২৬- প্রেস ক্লাব নির্বাচনে বাকস্বাধীনতার পক্ষের লড়াকু সাংবাদিকরা ন্যায়ের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন

বধারিত সেই সংগ্রামেরই পথনির্দেশ
...মহান আল্লাহর কাছে শুধু প্রার্থনা করি, এদেশের জনগণ যেন সংবিত্ ফিরে পেয়ে ছিনতাই হয়ে যাওয়া সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াই সাহসের সঙ্গে শুরু করে। প্রেস ক্লাবের নির্বাচন যত ক্ষুদ্র ঘটনাই হোক না কেন, হয়তো সেই সংগ্রামেরই পথনির্দেশ করছে।...

হ্যাপি নিউ ইয়ার। ইংরেজি নববর্ষে শুভেচ্ছা আর বাংলায় জানালাম না। কিন্তু শুভেচ্ছাটা জানাচ্ছি কাকে? বন্দিজীবনে পুরনো আর নতুন সব বছরই একরকম। অবশ্য যাদের মুক্তির দিনক্ষণ ঠিক করা আছে, তারা বছর পার হলে মুক্তির দিন এগিয়ে আসছে মনে করে আনন্দিত হয়, আশায় বুক বাঁধে। আমার বিষয়টা ঠিক বুঝতে পারছি না। মার্চের ১৯ সাজা শেষের দিন ঠিক করা আছে বটে; কিন্তু মুক্তি একেবারেই অনিশ্চিত।
হীরা সকালবেলা ছোট একটা ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছে। তবে এই মুহূর্তে আমি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমার পাঠককে। তারা ক’জন আমার এই লেখা কবে পড়বেন, সেটা বলতে পারছি না। যেদিনই পড়বেন, অনুরোধ করছি পড়ার সময় ক্ষণিকের তরে চোখ বুজে ২০১১ সালের প্রথম দিনটি স্মরণ করে আমার শুভেচ্ছাটুকু গ্রহণ করবেন। পুরনো বছরের দীর্ঘ সাতটা মাস জেলে কাটানোর পর বছরের প্রথম দিনটা বড় ভালো কাটলো। পারভীন এসেছিল সেটা ভালো লাগার প্রথম কারণ, মা বছরের প্রথম দিন আমার পছন্দের নারকেলী পিঠা পাঠিয়েছেন, সেটা আনন্দ নম্বর দুই। তবে এগুলো মোটামুটি প্রত্যাশিত।
যে খবরে মনে হয়েছে আজি প্রভাতে আমার জন্য সূর্য ওঠা সফল হয়েছে, তা হলো জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের ফলাফল। কক্সবাজারে শুনে এসেছিলাম সরকারপন্থী প্যানেলকে জেতানোর জন্য বিশেষ সংস্থা নাকি উঠেপড়ে লেগেছে। প্রলোভন, হুমকি কোনোটাই বাদ যায়নি। নির্বাচনে সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছিলেন আমারই সহকর্মী, আমার দেশ পত্রিকার ডেপুটি এডিটর সৈয়দ আবদাল আহমদ। গতকাল নির্বাচন ছিল, উত্কণ্ঠায় রাতে ভালো করে ঘুমাতেই পারিনি। আমাদের শোচনীয় অর্থাভাবের দীনহীন পত্রিকা, আমি রাজরোষের শিকার হয়ে কারাবন্দি, ফ্যাসিবাদী সরকারের চণ্ডনীতি আগের নির্যাতনের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অপরদিকে আবদালের প্রতিদ্বন্দ্বী যুগান্তরের নির্বাহী সম্পাদক। পত্রিকাটির মালিকপক্ষ কেবল অগাধ অর্থের মালিকই নন, মালিকপত্নী ও সম্পাদক মহাজোটের সঙ্গী জাতীয় পার্টির মহিলা কোটার একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। সব বিবেচনাতেই এ এক অসম লড়াই। জেলগেটে পারভীনের সঙ্গে দেখা হওয়ামাত্র ও উজ্জ্বল হাসিতে মুখ ভরিয়ে বললো, আবদাল ভাই জিতে গেছেন। আমার নববর্ষের বিস্ময়ের কেবল শুরু। আবদাল একা নয়, নির্বাচনে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিকরা সতেরটা পদের মধ্যে সভাপতি, সম্পাদকসহ তেরোটি পদেই জিতেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের মধ্যে শতকরা আশি ভাগ হয় সরাসরি সরকারি দল করেন, অথবা তাদের কট্টর সমর্থক। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, প্রবীণ সম্পাদক সমকালের গোলাম সারওয়ার। পত্রিকাটির মালিক লব্ধপ্রতিষ্ঠ ব্যবসায়ী, এফবিসিসিআই সভাপতি এ. কে. আজাদ। এই ব্যবসায়ীর আগেও অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনের সভাপতির পদে বসেছেন। ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এবং সালমান রহমান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। কিন্তু এফবিসিসিআইর সভাপতির চেয়ারে বসে তারাও বোধহয় হা-মীম গ্রুপের মালিকের মতো এমন প্রকাশ্যে এবং এতটা প্রকটভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থনে অবস্থান নেননি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সহিংস তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনের সময় তত্কালীন এফবিসিসিআই সভাপতি সালমান রহমান অবশ্য বিএনপি-সরকারবিরোধী সেই আন্দোলনে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারপরও তার বক্তৃতায় তিনি বিএনপি নেতৃত্বকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন—এমন ঘটনা স্মরণে আসছে না।
ক’দিন আগে হরতাল নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতিকে বিরোধী দলের প্রতি যে ভাষায় বিরক্তি প্রকাশ করতে শুনলাম, সেটি আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর কণ্ঠেই অধিক মানানসই হতো। সেই এ. কে. আজাদের পত্রিকা সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের বিপুল ভোটের ব্যবধানে কামাল উদ্দিন সবুজের কাছে প্রেস ক্লাব নির্বাচনে হেরে যাওয়া মহীরুহ পতনের সমতুল্য। বিবেকসম্পন্ন, বাকস্বাধীনতার পক্ষের লড়াকু সাংবাদিকরা নিশ্চিতভাবেই অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী ন্যায় ও স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও ফ্যাসিবাদ সমর্থকদের প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন এদেশের ফোর্থ এসটেইট। সুখবর শোনা তখনও শেষ হয়নি। আমার আরও দুই সহকর্মী কাদের গনি চৌধুরী এবং কবি হাসান হাফিজও যথাক্রমে যুগ্ম সম্পাদক ও এক নম্বর সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন। ফ্যাসিবাদের যে জগদ্দল পাথর ১৯৭৫ সালের পর জাতির কাঁধে আবার চেপে বসেছে, তাকে ভাসিয়ে নেয়ার জন্য অপ্রতিরোধ্য যে জোয়ারের অপেক্ষা করছে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ, তার আওয়াজ যেন দূর থেকে হলেও শুনতে পাচ্ছি। মার্কিন-ভারত লবির মুখপত্রগুলোর দীর্ঘদিনের অব্যাহত প্রচারণায় বিভ্রান্ত জনগণের চেতনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে অনিশ্চিত বন্দি জীবনযাপন করছি। মুক্তি মিলবে কি-না জানি না, তার পরোয়াও করি না। মহান আল্লাহর কাছে শুধু প্রার্থনা করি, এদেশের জনগণ যেন সংবিত্ ফিরে পেয়ে ছিনতাই হয়ে যাওয়া সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের লড়াই সাহসের সঙ্গে শুরু করে। প্রেস ক্লাবের নির্বাচন যত ক্ষুদ্র ঘটনাই হোক না কেন, হয়তো সেই অবধারিত সংগ্রামেরই পথনির্দেশ করছে।
২০১০-এর শেষ উপহার হিসেবে সদাশয় সরকার যে আমাকে সৈকত ভ্রমণ করিয়ে এনেছে, সেই গল্প করা হয়নি। বারদুয়েক তারিখ পাল্টে শেষ পর্যন্ত কক্সবাজারে হাজিরার তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল ২৮ ডিসেম্বর। ২৭ তারিখে সেই ভোর ছ’টা থেকে তৈরি হয়ে থেকে এসকর্ট আসতে দেরি করার কারণে রওনা হলাম সকাল সাড়ে ন’টায়। এসকর্ট হিসেবে সঙ্গে একজন এসআই, একজন হাবিলদার এবং দু’জন কনস্টেবল। মাইক্রোবাসে উঠেই লক্ষ্য করলাম, এদের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট শীতল এবং খানিকটা অসৌজন্যমূলক। আমিও বিশেষ কথা না বাড়িয়ে সঙ্গের ইংরেজি পেপারব্যাকে মনোনিবেশ করলাম। ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস অর্থাত্ পূর্বাচলের ভেতর দিয়ে রূপগঞ্জের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতেই সকাল এগারোটা পেরিয়ে গেল। কুমিল্লার কাছাকাছি এক সিএনজি স্টেশনে গ্যাস নিয়ে যাত্রা শুরু করলে আমি হাইওয়ে ইনে মধ্যাহ্নভোজের ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। সকালে শুধু এক কাপ কফি খেয়ে আসায় খিদেও পাচ্ছিল। খানিক ইতস্তত করে এসআই জবাব দিল হাইওয়ে ইনে থামা সম্ভব নয়। কেবল প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়া এবং তেল বা গ্যাস নেয়ার প্রয়োজন ছাড়া আমাকে গাড়ি থেকে নামতে না দেয়ার নির্দেশ ওপর মহল থেকে দেয়া আছে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কাজটিও রাস্তার পাশে উন্মুক্ত স্থানে করতে হবে কি-না, জিজ্ঞেস করে কোনো জবাব পেলাম না।
খানিক পরে পুলিশ কর্মকর্তাটি একটু বিব্রত হয়েই বললো, আমি ইচ্ছে করলে পানি এবং হালকা খাবার গাড়ির ভেতরেই খেতে পারি। এবার আমার চুপ করে থাকার পালা। না খেয়ে থাকলেও প্রকৃতির ডাকে সারাটা পথ সাড়া না দিয়ে থাকা সম্ভব ছিল না। অনেকটা বিদ্রূপ করেই গাড়ির ভেতরেই একটা পাত্রের ব্যবস্থা করতে বললে মিরসরাইয়ের কাছাকাছি এক পেট্রল পাম্পে গাড়ি থামানো হলো। অতি নোংরা টয়লেট, সৌভাগ্যবশত শুধু জলত্যাগের প্রয়োজন ছিল বলেই বাঁচোয়া। পাম্পের লোকজন চিনতে পেরে দৌড়ে এক কাপ চা এনে দিলে বিনা বাক্যব্যয়ে গলাধঃকরণ করলাম। চকরিয়ার বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যখন পার হচ্ছি, তখন রাত দশটা বেজে গেছে। অন্ধকারের মধ্যে গাড়ি চলছে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে। হঠাত্ চালকের দিকে তাকিয়ে দেখি, তার চোখ ঘুমে প্রায় বুজে এসেছে, স্টিয়ারিংয়ের ওপর শিথিল হাত। অনেকটা চিত্কার করেই গাড়ি থামাতে বললাম। তখন শুনলাম চালক দু’রাত ঘুমায়নি, কেবল ট্রিপ মেরে বেড়িয়েছে। বিপদ বুঝতে পেরে এসআই চালককে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে চোখে-মুখে পানি দিতে এবং চা খেয়ে ঘুম তাড়াতে বললো।
শেষ পর্যন্ত রাত এগারোটার খানিক পর কক্সবাজার জেলগেটে পৌঁছালাম। সেখানে সেই শীতের রাতে সদর আসনের সংসদ সদস্য লুত্ফর রহমান কাজল, আমার দেশ চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান জাহিদুল ইসলাম কচি, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ওয়াহিদাসহ কক্সবাজার বারের কয়েকজন আইনজীবীকে দেখে অভিভূত হলাম। এতজন গণ্যমান্য ব্যক্তি আমার মতো এক সাধারণ মজলুম কয়েদির জন্য এত কষ্ট করবেন, এই সম্মান আশা করিনি। তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে জেলে ঢুকলাম। সেখানেও অভ্যর্থনায় ঘাটতি ছিল না। জেলর মুজিব, ডেপুটি জেলর মাহমুদ আমার আগমনের প্রতীক্ষাতেই ছিলেন। আসামির হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুতই সম্পন্ন হলো। এদিকে প্রায় পনেরো ঘণ্টার বিরতিহীন ভ্রমণ শেষে সঙ্গের চার পুলিশ সদস্যের অবস্থা কাহিল। সে তুলনায় এই বয়সে আমিই বরং সুস্থ আছি। রীতি অনুযায়ী আসামিকে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়েই এসকর্ট বাহিনীর ফিরতি যাত্রা শুরু করার কথা। কিন্তু চার পুলিশের যে অবস্থা, তাতে এই রাত বারোটায় ঢাকার পথে রওনা হলে তারা নির্ঘাত রাস্তাতেই মারা পড়বে। এদের করুণ অবস্থা জেলর মুজিবও লক্ষ্য করলেন। তিনি পরামর্শ দিলেন রাতটুকু অন্তত কাছের পুলিশ লাইনে বিশ্রাম নিয়ে পরদিন সকালে ঢাকায় ফিরতে। এসআই স্যালুট দিয়ে বিদায় নিল। আমরা উল্টোদিকে রওনা দিলাম ডিভিশন সেলের দিকে।
ডিভিশন সেল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা বাড়ি। ইমারতের চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘিরে ভিআইপি বন্দির স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা হয়েছে। আমার থাকার নির্ধারিত সেলে গিয়ে থমকে দাঁড়াতে হলো। সেখানে মাটিতে কম্বল পেতে দু’জন কয়েদি শুয়ে আছে। জেলরের সঙ্গে আমাকে দেখেই লাফিয়ে উঠে সালাম দিল। জিজ্ঞাসুনেত্রে জেলরের দিকে তাকাতেই তিনি বললেন, রাতে দেখভালের জন্য এরা আমার সেলেই থাকবে। আমি নির্জনতা পছন্দ করি জানিয়ে একটু রসিকতা করেই বললাম, ভূতে বিশ্বাস নেই আমার। জেলর মুজিব দেখলাম ভালো মানুষ। কথা না বাড়িয়ে দুই সেবককে পাশের সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিলেন।
এবার চারদিকে ভালো করে চেয়ে দেখলাম। বেশ বড় সেল, লাগোয়া কমোডঅলা টয়লেট। ঘরে দু’টি খাট পাতা রয়েছে। তার মধ্যে একটায় চাদর আর মশারি দু’টিই রয়েছে। বুঝলাম, ওটাই আমার কক্সবাজার জেলের দু’রাতের শয্যা। টেবিল এবং হাতলঅলা চেয়ারের ব্যবস্থাও নজরে পড়লো। সমস্যার মধ্যে চারদিকে ধুলো-ময়লার রাজত্ব। দীর্ঘদিন এই সেলে কেউ থাকেনি। তাই পরিষ্কারের দিকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ খেয়াল করেনি। তবে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে ওই গভীর রাতেও আমার আহারের আয়োজন করে রেখেছে। এই দীর্ঘ যাত্রাশেষে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একেবারেই খাওয়ার রুচি হলো না। সেলের তালা লাগিয়ে সবাই চলে গেলে গোটা দুয়েক বিস্কুট আর পানি দিয়ে রাতের আহার শেষ করলাম। দেরি না করে সটান কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লেও সারা রাত ঘুম আর এলো না। নতুন পরিবেশে ধাতস্থ হতে না পারাটা একটা কারণ; কিন্তু তার চেয়ে বড় সমস্যা প্রচণ্ড শীত। মুক্তজীবনে বহুবার শীতকালে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু এমন ঠাণ্ডার মুখোমুখি কখনও হতে হয়নি। সঙ্গে নেয়া বাসা থেকে পাঠানো কম্বল তো ছিলই। একসময় অনন্যোপায় হয়ে সরকারি দুর্গন্ধযুক্ত কম্বলও গায়ে চাপালাম। কিন্তু কিসের কী! শীতের হাত থেকে সারারাত আর নিস্তার পেলাম না। ফজরের আজানে সেই কণ্টকশয্যা ত্যাগ করতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে নামাজে দাঁড়িয়ে পড়লাম।

No comments

Powered by Blogger.