৪৫- পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মহোত্সব চললেও বিএনপি’র মতো সুশাসনের তাগিদ শুনতে হচ্ছে না

ভিযুক্তকে জেলে আটক রেখে বিচার প্রক্রিয়াই চরম অবিচার
.... বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালত অবমাননা মামলায় কখনও অভিযুক্তকে জেলে বন্দি রেখে বিচার করা হয়নি। আমার ক্ষেত্রে সেই নজিরবিহীন ঘটনা একবার নয়, আগামীকাল দ্বিতীয়বার ঘটতে চলেছে। সুতরাং ইনসাফের প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে কোনো মামলাতেই অভিযুক্তকে জেলে আটক রেখে বিচার প্রক্রিয়াই চরম অবিচার।

পুলিশের নাকের ডগায়, দিনে-দুপুরে গতকাল লাঠি ও লোহার রডের আঘাত এবং রামদায়ের কোপে নিহত হলেন নাটোরের বিএনপি সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবু। তিনি সেখানে বিএনপি আয়োজিত একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। মাত্র ক’দিন আগেই এই নাটোরে আওয়ামী লীগেরই ২০ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মহাজোটের মন্ত্রী তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণও করে নিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, সানাউল্লাহ বাবু হত্যাকাণ্ডে সেই সদ্য মুক্তিপ্রাপ্তরাও জড়িত রয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথে এমনই প্রকাশ্য দিবালোকে, দেশের সব ক’টি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা এবং অসংখ্য সংবাদকর্মীর চোখের সামনে লগি, বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মহাজোট কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর লোকজনদের হত্যা করেছিল।
গতকালের নাটোরের মতো সেদিনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে থেকে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে দিয়েছিলেন। চরিত্রগতভাবে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হিংস্রতায় যে অতুলনীয়, সেই সত্যটি এ দেশে বার বার প্রমাণিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের সমাজ থেকে আজ পর্যন্ত যথেষ্ট প্রতিবাদ উত্থাপিত হয়নি, হত্যাকারীরা সব সময়ই পার পেয়ে যাচ্ছে। মাত্র ক’দিন আগে ঢাকায় চৌধুরী আলমকে গুম করার পর নাটোরে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে হত্যা করা হলো, অথচ নিষ্ক্রিয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ঘর গোছানো কিছুতেই যেন শেষ হচ্ছে না। দলটির বড় বড় নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন যে, তারা জনগণকে কষ্ট দিতে চান না বিধায় সরকারের অপশাসন, জুলুমের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি দিচ্ছেন না। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের এ জাতীয় বৈষ্ণবসুলভ, মহতী বক্তব্যে জেলের বাইরের জনগণ কতটা অনুপ্রাণিত বোধ করছেন বলতে পারব না, তবে জেলের ভেতরের বাসিন্দাদের ধারণা দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতেই এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো নেতারা এসব কথা বলছেন। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গত মাসে ওমরাহ্ করতে যাওয়ার প্রাক্কালে জনগণকে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আপসকামিতার ইঙ্গিত বহন করছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রায় তিরিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন সফল সময় আর আসেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একমাত্র মুসলিম বিশ্ব ছাড়া তিনি পূর্ব-পশ্চিমের পুঁজিবাদী-সমাজবাদী নির্বিশেষে প্রায় সব শক্তির ঢালাও সমর্থন পাচ্ছেন। পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির মহোত্সব চললেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিএনপি’র মতো সুশাসনের তাগিদ শুনতে হচ্ছে না। বাংলাদেশে এক বায়বীয় ইসলামী জঙ্গি জুজুর ভয় দেখিয়ে সব মহলকে তিনি সামলে রেখেছেন। তার কৌশলের কাছে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জলপান করছে। ঘরের ভেতরে সব স্তরে দলীয়করণের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সবাই এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী, সমর্থক, স্তাবকে পরিণত হয়েছে।
এক এগারোর ফোলানো বেলুন সশব্দে ফেটে যাওয়া এবং দুঃখজনক বিডিআর হত্যাকাণ্ডের উপর্যুপরি ধাক্কায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক সেনাবাহিনী একেবারেই হীনবল। আন্তর্জাতিক কূটকৌশলের কাছে পরাজিত এবং দ্বিধাবিভক্ত বিরোধী দল এই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে না। ডিজিটাল নির্বাচনে এত বড় বিপর্যয় সত্ত্বেও ব্যক্তিস্বার্থকে অতিক্রম করে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না। সুতরাং রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা বিনা চ্যালেঞ্জে এক ব্যক্তির হাতে পুঞ্জীভূত হয়েছে। যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য এ এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি। মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক দলীয় বাকশাল শাসনের মাধ্যমে যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশে তিনযুগ আগে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তার কন্যা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ঠিক সেই কাজটিই অনেক সহজে সম্পন্ন করেছেন। পিতা ঘোষণা দিয়ে সব সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ করেছিলেন, আর কন্যা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সংবাদ প্রবাহের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। অথচ অদূর ভবিষ্যতে তেমন কিছু ঘটার কোনো লক্ষণ কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
রাত পোহালেই ১১ অক্টোবর। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান হামলা এবং বাংলাদেশে জেনারেল মইনের জাতিসংঘ নির্দেশিত ক্যুদেতার কল্যাণে নয় এগারো এবং এক এগারো এদেশের জনগণের কাছে বহুল পরিচিত দুটো দিন। কালকের দশ এগারো আমার জন্য কোন্ বারতা নিয়ে আসছে, সেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মুখোমুখি হলেই জানা যাবে। আগস্টের ১৯ তারিখে যে ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আমাকে এবং অলিউল্লাহ নোমানকে সাজা দিয়ে কেবল বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন কাল উপস্থিত থাকবেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের অবসর গ্রহণের পর দু’জন সিনিয়র বিচারপতিকে ডিঙিয়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি বানানো হয়েছে। সরকারের এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিচারপতি এমএ মতিন এবং বিচারপতি শাহ্ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন। কাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এজলাসে বসবেন বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং বিচারপতি এসকে সিনহা। প্রথম মামলার সাজা এতদিনে ধাতে সয়ে যাওয়ায় কালকের ব্যাপারে অনেকটাই নির্ভার রয়েছি। তাছাড়া এবার যেহেতু রাজ্জাক ভাই অথবা মোহাম্মদ আলী ভাই শুনানি করবেন, তাই লর্ডশিপদের সঙ্গে অনভিপ্রেত তর্কাতর্কির বিরক্তি অন্তত: এড়ানো যাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালত অবমাননা মামলায় কখনও অভিযুক্তকে জেলে বন্দি রেখে বিচার করা হয়নি। আমার ক্ষেত্রে সেই নজিরবিহীন ঘটনা একবার নয়, আগামীকাল দ্বিতীয় বার ঘটতে চলেছে। সুতরাং, ইনসাফের প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে কোনো মামলাতেই অভিযুক্তকে জেলে আটক রেখে বিচার প্রক্রিয়াই চরম অবিচার। গণতান্ত্রিক বিশ্বে জেলে আটক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীও প্রয়োজনমত তার আইনজীবীর সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে পারে। কিন্তু, বাংলাদেশে এটা আকাশকুসুম কল্পনা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বলি।
জেল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে মাত্র একবার তিরিশ মিনিটের জন্য আমাকে জেলগেটে দেখা-সাক্ষাতের অনুমতি দেয়। সেই দেখায় আমার মা এবং স্ত্রী অথবা আইনজীবীদের মধ্যে যে কোনো এক পক্ষকে বেছে নিতে হয়। আমার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত সরকার মাত্র ঊনপঞ্চাশটা (!) মামলা দায়ের করেছে। মামলা প্রতি আলোচনার জন্য এক মিনিট করে সময় নিলেও অন্তত: ৪৯ মিনিট সময়ের প্রয়োজন যেখানে, সেখানে আমার বরাদ্দ সময় ৩০ মিনিট। বাধ্য হয়েই সংসার এবং অফিসের কাজ ফেলে আমার স্ত্রীকে উকিলের বাসায় এবং চেম্বারে দৌড়াতে হচ্ছে। সমস্যা হলো, অভিযোগ যেহেতু আমার বিরুদ্ধে কাজেই মামলার সব প্রাসঙ্গিক তথ্য পারভীনের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কাজেই বেচারী যতই দৌড়াদৌড়ি করুক না কেন, আইনজীবী এবং আমার মধ্যে চিন্তা-ভাবনার ফারাক থেকেই যাচ্ছে। আদালত অবমাননার প্রথম মামলায় শুনানির সকালের আগে শো-কজের জবাব চোখে পর্যন্ত দেখিনি। সেই অবস্থাতেই চরম বৈরী বেঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে সব লাঞ্ছনা সহ্য করে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হয়েছে। তারপরও এই জেলে ভাগ্যবান ডজন খানেক বন্দির মধ্যে আমি একজন, যে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও তুলনামূলক ভদ্র পরিবেশে আইনজীবীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করার সুযোগ পায়। সাধারণ কয়েদিদের সাক্ষাত্কারের নামে অমানবিক আয়োজনের যে বর্ণনা আমি আগেই দিয়েছি, সেটি পাঠ করে পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ওই পরিবেশে আর যাই হোক, কারও মামলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। সুতরাং, কাউকে জেলে আটকে রেখে বিচারের যে প্রহসনটি করা হয়, তার সঙ্গে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়ার মধ্যে কোনো তফাত্ নেই। রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং টাকার জোর ছাড়া এই রাষ্ট্রে নাগরিকের বেঁচে থাকাই দুরূহ হয়ে উঠছে।
জুন মাসের দুই তারিখে রাত আটটায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশে শত বছরের পুরনো এই জেলখানায় বিচারাধীন হাজতি হয়ে প্রবেশ করেছিলাম। তারপর দেশের সর্বোচ্চ আদালত আমাকে হাজতি থেকে কয়েদিতে প্রমোশন দিয়েছেন। সেদিন থেকে চলছে কয়েদি জীবন। সরকারের পক্ষে সম্ভব হলে তারা বাকি মেয়াদের পুরো সময়টাই আমাকে বন্দি করে রাখবেন। রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে আওয়াজ তোলার অপরাধে আমাদের তিনজনের ছোট্ট সংসারটাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সাড়ে চার মাস ধরে জেলে আছি, রিমান্ডে নিয়ে আমার ওপর নির্যাতনও চালানো হয়েছে, কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে আমার মনোবলে এতটুকু চিড় ধরেনি। তিনি চাইলে আমাদের ভাঙা সংসার আবার জোড়া লাগবে, আমরা আবার এক হব। সে পর্যন্ত তিন জনের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
সুখের বিষয় হলো, চরম দলবাজ প্রশাসনের পক্ষেও আমার দেশ দু’মাসের অধিক তালাবদ্ধ করে রাখা সম্ভব হয়নি। পত্রিকা অফিস এবং প্রেসের বন্ধ তালা গণদাবির মুখে তারা খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই অফিসেই আমার সহকর্মীদের সঙ্গে বসে কাজ করার স্বপ্ন দেখে দিন কাটাচ্ছি। ফি শনিবারে আবারও আমরা কনফারেন্স রুমে সাপ্তাহিক মিটিংয়ে বসব, প্রতি সন্ধ্যায় নিউজ এডিটরের টেবিলের পাশে বসে প্রথম এবং শেষ পাতার মেকআপ তৈরি করব, পত্রিকার প্রধান খবর নিয়ে চিফ রিপোর্টারের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হব। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথম বারের জন্য শুনেছিলাম, truth is no defence। শ্মশ্রুমণ্ডিত, প্রবীণ বিচারকের মুখ থেকে উচ্চারিত ওই চারটি ইংরেজি শব্দ শুনে চমকে উঠেছিলাম। এটাই নাকি দেশের আইন। সত্যকে নির্বাসনে পাঠানোর আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্র কিংবা জনগণের কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আল-বাকারাহ্’র ৪২ নম্বর আয়াতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্তায়ালা নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে তোমরা গোপন করো না।’ নব্বই শতাংশ মুসলমান ধর্মাবলম্বীর দেশে কোরআনের সেই নির্দেশকে আমরা অস্বীকার করে চলেছি। এদেশে সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে মামলার সূত্র ধরে গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী বাতিল হয়ে যায়, অথচ সত্যকে অস্বীকার করে প্রণীত আইন জনগণের কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো শত বছর ধরে চেপে বসে থাকে। যে বিচারক কোরআন, হাদিস থেকে অহরহ উদ্ধৃতি দেন, সত্যের বিরুদ্ধাচারণ করতে তার বিবেক কিংবা আত্মা কম্পিত হয় না। আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজ জীবন থেকে নির্বাসিত সত্যকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সংবাদকর্মীসহ দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের। আমি হতাশাবাদীদের দলভুক্ত নই। ইনশাল্লাহ্ মিথ্যাকে বাতিল করে সত্য এদেশে একদিন অবশ্যই উদ্ভাসিত হবে। বাতিলের পূজারীদের অবমাননাকর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেই প্রত্যয় অন্তরে ধারণ করেই কাল সকালে প্রিজন ভ্যানে গিয়ে উঠব। পরিণতির ভার আল্লাহ্র
হাতে ছেড়ে দিয়ে আদালতে অবশ্যই সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখব।

No comments

Powered by Blogger.