২০- কোনো সরকারই যে চিরস্থায়ী নয় : জেল কর্মকর্তাদের সেই শাশ্বত সত্য মনে করিয়ে দিলাম

ক মাস তেইশ দিন পর
এক মাস তেইশ দিন পর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা। জেল সুপারের কক্ষের বাইরে দর্শনার্থীদের অপেক্ষার জায়গায় পারভীন বসে আছে। জিজ্ঞেস করলাম ভালো আছ তোমরা? হাসিমুখেই সে জবাব দিল, সবাই ভালো আছি। পঁচিশ বছরের চেনামুখের হাসির আড়ালে কান্না দেখতে কোনো অসুবিধা হয়নি। সাক্ষাতের বরাদ্দ সময় তিরিশ মিনিট নিমেষে পার হয়ে গেল...

এক মাস তেইশ দিন পর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলো। ক’দিন আগে আমাকে জানানো হয়েছিল, চার ডজন মামলার সর্বশেষ অবস্থা আলোচনার জন্য আজ জেলগেটে একজন আইনজীবী আসবেন। সকাল থেকে তার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। জেলগেট থেকে রাইটার দেখা করার অনুমতিপত্র নিয়ে এলে সেখানে ফিরোজা মাহমুদের স্বাক্ষর দেখে চমকে উঠলাম। এমন তো কথা ছিল না। মা এবং স্ত্রী দু’জনাকেই জেলগেটে আমার সঙ্গে দেখা না করতে বার বার করে বলে এসেছিলাম। প্রথমেই আশঙ্কা হলো, মা বোধহয় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরই মনে হলো, আমাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করেই শাসক শ্রেণীর জিঘাংসা মিটছে না। হয়তো আমার পরিবারকেও এখন হয়রানি করছে। উপায় না দেখে আমার নিষেধ উপেক্ষা করেই পারভীনকে এখানে আসতে হয়েছে। প্রায় ছুটতে ছুটতে জেলগেটে গেলাম। সঙ্গের কারারক্ষীরা পেছনে কোথায় পড়ে রইল, লক্ষ্যই করিনি।
জেল সুপারের কক্ষের বাইরে দর্শনার্থীদের অপেক্ষার জায়গায় পারভীন বসে আছে। উল্টোদিকের সোফায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চার-পাঁচজন কর্মকর্তা বসে নজর রাখছে। স্ত্রীর হাত ধরে জিজ্ঞেস করলাম, ভালো আছ তোমরা? হাসিমুখেই সে জবাব দিল, সবাই ভালো আছি। পঁচিশ বছরের চেনামুখের হাসির আড়ালের কান্না দেখতে কোনো অসুবিধে হয়নি। গোয়েন্দা পরিবেষ্টিত অবস্থায় মন খুলে কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আমার খোঁজে পারভীনের থানা থেকে থানায় ছুটে বেড়ানো, ডিবি অফিসের বাইরের ফুটপাতে রাতের পর রাত বসে থাকার কাহিনী শুনলাম নিশ্চুপ হয়ে। দাঁতে দাঁত চেপে ভেতর থেকে উঠে আসা অসহায় ক্রোধ সংবরণ করলাম। লোকমুখে ক্যান্টনমেন্ট থানায় আমার ওপর নির্যাতনের খবর পেয়ে পরের রাতে ওর বড় বোন রীতা, অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার, ব্যারিস্টার মুন্সি কবির, ব্যারিস্টার অসীমকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে থানায় যাওয়ার কথাও শুনলাম। আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। মনে পড়ে গেল, সেই মুহূর্তেই থানা হাজতে চোখ বেঁধে আমার জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। আইও রেজাউল করিম নাকি আমার ওপর নির্যাতনের কথা বেমালুম অস্বীকার করেছে। পারভীন ওই রাতে থানায় ছুটে যাওয়াতেই হয়তো ক্যান্টনমেন্ট থানায় দ্বিতীয় বারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। কী চমত্কার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই না আমরা বাস করছি! একজন প্রবীণ সম্পাদকের অসহায় স্ত্রীকে থানায় থানায় ছুটে বেড়াতে হয় তার স্বামীকে থানা হেফাজতের নির্যাতন থেকে রক্ষা করার অক্ষম প্রচেষ্টায়। তার বৃদ্ধা মা এবং স্ত্রীকে সারারাত ধরে ফুটপাতে বসে অপেক্ষা করতে হয় রিমান্ডের নামে নির্যাতন শেষ হওয়ার জন্য। শঙ্কা থাকে রিমান্ড শেষে সুস্থ ফিরে পাওয়া যাবে, নাকি হার্ট অ্যাটাকের গল্প শুনে লাশ দাফন করতে হবে। গণতন্ত্রের স্বঘোষিত মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বছরের প্রথম দিকেই দিল্লি থেকে ইন্দিরা পুরস্কার নিয়ে ফিরেছেন। সেই পুরস্কারের মানপত্রে লেখা আছে, গণতন্ত্রের জন্যে দীর্ঘ সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপই নাকি গুণমুগ্ধ ভারত সরকার আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এই বিরল সম্মানে ভূষিত করেছে। তামাশারও বোধ হয় একটা সীমা থাকা দরকার!
আমাদের তিনজনের সংসার আরও ছোট হয়ে এখন দুই প্রজন্মের দুই নারীর সংসারে পরিণত হয়েছে। শাশুড়ি-বৌয়ের সম্পর্ক নিয়ে সারা পৃথিবীতে গল্পের অভাব নেই। আধুনিকতার আগ্রাসনে বাংলাদেশেও একসঙ্গে বসবাস ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাকে গ্রেফতার করে আমার বাড়ির শাশুড়ি-বৌকে অবশ্য শেখ হাসিনা আরও ঘনিষ্ঠ করে দিয়েছেন। পারভীনই বলল, সে প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় মা সূরা পড়ে তার মাথায় ফুঁ দিয়ে দেন। তারপর অপেক্ষা করতে থাকেন, দুপুরে বৌ ফিরলে একসঙ্গে খেতে বসবেন। অফিসের কাজ-কর্ম সেরে পারভীনের ফিরতে একটু দেরি হলেই অস্থির হয়ে ওঠেন। একমাত্র সন্তানের অবর্তমানে জননীর অসহায় বোধ করাই স্বাভাবিক। তিনজনের সংসার থেকে একজনের শূন্যতা পূরণ হওয়া কঠিন। জেলখানায় এসে আমাকে একবার দেখার জন্য মা ব্যাকুল হয়ে আছেন। এই বিচিত্র, অচেনা জায়গায় প্রথম দিন আসছে, একথা ভেবে পারভীন আজ আর মাকে সঙ্গে আনেনি।
দেখার বরাদ্দ তিরিশ মিনিট সময় নিমেষে পার হয়ে গেল। বিদায়ের আগে আমার স্ত্রী বলে গেল, আগস্টের মধ্যে মুক্তি না মিললে মাসের শেষদিকে মাকে নিয়ে আসবে। আমি সাধ্যমত তাকে নিবৃত্ত করতে চাইলাম। জানি না শুনবে কি না! আমি মন থেকেই চাই না ওরা এখানে আসুক। এই অমার্জিত সরকার দেশের কোনো নাগরিকেরই সম্মান রাখতে জানে না। এবার ক্ষমতায় এসে যুগপত্ মার্কিন ও ভারতের অন্ধ সমর্থন ক্ষমতাসীনদের এতখানি উদ্ধত করে তুলেছে যে তারা সংবিধান, আইন, মানবাধিকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পশ্চিমা বিশ্বকে ইসলামী জঙ্গি নামক জুজুর ভয় দেখিয়ে এবং দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের সব অন্যায্য চাহিদা পূরণ করে তারা অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হবে। কোনো অপকর্মের জন্যই কোথাও জবাবদিহি করতে হবে না। এই জঙ্গি জঙ্গি খেলা মার্কিনিদের কাছে এক সময় ধরা পড়ে গেলেও সে দেশের শক্তিশালী ভারতীয় লবি মহাজোটের ক্ষমতায় টিকে থাকার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। শেখ হাসিনার দেশি-বিদেশি পরামর্শকরা আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন বলেই আমার ধারণা। পশ্চিমা ও ভারতীয় স্বার্থে বিরোধ না লাগা পর্যন্ত তিনি সম্ভবত নিরাপদেই থাকবেন। মিডিয়ার কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে জনমতকে বিভ্রান্ত করা যে কত সহজ, সে তো আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনেই দেখেছি। অবশ্য একই সঙ্গে সামরিক এবং বেসামরিক আমলা শ্রেণীকে সপক্ষে রাখাটাও জরুরি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতায় এই সুবিধাবাদী আমলা শ্রেণী যে ক্রমেই ক্ষমতাসীন দলের কর্মীতে রূপান্তরিত হচ্ছে, তার লক্ষণ ইতোমধ্যেই স্পষ্ট। রেডিও-টেলিভিশনে প্রজাতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা যে ভাষায় কথা বলছেন, তার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের কোনো ফারাক নেই বললেই চলে। অবিশ্বাস্য এই স্তাবকতা!
জেল প্রশাসনের সব কর্মকাণ্ডে একই ধরনের দলীয় চিন্তাধারাই প্রতিফলিত হচ্ছে। অতীতেও হয়তো এই ধারার ব্যতিক্রম ছিল না। জেলের পূর্বঅভিজ্ঞতা না থাকায় সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কিন্তু আমাকে প্রাথমিকভাবে ডিভিশন না দেয়া, জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে টপ টেররদের মতো আচরণ, তাদের প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা লক-আপে রাখা, ইত্যাকার কাজকর্মের মধ্য দিয়ে জেল প্রশাসনের দেশের প্রচলিত আইন না মানার স্পষ্ট প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এমন বৈরী পরিবেশে আমার মা ও স্ত্রী আমাকে দেখতে এসে কোনোভাবে অসম্মানিত হলে আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হবে না। পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য হিসেবে তাদের যে কোনো ধরনের অমর্যাদা থেকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করা আমার দায়িত্ব। বন্দি জীবনের অসম্মান, একাকিত্ব সহ্য করে তাদের যথাসম্ভব নিরাপদে রাখার চেষ্টা তো অন্তত করতে হবে। সাক্ষাত্কার শেষে দু’জন দুই দরজার দিকে চলে গেলাম। পারভীন জেলগেট ত্যাগ করার পর আমিও সাত নম্বর সেলের দিকে হাঁটতে লাগলাম।
জেলগেটে কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছু না জানালেও সেলে ফিরেই শুনলাম, জুলাই মাসের ২৫, ২৬ এবং ২৭ পরপর তিন দিন আমার তিন জেলায় হাজিরা রয়েছে। প্রথম দিন কক্সবাজার, দ্বিতীয় দিন ঢাকা এবং তৃতীয় দিন গোপালগঞ্জে মামলার তারিখ পড়েছে। এই রসিকতায় না হেসে পারলাম না। মন্তব্য করলাম, ভালোই তো, সদাশয় সরকার তিন দিন আমাকে কোর্টে আনা-নেয়ার জন্য একটা হেলিকপ্টার বরাদ্দ করলেই আর কোনো সমস্যা থাকে না। জেলের জমাদার জানিয়ে গেল, কালই আমাকে কক্সবাজার চালানে পাঠানো হচ্ছে। আমি যেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে সকালেই তৈরি থাকি। সারা রাত ঘুম এলো না। পাঠক ভাববেন না, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের হাতছানি সে রাতে আমার নিদ্রা হরণ করেছিল। আমার নিজের ঘরের জন্য মনটা বড় খারাপ লাগছিল। গত তেপ্পান্ন দিনে অনেক যুদ্ধ করে জেলজীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলাম। এই সরকারের যাবতীয় নির্যাতন সহ্য করার জন্য বাইরে থেকে যে শক্ত খোলস প্রায় দু’মাসে আমি তৈরি করে নিয়েছিলাম, আজ পারভীন সেটাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে গেছে। জেলের এই রাতটাকে আবার জেল জীবনের প্রথম রাতের মতো লাগছিল, আর কষ্টের প্রচণ্ডতা বাড়িয়ে দিচ্ছিল। সকালে উঠে ভাবলাম দুর্বল হলে চলবে না, আজ থেকেই ফুটো হওয়া খোলস মেরামতের কাজে লেগে যেতে হবে। জালিমের কাছে কিছুতেই পরাজিত হওয়া যাবে না।
শেষ পর্যন্ত আমাকে গোপালগঞ্জেই যেতে হচ্ছে। কক্সবাজারে আগামী মাসে নতুন তারিখ পড়েছে এবং ২৫ তারিখ রাতে জেল কর্তৃপক্ষ ঢাকায় হাজিরার স্লিপ পাঠালেও ২৬-এর ভোরে সেটা পাল্টে গোপালগঞ্জে চালানের স্লিপ পাঠাল। ২৬ তারিখে ঢাকা আদালতে যাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন ছিল। বেশ কয়েকটি মামলার বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে সেখানে পরামর্শ করতে চেয়েছিলাম। প্রচলিত আইনেও বলে, ঢাকার কোনো আদালতে হাজিরার তারিখ নির্ধারিত থাকলে সেটা সম্পন্ন করেই অন্য জেলা আদালতে যেতে হবে। নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দর্পে অন্ধ সরকার আদালত-আইন কোনো কিছুই না মানার পণ করে বসে আছে। জেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারতপক্ষে আমি কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমার লড়াই চলছে ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠিতদের সঙ্গে। এখানকার সবাই নিতান্তই নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। এদেরও অধিকাংশ আমার মতোই অসহায়। আজ আর মেজাজটাকে বাগে রাখতে পারলাম না। গোপালগঞ্জের স্লিপ পাওয়ামাত্র জমাদার, কারা রক্ষীদের দ্বিতীয় কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সোজা চলে গেলাম জেলগেটের প্রধান অফিসে। এখানে আসার পর এই প্রথম কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বভাববিরুদ্ধ রূঢ় আচরণ করলাম। এদের এতদিনের অবজ্ঞা, অসৌজন্যমূলক আচরণ গায়ে মাখিনি। আজ জানতে চাইলাম, আইন নিয়ে এতটা যথেচ্ছাচার করার ক্ষমতা তারা কোথা থেকে পাচ্ছে? আজ ২৬ তারিখে মামলার নির্ধারিত তারিখে ঢাকা সিএমএম আদালতে না পাঠিয়ে আইনের কোন ধারাবলে গোপালগঞ্জে পাঠানো হচ্ছে, সেটাও জিজ্ঞাসা করলাম। কোনো সরকারই যে চিরস্থায়ী নয়, সেই শাশ্বত সত্যের ব্যাপারেও তাদের স্মরণ করালাম। পরিচিত জনেরা জানেন, আমার কণ্ঠস্বর স্বাভাবিকের চেয়ে সচরাচর উচ্চগ্রামেই থাকে। আজকের গলার আওয়াজ সম্ভবত ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের প্রধান ফটকের বাইরে অপেক্ষমাণ দর্শনার্থীদের কানেও প্রবেশ করেছে। ভেতরের কারা রক্ষী, আসামিরা সব নিশ্চুপ, কর্মকর্তারা আমতা আমতা করে খোঁড়া কিছু যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করল। সেই দুর্বল যুক্তিগুলোর মধ্যে আংশিক সুখবর পেয়ে খানিকটা শান্ত হলাম। আগামীকাল ঢাকা সিএমএম আদালতে যে মামলার হাজিরা ছিল, সেই মামলায় হাইকোর্ট প্রদত্ত জামিনের কাগজপত্র নিম্ন আদালতে পৌঁছে যাওয়ায় আমার নাকি হাজিরা না দিলেও চলবে। অপরদিকে গোপালগঞ্জের মামলা জামিনযোগ্য মানহানি মামলা হওয়া সত্ত্বেও সশরীরে আমাকে না দেখে আজকের বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জেলার ক্ষমতাবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করবেন না। কাজেই চালানে আমাকে যেতেই হবে। হৈ চৈ করে চালান ঠেকাতে না পারলেও অন্তত হাইকোর্টের জামিনের খবরটা যে পেলাম, এটাই আমার নগদ লাভ। ঢাকা জেলের সুপার তৌহিদ এবং জেলার মোখলেসুর রহমান এখানে আসা অবধি আমার সঙ্গে যথাসম্ভব অসহযোগিতা করে চলেছে। আজ সেই অসহযোগিতার আরও একটা প্রমাণ পেয়ে মনে হলো, আমার সঙ্গেই যদি এমন আচরণ চলতে পারে তাহলে অসহায়, দরিদ্র, সাধারণ কয়েদিদের প্রতিদিন কী পরিমাণ অন্যায়-অবিচারের শিকার হতে হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.