২২- অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দু’টি দিন কাটানো গেলে আসামের জনগণের বঞ্চনার কথা জানা যেত

বিপ্লবীর সঙ্গে হাত মেলানো হলো না
...সুবেদার জানালো, ওটাই ডিভিশন ওয়ার্ড। সেখানে শার্ট-প্যান্ট পরা একজনকে হাঁটতে দেখলাম। ততক্ষণে ভদ্রলোকও আমাকে দেখতে পেয়েছেন। সেই অচেনা ব্যক্তি দূর থেকেই উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, স্লামালেকুম, আপনি কেমন আছেন, আমি অনুপ চেটিয়া। আমি আনন্দিত বিস্ময়ে তার সালামের জবাব দিয়ে ফয়সালের কথা বললাম। কাল থেকে ভাবছিলাম, কী করে অনুপ চেটিয়াকে ফয়সালের কথা জানানো যায়। আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। সঙ্গের সুবেদার বিব্রত হচ্ছে বুঝতে পেরে দূর থেকেই বিদায় নিলাম। একজন বিপ্লবীর সঙ্গে হাত মেলানো হলো না।...

প্রিজন ভ্যানে চড়ে আদালতে গেলাম দুপুর বারোটায়। দূর থেকেই স্লোগানের আওয়াজ কানে আসছিল। আমার মুক্তি দাবিতে রাস্তার পাশে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ভ্যানের ভেতর থেকেই হাত নাড়তে নাড়তে আদালতে পৌঁছলাম। সেখানে আগে থেকে রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, নওগাঁর বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বুলু শত শত কর্মী-সমর্থক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এছাড়া রাজশাহীর সাংবাদিক এবং অন্যান্য পেশাজীবী নেতৃবৃন্দও এসেছেন বিপুল সংখ্যায়। আমাকে আইনি সহায়তা দিতে এসেছেন এমন আইনজীবীর সংখ্যাও শ’য়ের ওপরে। আমার মতো অতিসাধারণ একজন ব্যক্তির প্রতি এই সমর্থনে অভিভূত হলাম।
পুলিশ পরিবেষ্টিত হয়ে সিএমএম আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালাম। সেখানে অন্যরকম এক নাটক শুরু হলো। সরকারপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করলেন, আমাকে নাকি রাজশাহীর মেয়রের দায়ের করা এই মামলায় গ্রেফতারই দেখানো (শ্যোন অ্যারেস্ট) হয়নি। আমি যে রাজশাহীতে এসেছি, তাতেই তারা বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। এসব কাণ্ড-কীর্তি দেখে রাষ্ট্রের অবস্থা নিয়ে আমার হতাশা আরও বাড়লো। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় আমার নিজ থেকে রাজশাহীতে আসার কোনো সুযোগ নেই। আদালতের সমন কাশিমপুর জেলে পৌঁছানোর পর কর্তৃপক্ষ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমাকে এখানে এনেছে। অথচ, এখন বলা হচ্ছে আমি শ্যোন অ্যারেস্ট নই।
সিএমএম হাসিমুখেই ধৈর্য ধরে আইনের কূটচাল সংবলিত বক্তব্য শোনা শেষ করে আমাকে জামিন দিলেন। অবশ্য মামলা জামিনযোগ্য ধারায় হওয়ায় জামিন না দিয়ে তার সম্ভবত কোনো উপায়ও ছিল না। তারপরও একটা ঝামেলা মেটায় কৃতজ্ঞবোধ করলাম। বাংলাদেশের আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে উচ্চ আদালত যদি আমাকে অতিরিক্ত দণ্ড দিতে পারে, তাহলে রাজশাহীর সিএমএম আজকের জামিন আবেদন নাকচ করলে সেটাও মেনে নিতে হতো। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার প্রিজন ভ্যানে উঠলাম। সময় লাগল সাকুল্যে তিরিশ মিনিট। একটার মধ্যেই সেলে ফিরলাম।
সন্ধ্যার লক-আপ পর্যন্ত প্রধানত শান্তর সঙ্গে গল্প করেই কাটলো। পিতৃহীন, মায়ের স্নেহস্পর্শবঞ্চিত এই প্রতিশ্রুতিশীল ছেলেটির বর্তমান অবস্থায় কেমন যেন মায়া পড়ে গেছে। ওর কাঁধে পোষা একটি টিয়া পাখি বসে থাকে, সেটিকে আধাসেদ্ধ ডিম খাওয়ানোর কসরত দেখে মজা পেলাম। শিক্ষিত আর্মি অফিসারটি ফাঁসির সেলের এই দমবন্ধ করা পরিবেশে টিয়া পাখিটিকেই পরম বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। শান্ত আজ দু’টি চমত্কার উক্তি করলো। ওকে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে জেলখানায় থাকার অবস্থা কেমন, তাহলে তাত্ক্ষণিক জবাব দেয়—আমি টয়লেটে থাকি। প্রকৃতই সেলগুলো সম্পর্কে এর থেকে উত্তম বর্ণনা আর হতে পারে না। কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন কয়েদি ছাড়া অন্যদের চৌকি এবং টেবিল-চেয়ার মেলে না। দশ ফুট বাই সাত ফুট সেল নামক খুপরিতে তিনজন কয়েদি যেভাবে গাদাগাদি করে থাকে এবং একে অপরের চোখের সামনে টয়লেটের কাজ সাঙ্গ করে, তাতে টয়লেটে থাকা এবং সেলে থাকার মধ্যে প্রকৃতই কোনো তফাত্ নেই।
রাজশাহী জেলে টয়লেট নিয়ে আমিও বিষম সমস্যায় আছি। দেয়ালে পেরেক ঠুকে সেখানে কাপড় টাঙিয়ে যা হোক আব্রুর একটা ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু প্যান ব্যবহার করতে গেলেই পা ও পিঠে প্রচণ্ড টান ধরছে। আর উঠে দাঁড়ানোর সময় মনে হয় কোমরটা যেন ভেঙে যাবে। কাজেই টয়লেটমুখো না হওয়ার অব্যর্থ কৌশল হিসেবে পানাহার প্রায় বর্জন করেছি। শান্তর দ্বিতীয় উক্তিটি অসাধারণ তাত্পর্যময়। আমার সাত মাসের বন্দিজীবনের যাবতীয় অমর্যাদা, নির্যাতন হাসি দিয়ে উপেক্ষা করেছি একথাটি ওকে বলামাত্র জবাব দিল—ওটা তো স্যার, প্লাস্টিকের হাসি। ওর মধ্যে কোনো প্রাণ নেই। অনেকদিন মুখের ওপর এমন সত্যি কথা আর শুনিনি। আসলেই তো! আপনজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই অবমাননাকর পরিবেশে সাত মাস ধরে যে জীবনযাপন করে চলেছি, তাকে রোবটসদৃশ না বলে কোনো উপায় নেই। শান্তর মন্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত বলামাত্র ছেলেটির মুখ নিষ্পাপ হাসিতে ভরে গেল।
সোমবার দশ সেল থেকে বিদায় নিতে সকাল এগারোটা পার হলো। রাজশাহী পুলিশের কী এক বিশেষ প্যারেড ছিল, তাই এসকর্ট আসতে দেরি করেছে। ক্যাপ্টেন শান্ত বিষণ্ন মনে বিদায় জানালো। জানি না এই তরুণটির সঙ্গে জীবনে আর কোনোদিন সাক্ষাত্ হবে কি-না। জেলগেট পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার সময় সুবেদার মোক্তারের কাছ থেকে শুনছিলাম ব্রিটিশ আমলে দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের কেমন করে এই জেলে এনে নির্যাতন করা হতো। সেই থেকে রাজশাহীর এই কারাগার পানিশমেন্ট জেলের নাম বয়ে বেড়াচ্ছে। এখানে মাটির নিচেও নাকি কয়েকটি কক্ষ আছে, যেগুলো সেই সময় টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। হঠাত্ আমার র্যাব-১-এর টিএফআই সেলের কথা মনে পড়ে গেল। গেটের কাছেই একটা একতলা দালান দেখিয়ে সুবেদার জানালো, ওটাই ডিভিশন ওয়ার্ড। সেখানে শার্ট-প্যান্ট পরা একজনকে হাঁটতে দেখলাম। ততক্ষণে ভদ্রলোকও আমাকে দেখতে পেয়েছেন।
সেই অচেনা ব্যক্তি দূর থেকেই উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, স্লামালেকুম, আপনি কেমন আছেন, আমি অনুপ চেটিয়া। আমি আনন্দিত বিস্ময়ে তার সালামের জবাব দিয়ে ফয়সালের কথা বললাম। কাল থেকে ভাবছিলাম, কী করে অনুপ চেটিয়াকে ফয়সালের কথা জানানো যায়। আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। সঙ্গের সুবেদার বিব্রত হচ্ছে বুঝতে পেরে দূর থেকেই বিদায় নিলাম। একজন বিপ্লবীর সঙ্গে হাত মেলানো হলো না। অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দু’টি দিন কাটাতে পারলে তার সংগ্রামের কাহিনী থেকে আসামের জনগণের বঞ্চনার ইতিহাস জানতে পারতাম, আমার লেখাটাও অনেক সমৃদ্ধ হতো। সেই অপূর্ণতা নিয়েই জেলগেটের বাইরে অপেক্ষমাণ মাইক্রোবাসে উঠলাম।
বিদায়ের আগে জেলার ফারুক সৌজন্য বিদায়ী সাক্ষাত্ করলেন। এই জেলের সুপারের নাম শুনেছিলাম পার্থ বণিক। কারারক্ষীদের কাছ থেকে জেনেছি তিনি ঢাকার ধামরাইয়ের অধিবাসী, তার পিতা অথবা পিতৃস্থানীয় কেউ সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা। চাকরি উপলক্ষে ধামরাইতে আশির দশকের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছি। ওই এলাকার প্রভাবশালীরা সবাই মোটামুটি আমাকে চেনেন। সুপার পার্থ বণিকেরও আমাকে চেনার কথা। আওয়ামী জামানায় পার্থ বাবু নিজেকে হয়তো একজন অতীব মর্যাদাবান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাই দু’রাত তার রাজত্বে থেকে গেলেও আমার মতো অভাজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের প্রয়োজন অনুভব করেননি।
রাজশাহী থেকে ফরিদপুর পৌঁছাতে এতটা দেরি হবে ভাবতে পারিনি। ১৮৫৭ সালের মহান সিপাহী বিপ্লবেরও আগে নির্মিত ফরিদপুর জেলে যখন পৌঁছলাম, দিনের আলো তখন প্রায় নিভে এসেছে। জেলগেটে ফরিদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাদা মিঞা আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আমাকে সরাসরি কারা অফিসে নিয়ে যাওয়া হলো। কারা অফিসে বসেই ওকালতনামা এবং অন্যান্য কাগজপত্রে সই করলাম। দর্শনার্থীরা বিদায় নেয়ার পর আমাকে নিয়ে সুপার জেলের ভেতরে ঢুকলেন। ততক্ষণে লক-আপ হয়ে গেছে, আসামিরা যার যার খোঁয়াড়ে বন্দি। বিল্ডিংগুলো সব জরাজীর্ণ, ভাঙাচোরা। আগেরদিনের ইট-সুরকি দিয়ে বানানো প্রায় দুইশ’ বছরের তিনতলা ভবন কোনদিন যে আসামি নিয়ে ভেঙে পড়ে সেটা আল্লাহই জানেন। তবে আসামির সংখ্যা বেশি নয়, সাকুল্যে হাজার খানেক হতে পারে। অবশ্য এর অধিক সংখ্যা হলে ছোট জেলে হয়তো স্থানসংকুলান হবে না। এত পুরনো ডিস্ট্রিক্ট জেলে ডিভিশন ওয়ার্ড আশা করা যায় না।
আমার থাকার জন্য জেল ডাক্তারের অফিসকেই সাময়িক সেল বানানো হয়েছে। বিছানাপত্র রাজশাহীর মতোই সদ্য কেনা। সরকার আমাকে হয়রানি করার পাশাপাশি বেচারা জেল কর্মকর্তাদেরও উটকো ঝামেলায় ফেলেছে। রাজশাহীতে দু’রাত একাদিক্রমে অনিদ্রার প্রতিক্রিয়ায় এখানে রাতে ঘুম ভালোই হলো। তবে ঠাণ্ডাটা রাজশাহীর চেয়ে তীব্র হওয়ায় একটু অবাকই হলাম। নতুন কেনা লেপের নিচে শুয়েও মনে হচ্ছিল এর ওপর একটা অতিরিক্ত কম্বল হলে মন্দ হতো না। প্রতি সকালে গোসল করার বাতিকে শীতে কাঁপতে কাঁপতে সেটাও সাঙ্গ করলাম। সকাল দশটার মধ্যে প্রিজন ভ্যান চলে এলেও আমাকে সুপারের অফিস কক্ষে অপেক্ষা করতে হলো। আদালত পাড়ায় গোয়েন্দা দল আমাকে নেয়ার জন্য সবুজ সংকেত দিতে দেরি করছে। টানা এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর নির্দেশ মিললো। কোর্টে গিয়ে শুনলাম, আদালতে আমার মুক্তির দাবিতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিল। বিক্ষোভ সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ ডাকতে হয়েছে। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই কেবল আমাকে হাজির করা হয়েছে। দুই ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে দৌড়াতে হলো। মামলার ধারা জামিনযোগ্য হলেও সরকারি পিপি তারস্বরে চিত্কার করে জামিনে বাধা দিলেন। অতিশয় মন্দপ্রকৃতির যে লোকটিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাজা দিয়েছে, তাকে কোনো অবস্থাতেই জামিন দেয়া যাবে না, তা ধারা যা-ই হোক না কেন। এই হলো সরকারপক্ষের যুক্তি। জামিনযোগ্য ধারার মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিতে আইনত বাধ্য।
আমি যত খারাপ লোকই হই না কেন, বেচারা ম্যাজিস্ট্রেটকে আওয়ামী পিপির অসন্তুষ্টির ঝুঁকি নিয়েও জামিন দিতে হলো। প্রথম ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে কাজ শেষ করে যেতে হলো দ্বিতীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে। মিনিট খানেকের হাঁটা পথ লোকে লোকারণ্য। ভিড় ঠেলে এগোনোর ফাঁকেই আওয়ামী লীগের এক লড়াকু কর্মী আমার বেশ কাছে এসে কটূক্তি করে আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে গেল। আমার সমর্থকরা তখনও আদালত চত্বরেই ছিলেন, তারাও স্লোগান দিলেন। দ্বিতীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত এতই ছোট যে, আইনজীবীরা সবাই সেখানে ঢুকতে পারলেন না। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের তারস্বরে চিত্কার, হৈ-হট্টগোলের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট কী শুনলেন, তা তিনিই জানেন। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহজাদা মিঞা বললেন, জামিন হয়ে গেছে। প্রসন্ন মনে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
আবার প্রিজন ভ্যান এবং ফরিদপুর জেল। ফেরার পথে প্রিজন ভ্যানে স্বয়ং ওসি এবং অতিরিক্ত একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা উঠলেন। বুঝলাম অপ্রত্যাশিত লোক সমাগমের কারণেই এই অতিরিক্ত সতর্কতা। দুপুরের খাওয়া শেষ করে ঘণ্টাখানেক ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় স্বয়ং সুপার উপস্থিত হলেন। ভদ্রলোক ওপরের নির্দেশ নিয়ে এসেছেন। আমাকে এখনই কাশিমপুরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ঘুমের প্ল্যান ভেস্তে গেলেও খুশিমনে পনেরো মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নিলাম। ফরিদপুর জেল প্রশাসনও দেখলাম একই রকম আনন্দিত। আমার মতো রাজবন্দিদের নিয়ে জেল প্রশাসনকে নানারকম আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হয়। ঘাড় থেকে বোঝা নামাতে পারলে তারাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ফরিদপুর জেলে এতই কম সময় থাকলাম যে, অন্যান্য বন্দির সঙ্গে আলাপ-পরিচয়ের সুযোগই পেলাম না। তবে বিদায়ের সময় দেখলাম, বন্দিরা তাদের সেলের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে। আমিও পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলগেটের দিকে এগিয়ে গেলাম। ঘরে ফেরার আনন্দ নিয়ে পাঁচ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ করে রাত আটটার কিছু পরে কাশিমপুর জেলগেটে পৌঁছলাম। তিনদিন রাজশাহী, ফরিদপুর ভ্রমণের নিট ফল নয় মামলায় জামিন এবং অনুপ চেটিয়াকে দূর থেকে দেখা। শরীরের ওপর দিয়ে ধকল গেলেও প্রাপ্তি মন্দ নয়।

No comments

Powered by Blogger.