৪৪- আমাকে গ্রেফতার ও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এজেন্ডার অন্যতম

বাংলাদেশে কি লোক বুঝে আইন পাল্টায়?
...বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ছহুল হোসাইনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বাদী এই করুণা প্রদর্শন না করলে এ বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নিতেন? সেই পরিস্থিতিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক জেলা জজ ছহুল হোসাইনকে কি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো? যে আদালত ছহুল হোসাইনের প্রবীণত্বকে সম্মান করেন, সেই একই আদালত অধিকতর প্রবীণ মো. আসাফ্উদ্দৌল্লাহ্র সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন আচরণ কোন আইনের বলে করেন? বাংলাদেশে লোক বুঝে কি আইন পাল্টায়?...

আজকের পত্রিকা পড়ে অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছি। আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির সরকারের কাছে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তাদের গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগে সেই সরকার বিদায়ের চার বছর পর তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হলেন। মামলায় তাদের বিজয় লাভের জন্য আজ থেকেই আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়ায় লেগে যাব। এই সরকারের আমলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নজিরটি স্থাপিত হয়ে থাকলে মহাজোটের হাতে নিপীড়িতরা ভবিষ্যতে আদালতের দরজা ধাক্কানোর একটা সুযোগ পাবেন। হাইকোর্টের মাননীয় বিচারকদ্বয় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং শেখ মো. জাকির হোসেন স্বল্প সময়ের মধ্যে লঁফরপরধষ ধপঃরারংস (বিচারিক কর্মতত্পরতা)-এর প্রচুর ইতিহাসের জন্ম দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় তাদের নাম চিরস্থায়ী করেছেন। আশা করি, মুনতাসীর মামুন এবং শাহরিয়ার কবিরকে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে বাধ্য করে আরও একটি উজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
যে কোনো দুষ্কর্মের পর নানারকম যুক্তি দিয়ে তার ন্যায্যতা প্রমাণের চেষ্টা করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ক্ষমতাসীনরাও তাদের বাইশ মাসের বেশুমার অন্যায়-অত্যাচার কুযুক্তি ও দুর্বল যুক্তি দিয়ে জায়েজ করার অবিরাম চেষ্টা করে চলেছেন। কিছুদিন আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান কলমের এক খোঁচায় কুড়িজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীকে কেবল প্রাণভিক্ষাই দেননি, তাদের নির্দোষ সাব্যস্ত করে একেবারে জেল থেকেই মুক্তি দিয়েছেন। এর আগেও একই রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছর সাজাপ্রাপ্ত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পলাতক পুত্রকে মার্জনা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। মনে হচ্ছে, দিন বদলের সরকারের মাথা থেকে শুরু করে প্রশাসন, বিচার বিভাগ সর্বত্র ইতিহাস সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় রত হয়েছেন। সংসদ উপনেতার দণ্ডপ্রাপ্ত পুত্রকে এক দিনের জন্যও কারাগারে যেতে হয়নি, যদিও দেশের আইন অনুযায়ী আদালতে একবার দণ্ড ঘোষণা হলে জেলে না গিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
দেশের প্রচলিত আইন হলো, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি জেলগেটে অথবা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, অতঃপর কারাগারে থেকে মার্জনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের বোধহয় আইনের কোনোরূপ তোয়াক্কা না করলেও চলে! রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় সরকার এখন চারদিকে যুক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কালই একজন কারা কর্মকর্তা জানাল, ওপর থেকে নির্দেশ এসেছে চার দলীয় জোট সরকার আমলে এই ধরনের মার্জনাপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য। বর্তমান সরকার দিনবদলের স্লোগান দিয়ে ভোটারদের ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে এখন তাবত্ দুর্নীতি, দুষ্কর্ম জায়েজ করার জন্য জনগণকে অতীতের গল্প শোনাচ্ছে। যতদূর মনে আছে, বিএনপি আমলে সুইডেন প্রবাসী জনৈক ঝন্টুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ মার্জনা নিয়ে মিডিয়াতে ঝড় উঠেছিল। এই ঝন্টুকে জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকার দণ্ড প্রদান করেছিল এবং ওই মামলায় ঝন্টু ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের আগেই মার্জনা করা হয়েছিল। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই ঝন্টুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ মার্জনা অন্যায় ছিল, তাহলেও কিন্তু সেই উদাহরণ দেখিয়ে কুড়িজন আওয়ামী সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড মার্জনার যুক্তি ধোপে টেকে না। জেলখানার সবাই বলাবলি করছে, ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সম্ভবত: দলীয় বিবেচনা এবং লেনদেনের বিনিময়ে বেশকিছু বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া সহসাই শুরু হবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘সুশাসনের’ এক নজির সৃষ্টি করে পশ্চিমা সমর্থকদের তাক লাগিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিনবদলের সরকার।
আদালতের ইজ্জত হরণ করতে উদ্যত আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে আগামীকাল সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে জমজমাট নাটক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আদালত অবমাননা মামলায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি হলেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক আইন সচিব ছহুল হোসাইন। অভিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার শেখ হাসিনার আগের প্রধানমন্ত্রিত্বের কালে আইন সচিবের দায়িত্ব পালন ছাড়াও এক সময় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে জজিয়তিও করেছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মহীউদ্দিন খান আলমগীরের সংসদ সদস্য পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলায় নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলা আমলে নিয়ে ছহুল হোসাইনকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন বর্তমান সময়ে হাইকোর্ট বেঞ্চের সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিচারক জুটি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং শেখ মো. জাকির হোসেন। সমন পেয়ে নির্বাচন কমিশনারকে দৌড়াতে হয়েছে আপিল বিভাগের আরেক আলোচিত বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের চেম্বারে। এত আলোচিতদের ভিড়ে আগামীকালের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে দেশের বিমূঢ় জনগণ।
আগামী সপ্তাহ পুরোটা জুড়েই বিচারাঙ্গন উত্তপ্ত থাকবে। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বেগম খালেদা জিয়ার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি সংক্রান্ত মামলার আদেশ প্রদানের দিন ধার্য করেছেন ১৩ অক্টোবর। সরকারের বিভিন্ন মহলে যাতায়াত আছে এমন একজন সাংবাদিক বছরের প্রথমেই আমাকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত এজেন্ডার মধ্যে আমার গ্রেফতার এবং বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ অন্যতম। প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের যৌথ তত্পরতায় আমার গ্রেফতার এবং কারাদণ্ডপর্ব এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ছয় দিনের মধ্যেই জানতে পারব, প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলো কিনা!
ছহুল হোসাইনকে নিয়ে নাটক শেষ পর্যন্ত তামাশায় পরিণত হলো। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মামলাটি স্থগিত না করে নির্বাচন কমিশনার এবং বাদী মহীউদ্দিন খান আলমগীরের আইনজীবীদের বিষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করেন। সকাল সাড়ে দশটায় সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে ছহুল হোসাইনের ব্যক্তিগত হাজিরার সমন থাকলেও দুপুর বারটায় বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের এজলাসে হাজির হয়ে আসামিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং রুল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণের আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পান এবং অক্টোবরের ১০ তারিখ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়। ছহুল হোসাইন যখন হাইকোর্টে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন, সেই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. শামসুল হুদা অপর নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। এসব চেষ্টা-তদবিরের ফলেই সম্ভবত ছহুল হোসাইন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কটুবাক্য হজম করা থেকে বেঁচে যান। বাদীর আইনজীবী তার আর্জিতে আসামির প্রবীণ বয়সের কথা উল্লেখপূর্বক তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। মাত্র কিছুদিন আগে একই আদালতে ছহুল হোসাইনের চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক সচিব মো. আসাফউদ্দৌলাহকে আদালত অবমাননা মামলায় কেবল ব্যক্তিগত হাজিরাই দিতে হয়নি, তাকে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আদালতের নানারকম অপমানজনক আচরণ সহ্য করতে হয়েছে। তার প্রতি সেদিন বেঞ্চ থেকে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি সংবিধানের ৩৯(৫) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবে না।’ এবার পাঠকের বিবেচনার জন্য কয়েকটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উত্থাপন করছি :
১. বাদীর আইনজীবী তার আর্জিতে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের বয়সের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে অবশ্যই সৌজন্য বোধের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু, প্রথম দিন মামলা দায়েরের সময় বাদী কিংবা তার আইনজীবী কি ছহুল হোসাইনের বয়সের বিষয়ে অবগত ছিলেন না?
২. বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ছহুল হোসাইনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। বাদী এই করুণা প্রদর্শন না করলে এ বিষয়ে আদালত কী সিদ্ধান্ত নিতেন? সেই পরিস্থিতিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক জেলা জজ ছহুল হোসাইনকে কি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো?
৩. যে আদালত ছহুল হোসাইনের প্রবীণত্বকে সম্মান করে, সেই একই আদালত অধিকতর প্রবীণ মো. আসাফউদ্দৌলাহর সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন আচরণ কোন আইনের বলে করেন? বাংলাদেশে লোক বুঝে কি আইন পাল্টায়?
আমার মতো একজন সাধারণ নাগরিকের পক্ষে কেবল প্রকাশ্য বিষয়াবলী নিয়ে লেখা সম্ভব। আলোচ্য মামলা নিয়ে অপ্রকাশ্যে যা কিছু ঘটেছে, তার হদিস কেবল ক্ষমতাসীন মহলই জানে। তামাশার শেষ অঙ্ক দেখার জন্য আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আন্দাজ করা বোধহয় তেমন শক্ত নয় যে, নাটকের অন্ত মধুরেণ সমাপয়েত্ই হবে। হাজার হলেও ব্যাপারটা তো সেমসাইড।
গত দু’দিন ধরে আকাশের কান্না আর থামছে না। আশ্বিনের শেষ সপ্তাহে এমন অঝোর বর্ষণ বহুবছর হলো দেখিনি। এবারের বর্ষাকাল প্রধানত: বৃষ্টিশূন্য থেকেছে। এমন রুক্ষ আবহাওয়ায় জেলখানায় রোজা রাখা নিয়ে বেশ উদ্বেগের মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু, আল্লাহ্র কী অপার করুণা! বৃষ্টি আরম্ভ হলো একেবারে পয়লা রোজা থেকেই এবং মাসটা ভাদ্র হলেও তিরিশ রোজার প্রতিটি দিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিল। এ বছর ভাদ্রের সেই তালপাকা গরমের দেখাই মেলেনি। আশ্বিনের মাঝামাঝি ক’দিন ভ্যাপসা গরম পড়েই আবার বারিপাত শুরু হয়েছে। গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় বৃষ্টি একবারের জন্যও থামেনি। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে, কাল নাকি সূর্যের দেখা মিলবে। এদিকে ঢাকা শহর শুনছি পানিতে ভাসাভাসি। আর মাত্র দু’দিন পর আপিল বিভাগের লর্ডশিপদের সঙ্গে পুনর্বার দেখা-সাক্ষাত্ হবে। আজকে আমার জবাবের খসড়া পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সম্ভবত: বৈরী আবহাওয়ার কারণে পারভীনের পক্ষে জেলখানায় কাগজপত্র পাঠানো সম্ভব হয়নি। অবশ্য আগের দেখায় পারভীন জানিয়েছিল, আদালত অবমাননার দ্বিতীয় মামলায় আমার না দাঁড়ালেও চলবে। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এবং এ, জে মোহাম্মদ আলীর মধ্যে একজন খুব সম্ভবত: এবার মামলার শুনানি করবেন।

No comments

Powered by Blogger.