীতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার সাহস দেশের ক’টা পত্রিকা দেখাতে পারবে? জেলে আসার আগেও আমি কোনো টেলিভিশন টকশো’তে যাওয়ামাত্র বিশেষ সংস্থার লোকজন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতো। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমার অনুষ্ঠানের সিডি চাওয়া হতো, আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়া হতো আমাকে না আনাটাই তাদের জন্য মঙ্গলজনক। টিআইবি প্রতিবেদনে মিডিয়ার কণ্ঠরোধের এসব চিত্র কিন্তু উঠে আসেনি।
বিএনপি আমলে এমন আতঙ্কজনক অবস্থা বিরাজ করলে একই টিআইবি ভিন্ন রিপোর্ট করত। এতে অবশ্য আশ্চর্য কিংবা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি বরাবরই বলে এসেছি রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনা ভাগ্যের বরকন্যা। বাংলাদেশের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের মালিকশ্রেণী তার দলের নেতা, কর্মী অথবা সমর্থক; এদেশের সংবাদকর্মীদের এক বিশাল অংশ সেক্যুলার চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী, আর বুশ ডকট্রিন পরবর্তী বিশ্বে আন্তর্জাতিক এস্টাবলিশমেন্টও সর্বতোভাবে তার পক্ষে। বিশ্ব রাজনীতির এই বাস্তবতায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল খানিকটা ফিল্টার না করে তাদের প্রতিবেদন ছাড়তে পারে না। তবে টিআইবি পরিসংখ্যান অন্তত এটুকু প্রমাণ করছে যে, দুর্নীতির মাপকাঠিতে বাংলাদেশ আগে যে তিমিরে ছিল, ডিজিটাল সরকারের জামানাতেও সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। বরং দুদককে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সটেনশন বানিয়ে রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়াররূপে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজ আবার হাজিরা দিতে সিএমএম কোর্টে যেতে হয়েছিল। আজও পূর্ববত্ যাওয়া-আসায় ছয় ঘণ্টা লেগেছে এবং কোর্ট গারদে কাটিয়েছি ঘণ্টাখানেক। সকালে প্রিজন ভ্যানে উঠে দেখি, ভেতরটা সম্পূর্ণ ভেজা। কারণ জিজ্ঞাসা করে জানলাম, গতকাল এই ভ্যানে করেই বিডিআর সদস্যদের ঢাকায় নেয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘসময় তালাবদ্ধ থেকে অসুস্থ হয়ে বমি করেছে, যা আজ সকালেই ধোয়া হয়েছে। আমাকে নেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করে আসার কারণে সেই পানি মোছার আর সময় পাওয়া যায়নি। এসব কষ্টের মধ্যেও কোর্ট গারদের একটা ছোট্ট ঘটনায় মনোবল দ্বিগুণ হয়েছে। গারদের ভেতরে শুয়ে শুয়ে সঙ্গে নেয়া বইটা পড়ছিলাম। একজন মাঝবয়েসী কনস্টেবল গারদের শিকের ফাঁক দিয়ে এক কাপ রঙ চা এগিয়ে ধরে আশ্বাসের ভঙ্গিতে বলল—মনের জোর হারাবেন না, স্যার। আপনি সত্ পথে আছেন, এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আপনিই জিতবেন। প্রত্যুত্তরে কপালে হাত ছুঁইয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। বাংলাদেশের এসব খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রকৃত অর্থেই দেশপ্রেমিক।
জুনের এক তারিখের গভীর রাতে বন্দি হওয়ার পূর্বমুহূর্তে ফোনে পারভীনকে বলে এসেছিলাম যেন জেলে কখনও সে কিংবা মা আমার সঙ্গে দেখা করতে না আসে। সে কথাটি আমার জেলজীবনের কথকতার প্রথম পর্বে একাধিকবার উল্লেখ করেছি। কেন এমন কথা বলেছিলাম তার ব্যাখ্যাও দিয়েছি। তারা বেশিদিন আমার নিষেধ মানেননি। মানা বোধহয় সম্ভবও ছিল না। পারভীন এখন প্রতি সপ্তাহেই আসছে, মাও ঢাকা জেলে দু’বার এসেছিলেন। সত্যি কথা হলো, আমিও এখন প্রতি শনিবারের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকি। জেলজীবনের এটাই নিয়তি। আপনজনদের ছেড়ে থাকার কষ্টের বোঝা যত দিন যায় ততই ভারী মনে হয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের এ এক ধরনের বিজয় বৈকি। গতকাল আমার বন্দিত্বের ঠিক দেড়শ’ দিন পার হয়েছে। শুভ্র, অলিউল্লাহ্ নোমান আর মাসুমকে নিয়ে পারভীন এসেছিল। অর্থকষ্টে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের অসহযোগিতায় আমার দেশ চালানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। আয়-উপার্জনের শেষ সম্বল আর্টিজান সিরামিক বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে এখনও দর কষাকষি চলছে। পারভীনের মন খারাপ। জেলে আসার আগে সাভারে মায়ের বাড়ি বিক্রি করে এসেছি, এখন সিরামিক কারখানাটাও যাচ্ছে। স্ত্রীর মাথায় হাত দিয়ে বললাম, রাস্তায় দাঁড়াতে হলেও আমার দেশ নিয়ে লড়াই থেকে পিছু হটব না। এত জুলুম, এত অবিচার সহ্য করতে হচ্ছে সত্যের পক্ষ নেয়ার অপরাধে। তবে, আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ্ বেশি দিন মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না। রাতের আঁধার অপসৃত হয়ে সূর্যের দেখা মিলবেই।
ট্রানজিট নিয়ে সরকার এবং ভারতের দালালদের জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজির বিষয়টি ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে। যে সিপিডি এতদিন ধরে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর স্বপ্ন ফেরি করছিল, তারা গতকাল ট্রানজিট প্রদানের মাধ্যমে দেশের সম্ভাব্য আয়ের একটা খতিয়ান দিয়েছে। সিপিডি’র হিসাব অনুযায়ী আগামী তিরিশ বছরে আমাদের প্রাপ্তি হবে মাত্র ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতদিন বলা হয়েছে, ফি-বছর আমরা নাকি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাব। বছরের পর বছর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে সরল জনগণকে ধোঁকা দেয়ার পর সুশীল(?) সংগঠনটি হয়তো মনে করেছে এবার থলির বেড়াল বার করলে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের জনগণের এখন আর প্রতিরোধের শক্তি নেই। সিপিডি’র এই পরিসংখ্যানের ওপর আমার কোনো আস্থা না থাকলেও তর্কের খাতিরে তিরিশ বছরের আয়ের গল্প মেনে নিয়ে টাকার অঙ্কটা বোঝার চেষ্টা করছি। তিরিশ বছরে ২.৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থ হলো বছরে যত্সামান্য ৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের জাতীয় আয়, রফতানি এবং বিদেশে বসবাসরত ও কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ বর্তমানে যথাক্রমে ৭০, ১৮ এবং ১২ বিলিয়ন (মিলিয়ন নয়) ডলার। তাহলে সিপিডি’র ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ট্রানজিট প্রদানের আয় হবে জাতীয় আয়, রফতানি ও বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থের যথাক্রমে মাত্র ০.১, ০.৪ এবং ০.৭ শতাংশ। এই অকিঞ্চিত্কর অর্থ উপার্জনের জন্য ঐতিহাসিক ‘ভারতবন্ধু’ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সর্বাংশে ভারতের পদতলে বিসর্জন দিয়েছে। আঞ্চলিক পরাশক্তির এদেশের চিহ্নিত দালালরা এতদিন বলে বেড়াত এক ট্রানজিটের আয় দিয়েই আমরা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে ফেলব। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বর্তমানে ভারতের অনুকূলে তিন বিলিয়ন ডলার। এখন পাঠকই বিবেচনা করুন, তিন বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি আপনি মাত্র ৮০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কতটুকু কমাবেন। ধাপ্পাবাজিরও একটা সীমা থাকা দরকার।
আমার ট্রানজিটের হিসাব সিপিডি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বছরে ৮০ মিলিয়ন ডলার আয় তো দূরের কথা, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে নিট হিসাবে বাংলাদেশের মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতি তো করেছেই, সেইসঙ্গে এদেশের সার্বভৌমত্বও বিকিয়ে দিয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে। অর্থনীতির কথাটাই বলি; জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও রাজনীতিবিদরা বিবেচনা করবেন। আমাদের রফতানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে তাদের পণ্যসম্ভারের বাজার সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছেন। বৃহত্ প্রতিবেশী-সৃষ্ট নানারকম শুল্ক, অশুল্ক প্রতিবন্ধকতার কারণে রফতানিকারকরা এখন পর্যন্ত তেমন সাফল্যের মুখ না দেখলেও এতদিন তবু একটা আশা বেঁচে ছিল। ভারতের শিল্পোন্নত রাজ্যগুলো থেকে ঘুরপথে সাত বোন রাজ্যে পণ্য আমদানি ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা ওই অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বর্তমান অবস্থা আর কিছুদিন অব্যাহত থাকলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভোক্তাদের দাবির মুখে একসময় ভারত সরকারকে সব শুল্ক-অশুল্ক বাধা হয়তো প্রত্যাহার করতে হতো। একবার ট্রানজিট দেয়া হয়ে গেলে তুলনামূলক কম খরচে ভারতীয় পণ্য আনা-নেয়া করার ফলে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বাজার সৃষ্টির সেই সম্ভাবনা বহুলাংশে হ্রাসপ্রাপ্ত হবে। এছাড়া বর্তমান সরকার ট্রানজিট দেয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরও যেহেতু ভারতের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে; কাজেই, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে আবির্ভূত হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তৈরি পোশাক এখনও আমাদের প্রধান রফতানি খাত। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক মজুরি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম এবং মেঘালয়ে মজুরি এখনও অনেক কম। এতদিন তাদের মূল সমস্যা ছিল উচ্চ পরিবহন ব্যয় এবং সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত পরিবহন জটিলতা। ভারতে কাঁচামালের সহজলভ্যতার কারণে আমাদের পোশাক শিল্প প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে প্রচুর তুলা উত্পন্ন হওয়ায় সেখানে কম খরচে সুতা এবং কাপড় উত্পাদন করা সম্ভব। আমরা এতদিন এগিয়ে ছিলাম স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি, শ্রমিক শ্রেণীর দক্ষতা, ইউরোপে জিএসপি সুবিধা এবং পরিবহন ও বন্দর সুবিধার কারণে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জিএসপি সম্পর্কযুক্ত হওয়ার ফলে আর কতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সুবিধা অব্যাহত রাখবে, সে বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। এখন ভারতের কাছে ক্ষমতাসীনদের ঋণ শোধের জন্য ট্রানজিট ও বন্দর সুবিধা প্রদান করে আমাদের রফতানি খাতকে দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলা হলো।
বছরে মাত্র ৮০ মিলিয়ন ডলার আয়ের লোভে ১৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাণিজ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা দুনিয়াতে বোধহয় একমাত্র বাঙালি মুসলমানের পক্ষেই সম্ভব। মহান আল্লাহ্ এই আত্মহত্যাপ্রবণ, অসচেতন জাতিকে হেদায়েত করুন। কবি আবদুল হাই শিকদারের ‘কসম’ কবিতার মতো করে দেশ ও জনস্বার্থবিরোধী ক্ষমতাসীন মহাজোটকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে,
“তারপর বলব, কেন তুমি আধিপত্যবাদের কাছে হৃদয় বন্ধক দিয়েছিলে?”

No comments

Powered by Blogger.