৩০- সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে সন্ত্রাস সৃষ্টিকে আদালত অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি

দালত অবমাননার সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই
মামলা লড়তে গিয়ে শিখলাম যে, কোন্ কথাটি লিখলে বা বললে আদালত অবমাননা হয় তার কোনো সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি আমাদের ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইনে লিপিবদ্ধ নেই। এটা এখন সম্পূর্ণভাবে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এখতিয়ারভুক্ত।...
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের সঙ্গে নজিরবিহীন তর্কযুদ্ধের পর এদেশে স্বৈরাচারের সংজ্ঞা, চরিত্র ও প্রতীক নিয়ে বড় সংশয়ে পড়ে গেছি। বাংলাদেশে স্বৈরাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন আশির দশকে জেনারেল এরশাদ। সেই থেকে স্বৈরাচার শব্দটি তার অঙ্গের শোভা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রের কথিত ‘মানসকন্যা’ শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাই-বোন সম্পর্ক পাতিয়েও তিনি নিস্তার পাননি। গত বছর ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখের স্বৈরাচার পতন দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে বিশ্বের সর্বনিকৃষ্ট স্বৈরাচার বলে গাল দিয়েছিলেন। মতিয়া চৌধুরীর সেই গালাগালিতে জেনারেল এরশাদের রাজনীতি-তুতো ছোট বোন শেখ হাসিনা কোনো রকম মনঃক্ষুণ্ন হয়েছিলেন, এমন সংবাদ কোথাও প্রকাশিত হয়নি। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী যাই বলুন না কেন, ২০০৮ সালের ডিজিটাল নির্বাচনের পর জেনারেল এরশাদকে স্বৈরাচারী নামে ডাকার অধিকার সম্ভবত আমরা হারিয়েছি। যতদূর মনে পড়ে, গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট সংসদীয় আসন থেকে প্রতিযোগিতা করে ওই নির্বাচনে তিনি সমগ্র দেশে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ভোটযুদ্ধে তিনি শুধু সত্ মানুষ হিসেবে পরিচিত বিএনপি’র ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহেকই পরাজিত করেননি, ভোট প্রাপ্তিতে তার অবস্থান দেশের উভয় প্রধান নেত্রীর ওপরেই ছিল।
এর আগে ১৯৯১ সালে বন্দি অবস্থায় জেল থেকে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি সব ক’টিতেই বিজয়ী হয়েছিলেন। তবে সেবারের সব আসনই ছিল বৃহত্তর রংপুর জেলার। সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ আসনে দাঁড়িয়ে ঢাকায় সাদেক হোসেন খোকা এবং মেজর (অব.) মান্নানের কাছে বেশ বড় ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার দেশের কথিত ‘অভিজাততম’ এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার পর জেনারেল এরশাদ যদি নিজেকে একজন জননন্দিত নেতা বলে দাবি করেন, তাহলে তার সেই দাবিকে অযৌক্তিক বলব কি করে? ব্যক্তিগতভাবে আমার দুর্ভাগ্য যে, আমি জেনারেল এরশাদের নির্বাচনী এলাকারই একজন ভোটার। নির্বাচনের পর অবশ্য হাইকোর্ট সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারের পুরনো লেবেল তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করায়’ এই চৌকস জেনারেল সাহেবের জুড়ি মেলা ভার। তিনি নতমস্তকে হাইকোর্টের রায় কেবল মেনেই নেননি, কালবিলম্ব না করে ছুটে গেছেন দেশের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি ‘ছোট বোনের’ কাছে। ছোটাছুটিতে ভালোই কাজ হয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে জেলে যাওয়ার আশঙ্কা তিনি ঠেকাতে পেরেছেন। বাস্তবতা হলো, জনগণের রায় এবং হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টি প্রধানকে এখন বড়জোর সাবেক স্বৈরাচার নামে অভিহিত করা যেতে পারে।
স্বাধীন বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদই একমাত্র শাসক নন, যার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই অভিযোগটি সর্বপ্রথম উঠেছিল মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সময়কালে প্যারামিলিটারি রক্ষীবাহিনী কর্তৃক দেশের জনগণ নির্মমভাবে নির্যাতিত ও বিপুল সংখ্যায় বিচার বহির্ভূতভাবে নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে এবং ১৯৭৫ সালে দেশে একদলীয় ‘বাকশাল’ শাসন পদ্ধতি চালু করার কারণে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বৈরাচারী শাসক রূপে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সেসব কালো ইতিহাস আজকের প্রজন্মের কাছে অনেকটাই অজানা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান দোষে-গুণে পূর্ণ নিতান্তই একজন রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী কর্তৃক তার ওপর দিবারাত্র দেবত্ব আরোপের অক্ষম চেষ্টা দেখে তাদের প্রতি করুণা হয়। মুক্তিযুদ্ধের আরেক গৌরবান্বিত চরিত্র মরহুম জিয়াউর রহমানকেও এদেশের ভারতপন্থী রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী সচরাচর সামরিক স্বৈরাচারী শাসকই বলে থাকেন। সব দলমতের মানুষের এসব মতামত বিনা প্রতিবাদে গ্রহণ করলে বলতে হবে, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের কেবল স্বৈরাচার নিয়েই ঘর-বসতি।
অসহিষ্ণুতা স্বৈরাচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়কাল থেকেই বিএনপি’র মধ্যে এক প্রকার উদার ও আধুনিক চিন্তা-চেতনা বিকশিত হওয়ায় দলটি সমালোচনা ভালোই সহ্য করতে পারে। বেশি অতীতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পত্রপত্রিকা ঘাঁটলে এবং সেই সময়কালীন আক্রমণাত্মক ও তীব্র সমালোচনামূলক সংবাদে বিএনপি’র ধৈর্যশীল প্রতিক্রিয়া স্মরণ করলেই আমার বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ মিলবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অবস্থান উল্টো মেরুতে। ঐতিহ্যগতভাবে দলটি ক্যাডারভিত্তিক এবং ফ্যাসিবাদী মন-মানসিকতাসম্পন্ন হওয়াতে এদের শাসনামলে সর্বদাই সাংবাদিকতা এক বিপজ্জনক পেশা। দলটির প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে চারটি দৈনিক পত্রিকা বাদে আর সব সংবাদপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার সময়ে বাংলাদেশ অবজারভারের আবদুস সালাম চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন এবং কবি আল মাহমুদ ও এনায়েতুল্লাহ খানের মতো দিকপালরা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিন জনারই অপরাধ ছিল অভিন্ন। তারা তত্কালীন সরকারের সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন, অথবা সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদকালে দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস এবং বিচিত্রা’র মতো ঐতিহ্যবাহী পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সমালোচকরা বলে থাকেন, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল যে, তাকে বোঝানো হয়েছিল পত্রিকা তিনটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ রাজনৈতিক আদর্শে আওয়ামী লীগ বিরোধী। শেখ হাসিনা তার এবারের মেয়াদে আমার দেশ নিয়ে যা করলেন, তা যে সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যম দলনের এক কালিমালিপ্ত ইতিহাস তৈরি করল, সেই সত্যটি আশা করি আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা প্রকাশ্যে না হলেও অন্তত: মনে মনে স্বীকার করবেন। সুতরাং, অসহিষ্ণুতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনাকেও গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরাচারের কাতারে না ফেলে কোনো উপায় নেই।
একটি রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক স্বৈরাচারী মানসিকতাসম্পন্ন প্রশাসন দ্বারা নির্যাতিত হলে নিরাপত্তা ও আশ্রয় লাভের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু আদালত দ্বারা নির্যাতিত হলে তার উপায় কী? এই প্রশ্নের মীমাংসার আগে সংবিধানের ১০৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতার সীমা বোঝার চেষ্টা করা যাক। সংবিধানের ১০৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিমকোর্ট একটি কোর্ট অব রেকর্ড হইবে এবং ইহার অবমাননার জন্য তদন্তের আদেশ দান বা দণ্ডাদেশ দানের ক্ষমতাসহ আইনসাপেক্ষে অনুরূপ আদালতের সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকিবেন।’ এই অনুচ্ছেদের পাঁচটি বিষয় নিয়ে আমার দণ্ডপ্রাপ্তির পর থেকে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে চিন্তা-ভাবনা করছি। আমার চিন্তার পাঁচ বিষয় হলো যথাক্রমে ‘অবমাননা’, ‘তদন্তের আদেশদান’, ‘দণ্ডাদেশের ক্ষমতা’, ‘আইন সাপেক্ষে’ এবং ‘সকল ক্ষমতা।’ আদালত অবমাননার অভিযোগে ক্ষমা না চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করায় আমার নজিরবিহীন সাজা লাভের ‘সৌভাগ্য’ অর্জন করার খবরটি জেলে বসেই ধারণা করছি, সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশবাসী এতদিনে জেনে গেছেন। পেশায় আইনজীবী না হয়েও আমি নিজেই যে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছি, তাও এর মধ্যে লিখে ফেলেছি। মামলা লড়তে গিয়ে শিখলাম যে কোন কথাটি লিখলে বা বললে যে আদালত অবমাননা হয়, তার কোনো সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি আমাদের ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা আইনে লিপিবদ্ধ নেই। এটা এখন সম্পূর্ণভাবে হাইকোর্ট এবং
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের এখতিয়ারভুক্ত। শুধু তাই নয়। কোন নাগরিকের বক্তব্য এবং লেখাকে আদালত অবমাননার অপরাধ সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হবে, সেটাও নির্ধারণ করবেন এই মাননীয় বিচারপতিরা।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি পাঠকের কাছে আরও পরিষ্কার হবে। যে সংবাদ প্রকাশের অপরাধে আমাকে আদালত অবমাননা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, সেটি প্রকাশের প্রায় দুই বছর আগে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিন মন্তব্য করেছিলেন, রাজনৈতিক সরকারগুলো বিচারবিভাগের এতটাই ক্ষতিসাধন করেছে যে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্তত: কুড়ি বছর সময় লাগবে। বর্তমান প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী উচ্চ আদালতের সার্বিক পরিস্থিতির কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্টকে কাচের ঘরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আমার সম্পাদিত পত্রিকায় ‘চেম্বার মানেই সরকার পক্ষে স্টে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান এবং সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান ড. শাহদীন মালিক উচ্চ আদালত, চেম্বার জজ আদালত এবং বিচারপতিদের কঠোর সমালোচনা করে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তৃতা করেছেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যে করিত্কর্মা আইনজীবী প্রধান বিচারপতির এজলাসসহ সুপ্রিমকোর্ট ভাংচুরে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাকে বর্তমান সরকার হাইকোর্টের বিচারপতির পদে নিয়োগ দিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টে সন্ত্রাস সৃষ্টি করাকে আদালত অবমাননা বিবেচনা করা হয়নি। অথচ আদালত অবমাননা মামলা করার জন্য কেবল আমাকেই বেছে নেয়া হয়েছে। আমার শুনানি চলাকালে প্রকাশ্য আদালতে
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা একমাত্র আমাকেই বিশেষভাবে সাজা দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তাদের এই বক্তব্য সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, সেটা পাঠক বিবেচনা করুন। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ একত্রিশ নম্বর অনুচ্ছেদেও একই অধিকারের কথা ভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। ‘আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার’ শিরোনামে এই অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘আইনের আশ্রয় লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’
উদ্ধৃত দু’টি অনুচ্ছেদের আলোকে শাস্তি প্রদানে নজির সৃষ্টি করার জন্য উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা তাদের ইচ্ছানুযায়ী নাগরিকের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি করতে পারেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাব কার কাছে চাইব?

No comments

Powered by Blogger.