১৫- সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকলেই নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বারোটা বেজে যায়

প্রধান বিচারপতির দাবি সর্বৈব মিথ্যা
প্রধান বিচারপতির দাবি অনুযায়ী সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযুক্ত করাতেই বাংলাদেশ একটি দিব্যতান্ত্রিক (পড়ুন মৌলবাদী) রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তার দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবুল করতে হবে যে, তিনিও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

মার্কিন প্রশাসনের অব্যাহত প্রশংসার গ্যাসে শেখ হাসিনার সরকারের ফেটে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে। কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর শশীকলার মতো স্বাস্থ্যের শ্রীবৃদ্ধি দেখেও মার্কিন গ্যাসের পুষ্টির মাত্রাটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যে চমত্কার ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে থাকে, সেটা মার্কিনিরা নাকি মহাজোট সরকারের আমলে এসেই কেবল বুঝতে পারল।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বর্তমান সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন সকল ধর্মের নাগরিক অত্যন্ত সৌহার্দ্যের সঙ্গে বসবাস করছে। উচ্চ আদালতের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের বিষয়টির বিশেষ মহিমা কীর্তন করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে। পঞ্চম সংশোধনীর আগে আমাদের সংবিধানে একটা চতুর্থ সংশোধনী যে ছিল এবং সেই সংশোধনীর মাধ্যমে এ দেশের জনসাধারণের কাঁধে একদলীয় ফ্যাসিবাদের নিকৃষ্ট শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, সে ইতিহাস অবশ্য বর্ণনার প্রয়োজন বোধ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুজিববাদী বাকশালের বিরোধিতা করে তত্কালীন সরকার উত্খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিলে ওবামা প্রশাসন ও মহাজোট সরকার উভয় পক্ষই আবার আমার ওপর মহাখাপ্পা হয়ে উঠবে। বিএনপির নেতারাও বিরক্ত হয়ে ভাবতে পারেন মার্কিন প্রশাসনকে চটিয়ে আমি খামোখা অদূর ভবিষ্যতে তাদের মন্ত্রী হওয়ার পথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছি। এক এগারো থেকে মার্কিন-ভারত লবির সমর্থনপুষ্ট মিডিয়া এ দেশে এমনভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশের তাবত্ সমস্যার মূল ওই এক পঞ্চম সংশোধনী। আলোচনা এগিয়ে নেয়ার আগে পঞ্চম সংশোধনীতে কোন কোন বিষয়ে হাত দেয়া হয়েছিল, সেটি সংক্ষেপে দেখে নেয়া দরকার। ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে মুদ্রিত একখানা সংবিধান আদালত অবমাননার মামলা চলাকালীন আদ্যোপান্ত পড়ে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আনীত পরিবর্তনগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। সেই পরিবর্তনগুলো নিম্নরূপ :
* চতুর্থ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করা হয়।
* সংবিধানের প্রস্তাবনা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’, দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহ্র নামে সংযুক্ত করে আরম্ভ করা হয় এবং মূল প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’কে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
* ৮(১) অনুচ্ছেদ-এ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দের পরিবর্তে ‘সর্বশিক্তমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ প্রতিস্থাপন করা হয়।
* ৮(১ক) অনুচ্ছেদ-এ অতিরিক্ত সংযোজন করা হয় : ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি।’
* ১১৬ অনুচ্ছেদ-এ ‘এবং সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে’ বাক্যাংশ সংযোজন করা হয়।
* ১৪২ অনুচ্ছেদ-এ সংবিধান সংশোধনকল্পে গণভোটের বিধান সংযুক্ত করে বলা হয়, “কোন বিল উপরিউক্ত উপায়ে গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন কী করিবেন না এই প্রশ্নটি গণভোটে প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন।”
* আন্তর্জাতিক চুক্তিবিষয়ক অনুচ্ছেদ ১৪৫ ক সংবিধানে সংযোজন করে বলা হয়, “বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে, এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।”
আমার বিবেচনায় পঞ্চম সংশোধনী এ দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক এবং ধর্মীয় আকাঙ্ক্ষাকে পুরোপুরি ধারণ করতে পেরেছিল। শুধু তাই নয়, সংবিধান সংশোধনী প্রশ্নে ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান রেখে এবং ১৪৫(ক) অনুচ্ছেদে বিদেশের সঙ্গে সম্পাদিত সকল চুক্তি সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা রেখে দেশের সরকারকে জনগণ ও সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে বিচারপতিগণ মূলত জনগণের সেই অধিকার হরণ করেছেন। এই সংশোধনী বাতিলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সমর্থন বর্তমান সরকারের ইসলাম বিরোধী প্রচারণার পালে নতুন করে জোর হাওয়া যে জোগাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে আল্লাহ্র প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠে গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এবং নাস্তিকদের আনন্দিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আমি আশ্চর্য হই এ দেশের মুসলমান নামধারীদের সেই আনন্দে শরিক হয়ে উদ্বাহু নৃত্য করতে দেখে। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীলদের একটি তথ্য জানানো আবশ্যক। সেক্যুলারিজম তত্ত্ব যে দেশ থেকে এসেছে, সেই যুক্তরাজ্যের রানীর একটি সরকারি, আনুষ্ঠানিক টাইটেল রয়েছে। যে আইন বলে তিনি এই টাইটেলটি ব্যবহার করেন তার নাম The Royal Titles Act-1953 এবং দীর্ঘ টাইটেলটি হলো,
"Elizabeth II by the Grace of God of the United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland and of her other Realms and Territories Queen, Head of Commonwealth, Defender of the (Protestant) Faith."
বিদেশিদের টাইটেলের বঙ্গানুবাদ অর্থহীন বিধায় সে চেষ্টা থেকে বিরত রইলাম। তবে এটুকু উল্লেখ করা আবশ্যক যে, সেই দীর্ঘ টাইটেল শুরু হয়েছে গডের (আল্লাহ্র নয়) মহিমাকীর্তন করে এবং শেষ হয়েছে রানীকে খ্রিস্টান ধর্মের একটি শাখার (Protestant) রক্ষক রূপে বর্ণনা করে। বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহ্র ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের উল্লেখ থাকলে যারা বলেন, দেশের অন্য নাগরিকরা তাতে করে নাকি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয় তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, রাণীর উদ্ধৃত টাইটেল অনুযায়ী অন্য ধর্ম তো দূরের কথা খ্রিস্টান ধর্মেরই অন্য শাখার নাগরিকদের তাহলে যুক্তরাজ্যে অবস্থানটা কী?
আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অলিখিত সংবিধান অনুযায়ী কোনো ক্যাথলিক ধর্মমতের ব্যক্তি সে দেশে রাজা বা রানী হতে পারবেন না। এই ক্যাথলিক, প্রটেস্ট্যান্ট যুদ্ধ-বিগ্রহে কথিত সেক্যুলার রাষ্ট্রটিতে হাজার বছর ধরে অসংখ্য নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও রানীর টাইটেল নিয়ে যুক্তরাজ্যে কোনো অনাবশ্যক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে না। দেশের সব নাগরিক আইন অনুযায়ী রানীর টাইটেলকে মান্য করছেন। অথচ আমাদের সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম থাকলেই নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বারোটা বেজে যায়। ধার্মিক মুসলমান হওয়ার দাবিদার, ‘বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ’ প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তার চরম বিতর্কিত মুন সিনেমার মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় রায়ে লিখেছেন,
"By the said Martial law Proclamations, the secular Bangladesh was transformed into a theocratic state and thereby not only changed one of the most basic and fundamental features of the constitution but also betrayed one of the dominant cause for the war of liberation of Bangladesh."
(উল্লিখিত সামরিক ফরমানের বলে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে দিব্যতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে এবং এর ফলে কেবল সংবিধানের মূলনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্যেরই পরিবর্তন সাধন করা হয়নি, অধিকন্তু বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্যের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।) প্রধান বিচারপতির দাবি অনুযায়ী সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ এবং ‘আল্লাহ্র উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযুক্ত করাতেই বাংলাদেশ একটি দিব্যতান্ত্রিক (পড়ুন মৌলবাদী) রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তার দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবুল করতে হবে যে, তিনিও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়কালেও নিশ্চয়ই বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকরা তাদের ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারেননি! ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরিতেও তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক রূপে গণ্য হয়েছেন। কিন্তু, বাংলাদেশের বাস্তবতা কি তাই বলে? ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৬ শতাংশ মুসলমান বসবাস করলেও তারা সরকারি চাকরি পায় মাত্র ৩ শতাংশ। অপরদিকে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংখ্যালঘুদের প্রাচুর্য কষ্ট করে চারদিকে একটু নজর বোলালেই দেখা যাবে। আল্লাহ্র নাম নিলেই যদি বাংলাদেশ মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তাহলে সরকারিভাবে প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মের রক্ষক রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেশ যুক্তরাজ্য মৌলবাদী রাষ্ট্রের ব্র্যাকেট বন্দি হবে না কোন যুক্তিতে? যতদূর জানি, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও তো বাইবেলের ওপর হাত রেখেই শপথ গ্রহণ করেন। তাহলে তারাই বা মৌলবাদের বাইরে থাকেন কী করে? ধর্মহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আমাদের তো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শ ধারণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এত সন্তোষ প্রকাশের কী আছে? নাকি হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট এখন সোভিয়েতপন্থীদের কব্জায়?
আমার পরবর্তী বিস্ময় অষ্টম সংশোধনী নিয়ে। আল্লাহ্র নাম স্মরণ করলেই প্রধান বিচারপতির দাবি অনুযায়ী এই দেশটি মৌলবাদী হয়ে গেলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে থাকে কী করে? নাকি ধর্মনিরপেক্ষতা কোনো বিষয় নয়, মূল সমস্যা হচ্ছে জিয়াউর রহমান—এই মহান ব্যক্তিটিকে নিয়েই ক্ষমতাসীনদের যত জ্বালা। লোকটি দেশপ্রেমিক, সাহসী, দক্ষ এবং সত্ না হলে তাকে নিয়ে আওয়ামীপন্থীদের কোনো সমস্যা ছিল না। এ দেশের চিহ্নিত ফ্যাসিবাদী দলটির অবিসংবাদিত নেতাকে সেই ১৯৭১ সাল থেকেই সাহস, সততা এবং জনপ্রিয়তায় পরাজিত করেছেন বাংলাদেশে এমন রাষ্ট্রনায়কের অস্তিত্ব তাদের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন বৈকি! প্রধান বিচারপতির কাছে একটি শেষ প্রশ্ন আছে। তার রায়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে dominant cause for the war of liberation of Bangladesh বলে যে দাবি করা হয়েছে, তার সপক্ষে কোনো নথিপত্র কোথাও কি খুঁজে পাওয়া যাবে? আওয়ামী লীগের ছয় দফা, দলটির ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো অথবা স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে মুজিবনগর সরকারের দলিলপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি খুঁজে পাওয়া গেলে আমার ভ্রম সংশোধন করে নিতাম। আমি যতদূর জানি, এই শব্দটি বাংলাদেশ-ভারত পঁচিশ বছর মেয়াদি গণধিকৃত চুক্তিতেই সর্বপ্রথম আমদানি করা হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের অনেক পরে সংবিধান প্রণীত হয়েছে, যেখানে ভারতীয় সংবিধানের আদলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। সুতরাং, বাংলাদেশের লড়াকু জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছে প্রধানত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য, প্রধান বিচারপতির এই দাবি বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও সর্বৈব মিথ্যা। প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক Judicial Activism-এর নামে ইতিহাস রচয়িতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সরকারি আনুকূল্যে যেভাবে এ দেশের ইতিহাসের বিকৃতিসাধন এবং জাতিকে বিভাজিত করে চলেছেন, তার মাশুল তাকে একদিন দিতে হবে বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি সামান্য লেখাপড়া জানা মানুষ, তাই ভুল হতেই পারে। কোনো সহৃদয় পাঠক সেই ভুল ধরিয়ে দিলে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ হব।

No comments

Powered by Blogger.