৪০- যারা অবিচার করেছেন, নির্মোহ ইতিহাস তাদের অবশ্যই আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে

বিচারাঙ্গন অস্থির ও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে
...সরকারের ইঙ্গিতক্রমে বাংলাদেশের বিচারাঙ্গন ক্রমেই অস্থির এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিচার বিভাগে নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে বর্তমান সরকারের মহাশক্তিধর, অতি উত্সাহী অ্যাটর্নি জেনারেল তার ‘যথাযথ’ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।...

আমাদের সংসারে একমাত্র আয়ের উত্স বলতে আর্টিজান সিরামিক নামক রফতানিমুখী সিরামিক শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। আমরা কেবল পরিবারের তিনজন মানুষই নই, এই কোম্পানির আয়-উন্নতির ওপর সেখানে কর্মরত ৮০০ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার পরিবারও নির্ভরশীল। এ ছাড়া আমার দেশ পত্রিকা চালাতেও অর্থের প্রয়োজন হলে আমাকে অগতির গতি আর্টিজান সিরামিকের কাছেই হাত পাততে হয়। গত চার বছরের দুই সরকার কর্তৃক এই কোম্পানিটি পরিচালনায় নানারকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা সত্ত্বেও আল্লাহর রহমতে আমরা এখনও টিকে আছি। আর্টিজান থেকে রফতানি বন্ধ করে দেয়ার হীন চক্রান্তে আমার আন্তর্জাতিক সিরামিক মেলায় অংশগ্রহণ করতে নানা রকম বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, ইউরোপ যাওয়ার সময় আমাকে বার বার ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে লেনদেন করতে ব্যাংকগুলো যাতে অনীহা প্রকাশ করে, সেই অপচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর থেকে ক’দিন পর পর আমার এবং পারভীনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার মাত্র একটি ব্যাংক একাউন্ট, এই সত্যটি দেশের শীর্ষ ব্যক্তি এবং তার চেলা-চামুণ্ডারা কিছুতেই মানতে চান না। এতকিছুর পরও আমরা দমে যাইনি, যথাসম্ভব রফতানি করেছি, ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধে কখনও বিলম্ব করিনি।
কারখানাটি প্রতিষ্ঠার সময় আইপিডিসি নামক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া দুই কোটি টাকার ঋণ সুদে-আসলে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। বন্দি অবস্থায় সর্বশেষ কিস্তি দিয়েছি এই আগস্টেই। আমি মুক্ত থাকা অবস্থায় তো বটেই, এমনকি আমার গ্রেফতারের পরও কোনো কিস্তি পরিশোধে এক দিনেরও বিলম্ব করা হয়নি। অর্থাত্ ব্যাংকার-খাতক পেশাদারি সম্পর্কের বিবেচনায় আইপিডিসি’র কাছে আর্টিজানের অবস্থান শীর্ষে থাকার কথা ছিল। সেই ধারণা থেকেই পারভীনকে বলেছিলাম, সেখানে নতুন ঋণের আবেদন করতে। প্রয়োজনে আমাদের একমাত্র মাথা গোঁজার এপার্টমেন্টটি বন্ধকের কথাও বলেছিলাম। ঋণ পাওয়া গেলে আর্টিজান এবং আমার দেশ নিয়ে আমাকে অন্তত বছর দুয়েক আর দুশ্চিন্তা করতে হতো না। ঋণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত তো হয়েছেই, তার সঙ্গে উপরি হিসেবে প্রজাতন্ত্রের দলবাজ কর্মকর্তাদের নানারকম মন্তব্যও পারভীনকে হজম করতে হয়েছে। লোকমুখে শোনা গেছে, পরিচালনা পর্ষদের সভায় নাকি বলা হয়েছে মাহমুদুর রহমান আর জীবিত জেল থেকে বের হচ্ছে না। কাজেই এই লোকের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আইপিডিসি’র নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা যখন যুক্তি দেখিয়েছেন, ঋণ তো একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হচ্ছে এবং সেই প্রতিষ্ঠান পেশাদারিত্বের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা এখন পরিচালনা করছেন; তখন বড় কর্তারা বলেছেন, পরবর্তী সময়ে তার পরিবারকেও ধরা হবে। এমন বৈরী পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালানো তো দূরের কথা, আমার মা এবং স্ত্রীর নিরাপত্তাই প্রবল হুমকির সম্মুখীন। গণতন্ত্রের লেবাসধারী এই পুলিশি রাষ্ট্রে কোথায় অসহায় দুই নারী আশ্রয় খুঁজবে, তাও জানি না। আমার অনেক সাধের সিরামিক কারখানা রাখব না বিক্রির চেষ্টা করব, সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার সময় সম্ভবত এসে গেছে। বেশ বুঝতে পারছি, সরকার আমার কোনো প্রকার দুর্বলতার সন্ধান না পেয়ে এখন উন্মাদের মতো আর্টিজানকে ঋণখেলাপি বানানোর জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। পারভীনকে বললাম, সার্বিক বিষয় নিয়ে ভেবে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশ দিনের দীর্ঘ সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জয় করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। শিশু মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পুরস্কার গ্রহণ ছাড়াও তিনি জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বাংলায় বক্তৃতা করে এসেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে না পারলেও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’র সঙ্গে এক রিসেপশনে তার হঠাত্ সাক্ষাত্ ঘটেছে। রিসেপশনের মেজবান ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। এই সাক্ষাত্ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবে কোনো মন্তব্য না করলেও বাংলাদেশ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বারাক ওবামা হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে তার মিলেনিয়াম পুরস্কারের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই হঠাত্ দেখায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা জ্ঞাপনের মধ্যে অবশ্য কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। তবে, বিরোধী দল বিএনপি’র মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার তার দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই পুরস্কারের কৃতিত্ব দাবি করে সরকারি দলের ভয়ঙ্কর রোষের কারণ হয়েছেন। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে পুরস্কারের কৃতিত্ব কোন দলের বেশি সেটা জনগণ নির্ধারণ করবেন। তবে এই প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিগত গল্প বলার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে সেসব সফরে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে আমাকেই বিদেশিদের সামনে বক্তব্য প্রদান করতে হতো। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি)-এর সামাজিক খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা যে তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে এগিয়ে আছি, এই বিষয়টাই আমার বক্তব্যে প্রধানত তুলে ধরতাম। আমি এমন দাবি করব না যে, বিএনপি সরকারই মিলেনিয়াম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৃতিত্বের একমাত্র দাবিদার। তবে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষিত হওয়ার পর থেকে যেহেতু বেগম খালেদা জিয়াই দীর্ঘতম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাই কৃতিত্বের সিংহভাগ যুক্তিসঙ্গতভাবেই তিনি দাবি করতে পারেন। তার সময়কালের যে কোনো ব্যর্থতার জন্য তাকে এককভাবে দায়ী করা হবে, অথচ একই সময়কার ভালো কাজের কৃতিত্ব বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ছিনতাই করবে, এটা বিবেকসম্পন্ন কোনো নাগরিকের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আসল কথা হলো, সরকার পরিচালনার ধারাবাহিকতাকে অস্বীকার করার মন্দ সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা কোনো দিনই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সাধন করতে পারব না। দশ দিনের সেই আমেরিকা সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ দীপু মনি রাষ্ট্রকে এক ভয়াবহ বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে এসেছেন। দেশের কোন স্বার্থ উদ্ধারে জানি না আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে দেখা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আফগানিস্তান ও পাকিস্তানবিষয়ক উপদেষ্টা, ঝানু কূটনীতিক রিচার্ড হলব্রুকের সঙ্গে। আলোচনাকালে সুযোগমত রিচার্ড হলব্রুক আফগানিস্তানে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশের কাছে সৈন্য চেয়ে বসেছেন। এবারের সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অথবা মিজ দীপু মনির বৈঠক আয়োজন করা যায়নি, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে চাইলেই বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসা যে সম্ভব নয়, সে তো জানা কথাই। কিন্তু এই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য অপ্রয়োজনীয় বৈঠকে বসে আমাদের অনভিজ্ঞ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ মেয়াদে দেশের বড়সড় ক্ষতি করে এসেছেন। দু’বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সরকার পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার ফলে জনগণ যে ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত উপলব্ধি করেন। ফলে দেশের জনগণকে উপেক্ষা করে কেবল বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তির সমর্থনে ক্ষমতায় ২০২১ পর্যন্ত টিকে থাকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক ভয়ঙ্কর খেলায় অবতীর্ণ হয়েছেন আমাদের মরিয়া প্রধানমন্ত্রী। চরম দুর্নীতিপরায়ণ, অযোগ্য এবং অত্যাচারী সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবেই স্বদেশে তথাকথিত ইসলামী জঙ্গির বিরুদ্ধে জেহাদ চালানোর পাশাপাশি এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের আফগান যুদ্ধে বলি চড়ানোর আয়োজন চলছে। এই হঠকারী উদ্যোগ সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি অন্তত দেখছি না। মাঝখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক এবং অতীব স্পর্শকাতর একটি নতুন ইস্যু তৈরি করে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা-দীপু মনি জুটি।
সরকারের ইঙ্গিতক্রমে বাংলাদেশের বিচারাঙ্গন ক্রমেই অস্থির এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিচার বিভাগে নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে বর্তমান সরকারের মহাশক্তিধর, অতি উত্সাহী অ্যাটর্নি জেনারেল তার ‘যথাযথ’ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। খুনের মামলা ও সুপ্রিমকোর্ট ভাংচুরের মামলার দুই আসামিকে হাইকোর্টের বিচারকের শপথবাক্য পাঠ না করানোর অপরাধে প্রকাশ্যে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের বিচার দাবি করেছেন ক্ষুব্ধ ও রাগান্বিত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তার এই দাবি আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে কিনা, সেটা জানার জন্য আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। দু’জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতির পদলাভকারী এবিএম খায়রুল হক অবশ্য দায়িত্ব গ্রহণ করেই অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ নিয়ে ফেলেছেন। তিনিও সাবেক প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে দাবি করেছেন যে, আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা নাকি বিতর্কিত দুই ব্যক্তিকে শপথ পড়ানোর পক্ষে ছিলেন। অপরদিকে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে ন্যক্কারজনক অভিহিত করে উল্টো অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের বিচার দাবি করেছেন। দেখা যাক, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে কে শেষ পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড়ান। প্রধান বিচারপতি পদে এবিএম খায়রুল হকের নিয়োগ নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই সুপ্রিমকোর্ট বার দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। বার প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি দু’জন সিনিয়রকে ডিঙানোর ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেও সহ-সভাপতির নেতৃত্বে বারের আওয়ামী অংশ প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রশংসা করেছেন। তারা দাবি করেছেন, এর ফলে নাকি দেশে এবার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থার হতাশাব্যঞ্জক চিত্র সর্বোচ্চ আদালতের কাজ-কারবারের মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হচ্ছে। বিচার বিভাগের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে আমি এবং সহকর্মী অলিউল্লাহ্ নোমান সাজাভোগ করছি। প্রচুর লেখালেখি করেও দেশের মানুষের ঘুম এখনও ভাঙাতে পারিনি। অক্টোবরের ১১ তারিখে আদালত অবমাননার দ্বিতীয় মামলায় আবারও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে যাচ্ছি। প্রথম মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারকগণ আমাকে ‘চান্স এডিটর’ আখ্যা দিয়ে উপহাস করেছিলেন। অক্টোবরের ১১ তারিখে যে প্রধান বিচারপতির সামনে দণ্ডায়মান হতে যাচ্ছি, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাকেও ‘চান্স প্রধান বিচারপতি’ বিশেষণ দেয়া যায় কিনা, সেটা নির্ধারণের ভার পাঠকের ওপরই ছেড়ে দিলাম। আমি এখনও আশা ধরে রেখেছি, বস্তুনিষ্ঠভাবে আদালতের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে আমার দেশ যে সত্যের পক্ষে সাহসী অবস্থান নিয়েছিল, সেই সত্য একদিন ইনশাআল্লাহ্ প্রতিষ্ঠিত হবে। জীবিত থাকি বা না থাকি, আমাদের ওপর আজ যারা অবিচার করেছেন, নির্মোহ ইতিহাস তাদের সবাইকে অবশ্যই আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে।

No comments

Powered by Blogger.