১৭- লাখ টাকা দিয়ে মৃত্যু কিনেছিল হোন্ডা বাবু

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়
...সুদর্শন তরুণটি বেঘোরে গুলি খেয়ে ঢাকার রাস্তায় প্রাণহীন পড়ে আছে, ভাবতে বড় কষ্ট পাচ্ছি। চোখ বন্ধ করলেই ছেলেটির স্মিত হাসি দেখতে পাচ্ছি। হয়তো সে অত্যন্ত মন্দ ছিল। মৃত্যুদণ্ড তার প্রাপ্যও হতে পারে। কিন্তু সেটা আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নয় কেন? কোনো সভ্য দেশে সন্ত্রাস দমনের নামে এভাবে বিচারবহির্ভূতভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।...

জেলের বাইরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ডিসেম্বরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও ভেতরে ক’দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। একাধিকবার উল্লেখ করা হয়ে গেছে, এখানে এক বিশাল সেলে আমি একাই থাকি। এটা জেলখানা, তাই আসবাবপত্র যত্সামান্যই। ফাঁকা ঘরে ঠাণ্ডা মনে হয় যেন জমাট বেঁধে থাকে। বাধ্য হয়ে উত্তরের সব ক’টা জানালা বন্ধ করতে হয়েছে। তাতে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের প্রবেশ খানিকটা বাধাগ্রস্ত করা গেলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘরের আলো কমে গেছে। বুড়ো বয়সে তাই বাতি জ্বালানো ছাড়া দিনের বেলায় লেখালেখি করতে পারছি না। বাইরের অবস্থা জানা নেই। তবে কাশিমপুর জেলে শীতকালেও বিদ্যুতের কোনো উন্নতি হয়নি। রাত ন’টার আগে বিদ্যুত্ খুব কম সময়ের জন্যই মেলে। কাজেই সকালে গোসল সেরেই বারান্দায় রোদ্দুরে আশ্রয় নিই। দিনের অধিকাংশ সময় ওখানে চেয়ার পেতে বই হাতেই কাটে।
মাঝে-মধ্যে অবশ্য অবারিত প্রকৃতি দেখি। কলমের কাজ রাতের জন্য রেখে দিতে হয়। তাতে অবশ্য সুবিধের ভাগটাই বেশি। জেলে এমননিতেই ঘুম আসতে চায় না। তার ওপর কাশিমপুর জেলে একটা শীতকালীন মরসুমী জ্বালাতন রয়েছে। কারাগারের চৌহদ্দির ঠিক বাইরেই অগুনতি ইটভাটা। রাতে সেইসব ইটভাটার যন্ত্রপাতির অবিরাম শব্দ উপেক্ষা করে আমার বয়সে ঘুমানো কঠিন। তরুণ বন্দিদের কথা অবশ্য আলাদা। ওদের বয়সে আমারও ঘুম ভাঙাতে হলে কানের কাছে বোমা ফাটাতে হতো। সুতরাং বিছানায় শুয়ে আকাশ-পাতাল চিন্তা করার চেয়ে শীতের রাতে কিছুক্ষণ পর পর চা পান এবং লেখালেখি করা উত্তম। আজও রাত দুটোয় উঠেছি, এখন প্রায় পাঁচটা। রাতের প্রহরী বারদুয়েক কুশল বিনিময় সহকারে গল্পগুজব করে গেছে। তিন মাসে এরা সবাই আমার পরম বন্ধু হয়ে উঠেছে।
আজ শনিবার, সাপ্তাহিক দেখার নির্ধারিত দিন। পারভীন এলে বাড়ি-ঘরের খবর পাব। শাশুড়ি, বউ বড় কষ্টে দিনযাপন করছে। আমার সাজার মেয়াদ শেষে ঘরে ফেরার হয়তোবা অলীক স্বপ্নে দু’জনা বুক বেঁধে আছে। গত রাতেই শুনলাম, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর প্রধান রফিকুল ইসলাম খানকে জামিনে মুক্তির পর সাদা পোশাকধারীরা জেলগেট থেকেই অজানা গন্তব্যে নিয়ে গেছে। ভদ্রলোক বানোয়াট অভিযোগে মাস চারেক জেল খাটার পর কালই মাত্র ঢাকা জেল থেকে বাইরে পা রেখেছিলেন। আমি যখন ওই জেলেরই সাত সেলে ছিলাম, রফিকুল ইসলাম খান তখন সম্ভবত রূপসার বাসিন্দা, জেলের ভেতরে বারদুয়েক বোধহয় দেখা হয়েছিল। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, যাতে তার অবস্থা চৌধুরী আলমের মতো না হয়। গত আগস্টে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত এই বিএনপিপন্থী কাউন্সিলরকে সাদা পোশাকধারীরা জোনাকী সিনেমা হলের কাছ থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর অদ্যাবধি খোঁজ মেলেনি। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাকাটি করেছে। ফায়দা হয়নি কিছুই। বিএনপি কয়েকটা দিন মিছিল, সমাবেশ করেই খালাস। সরকারের মন্ত্রীরা এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এখন দাবি করছেন, তাকে নাকি ধরাই হয়নি।
দিনবদলের লেবাসে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বরকন্যা শেখ হাসিনা ক্রমেই চিলির একসময়ের গণহত্যাকারী স্বৈরশাসক পিনোচেটে পরিণত হচ্ছেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি এই পিনোচেটই চিলির জনপ্রিয় বামপন্থী প্রেসিডেন্ট সালভেদর আলেন্দেকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তখন মার্কিন মদতের জোর অভিযোগ ছিল। চিলিতে আলেন্দে এবং বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমান প্রায়ই একই সময় নিহত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সুশীলরা(?) একসময় দুই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদের কালো হাতও খুঁজে বেড়াতেন। চার দশকে বিশ্ব রাজনীতির চিত্র একেবারেই পাল্টে গেছে। ভারতের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনও এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড। জেলের ভেতরের অনেকেরই ধারণা, এই বৈরী পরিস্থিতিতে আমি জেলেই বরং নিরাপদে আছি। আমাকে মুক্ত করার নিষম্ফল প্রচেষ্টায় পারভীন প্রতিদিন আইনজীবীদের চেম্বারে চেম্বারে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। বেচারাকে নিরুত্সাহিত করতে মন সায় দেয় না। চূড়ান্ত আত্মকেন্দ্রিকতার মোহে সারাজীবন মা এবং স্ত্রীকে জ্বালাতন করেছি। আজও তার শেষ হলো না। আপনজনদের অবহেলা করে কাজের পেছনেই বছরের পর বছর ছুটে বেড়িয়েছি। বাইরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঘরের দিকে তাকানোর অবসর হয়নি। কারাগার জীবনের অখণ্ড অবসরে জীবনটাকে উল্টে-পাল্টে দেখলে তীব্র অনুশোচনায় দগ্ধ হই। সবকিছুতে বড় বিলম্ব হয়ে গেছে। শত চেষ্টাতেও এখন আর ললাট লিখন পাল্টাতে পারব না।
গতকাল একই দিনে দেশে তিন-তিনটে ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। সকালে খবরের কাগজে নিহতদের নামগুলো পড়তে গিয়ে নাজিমউদ্দিন বাবু ওরফে হোন্ডা বাবু নাম দেখে চমকে উঠলাম। আমার স্বাভাবিক জীবনধারায় বাবুকে চেনার কোনো সুযোগই ছিল না। গ্রেফতারের দ্বিতীয় রাতে ঢাকা জেলে নিয়ে আমাকে সাত সেলে তোলা হলে সেখানেই হোন্ডা বাবুর সঙ্গে পরিচয় হয়। সাত সেলের তিন নম্বর ঘরের বাসিন্দা ছিল দুই বাবু এবং আনোয়ার। বড় বাবু এবং আনোয়ার ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের সদস্য হলেও সম্ভবত আন্তঃদলীয় কোন্দলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হয়ে জেলে এসেছিল। দু’জনই আমার কাশিমপুর জেলে চালানে আসার আগেই জামিনে মুক্তি পেয়ে চলে গেছে। হোন্ডা বাবুও জামিন পেয়েছিল। কিন্তু পরিণতি ভিন্ন হলো। ছেলেটি অবশ্য রাজনীতি বহির্ভূত পেশাদার সন্ত্রাসী ছিল। হোন্ডা বাবুর চেহারা চোখের সামনে ভাসছে। বয়স সম্ভবত তিরিশের এপারেই হবে। স্ত্রী এবং বছর তিনেকের ছেলে নিয়ে সংসার। একদিন তাদের ছবিও আমাকে দেখিয়েছিল। হোন্ডা বাবু যথেষ্ট সুদর্শন ছিল। প্রতিদিন দুপুরে দীর্ঘক্ষণ ধরে যাবতীয় রূপচর্চা সহকারে চৌবাচ্চার পাশে বসে গোসল করত।
ছেলেটি কতটা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছিল, আমার জানা নেই। তবে জেলে তার প্রভাব প্রতিপত্তি নিজের চোখেই দেখা। কারারক্ষীরা তো বটেই, এমনকি কোনো কোনো জমাদারও তাকে বিনীতভাবে বাবুভাই বলে সম্বোধন করত। জামিনে মুক্তি পাওয়ার দু’দিন আগে এক ডেপুটি জেলারের সঙ্গেও সাত সেলের আঙিনায় পাশাপাশি বসে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করতে দেখেছিলাম। এমন ক্ষমতাধর তরুণের বিনয়ী ব্যবহার আমাকে বিস্মিত করত। সকালে দেখা হলে বিনীত সালাম দিতে কোনোদিন ভুল হতে দেখিনি। পুরো রোজার মাসে ইফতারের পরে নিজ হাতে চা বানিয়ে আমাকে কারারক্ষী দিয়ে পাঠাতো। রোজার ঈদের মাত্র ক’দিন আগে এক সকালে সোজা এসে পায়ে হাত দিয়ে সালাম জানালো, দোয়া চাইল। আমি যথেষ্ট বিব্রতবোধ করেছিলাম। নিজেকে ওভাবে সালাম পাওয়ার মতো বৃদ্ধ ভাবতে এখনও ইচ্ছে করে না। মুক্তির পূর্বমুহূর্তে তার মাথায় হাত রেখে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে বলেছিলাম। জানি না সে এসেছিল কিনা। বেচারা সেই সময়ও তো পেলো না। গৌর গাত্রবর্ণ, সুঠাম, দীর্ঘদেহী, সুদর্শন তরুণটি বেঘোরে গুলি খেয়ে ঢাকার রাস্তায় প্রাণহীন পড়ে আছে, ভাবতে বড় কষ্ট পাচ্ছি। চোখ বন্ধ করলেই ছেলেটির স্মিত হাসি দেখতে পাচ্ছি। হয়তো সে অত্যন্ত মন্দ ছিল। মৃত্যুদণ্ড তার প্রাপ্যও হতে পারে। কিন্তু সেটা আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নয় কেন? কোনো সভ্য দেশে সন্ত্রাস দমনের নামে এভাবে বিচারবহির্ভূতভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইন-আদালত যদি অকার্যকর কিংবা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেই দায়ভার শাসকশ্রেণীকেই নিতে হবে।
বিনা বিচারে এই হত্যা তো এদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে। সিরাজ সিকদারকে হত্যা করে সংসদে দম্ভোক্তি করা হয়েছে। রক্ষীবাহিনী তিরিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা তরুণকে সেই সময় হত্যা করেছে। স্বাধীনতার চার দশক পরও জবাবদিহিতাবিহীন হত্যাকাণ্ড চলবে, এমন বিকৃত রাষ্ট্রব্যবস্থা মেনে নেয়া যায় না। সাত নম্বর সেলের যে তিনটি তরুণের কথা বলেছি, তারা প্রত্যেকেই অনেক টাকা খরচ করে জামিন নিয়েছে। হোন্ডা বাবুকে তো নিরাপদে জেলগেট পার হওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার গোয়েন্দাদের অতিরিক্ত এক লাখ টাকাও দিতে হয়েছিল। সে কি তাহলে অনেকগুলো টাকা দিয়ে মৃত্যু কিনল? কীটদষ্ট সিস্টেম পরিবর্তন না করে নির্বিচারে ক্রসফায়ারের নামে রক্তের হোলিখেলার অধিকার উপর্যুপরি সরকারগুলোকে কে দিয়েছে? একটা প্রশ্নের জবাব বহুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছি না। বাংলাদেশে সবই তো নাকি অদৃশ্য ওপরের নির্দেশে হয়। ক্রসফায়ারে হত্যার এই সিদ্ধান্ত কত ওপর থেকে আসে? র্যাবের ডিজি, পুলিশের আইজি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী নাকি সর্বোচ্চ হাইকমান্ড থেকে? ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে আমরা মনের খুশিতে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের ওপর সেমিনার করে বেড়াচ্ছি, ধিক আমাদের এবং শাসকদের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ মন্ত্রী হওয়ার আগে মানবাধিকার বিষয়ক বেশুমার সেমিনার, গোলটেবিলে কী তীব্র ভাষাতেই না ক্রসফায়ারসহ সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করতেন! মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম কিছুদিন দেশ-বিদেশে এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের বাগাড়ম্বর করেও বেড়িয়েছেন। এখন এগুলোকে তারা শুধু জায়েজই বলছেন না, উপরন্তু এমন নির্লজ্জ দাবিও করছেন যে, দেশে নাকি কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছেই না। রাজনীতিবিদ হলেই কি এমন মিথ্যাচার করতে হবে?
আমি তো মনে করি, বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে যেখানে আইন, বিচার এগুলো সব কেনা-বেচার পণ্য, সেখানে মৃত্যুদণ্ডই উঠিয়ে দেয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ সরকারকে খুন করার লাইসেন্স প্রদানের তো প্রশ্নই ওঠে না। নীতিনির্ধারকদের স্মরণে রাখা উচিত মানুষ খুন এক ভয়ঙ্কর নেশা। ভারতের উত্তর-মধ্য প্রদেশের চম্বল অঞ্চল একসময় ভয়ঙ্কর সব ডাকাতদের কারণে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিল। সেই ডাকাতদের বিচিত্র কাহিনী নিয়ে তরুণ কুমার ভাদুড়ি ‘অভিশপ্ত চম্বল’ নামে একটি অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী প্রখ্যাত অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ি এই তরুণ কুমার ভাদুড়িরই কন্যা। ‘অভিশপ্ত চম্বল’ উত্তর প্রদেশে ফুলন দেবীর আবির্ভাবের আগের কাহিনী। সেই বইয়ে রূপা নামে এক ডাকাতের গল্প ছিল, যে কিছুদিন মানুষ হত্যা করতে না পারলে পাগলের মতো জঙ্গলে শিয়াল, শূকর ইত্যাদি মেরে বেড়াত। কারণ রক্ত না দেখলে দুর্ধর্ষ ডাকাত রূপা কিছুতেই স্থির থাকতে পারত না। আমরা কি নিরাপত্তা বাহিনীতে এই ধরনের বিকৃত মানুষ তৈরি করতে যাচ্ছি? হোন্ডা বাবু তো মরেই গেল। কিন্তু তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তরুণটির মাত্র তিন বছর শিশুপুত্রের মনের গভীরে আরও ভয়ঙ্কর এক হোন্ডা বাবুর বীজ রোপণ করা হলো কিনা, এ বিষয়ে বাংলাদেশের নানান কিসিমের বিশেষজ্ঞরা ভেবে দেখতে পারেন।
বাবুর একেবারেই কমবয়সী বউটারইবা এরপর কী হবে? এতিম শিশুপুত্রকে নিয়ে কেমন করে কাটবে তার দীর্ঘ বৈধব্য কাল? একজন সন্ত্রাসী বাবুকে হত্যা করার সঙ্গে দুটো নিরপরাধ আদম সন্তানকেও কি হত্যা করা হলো না? মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব বিষয়ে কিছুদিন মিডিয়া গরম করে রেখেছিলেন। এখন বোধহয় বিপদ বুঝতে পেরে চুপসে গেছেন। তাকেই ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হয়েছে কিনা, তাইবা কে জানে! আর এদেশের সুশীল(?) সমাজ তো মুখ খোলে কেবল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকলেই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে এদেশে অত্যাচার, নির্যাতন, গুমখুন, ক্রসফায়ার সবকিছু জায়েজ।

No comments

Powered by Blogger.