৪৩- দিনবদলের ধাক্কায় ‘কমিউনিস্ট সুশীল’ লেবাস পাল্টে হয়েছেন ‘সাম্রাজ্যবাদী সুশীল’

হেজাব পরা পোস্টারে দেশ ছেয়ে গিয়েছিল
...আজ বাংলাদেশে বোরকা নিয়ে অনাবশ্যক বিতর্ক তোলা হচ্ছে। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে হেজাব পরে দেশবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। হেজাব পরিহিত অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মোনাজাতরত পোস্টারে সারাদেশ তখন ছেয়ে গিয়েছিল। ডেইলি স্টার এবং বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ বিচার বিভাগের বিবেচনায় তাতে অবশ্য ধর্মনিরপেক্ষতার মহান আদর্শের কোনো ক্ষতি হয়নি।...
সরকারের দু’বছর পূর্ণ না হতেই তাদের মারাত্মকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত ভাবমূর্তি মেরামতে সরাসরি মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছে সুশীল (?) পত্রিকা দি ডেইলি স্টার। অক্টোবরের ৫ তারিখে পত্রিকাটির প্রথম পাতার তিনটি সংবাদ ও সংবাদ বিশ্লেষণ যথাক্রমে 'PM unhappy, demands explanation', 'An uncalled for debate', এবং 'Secularism back' পাঠ করে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী সমর্থক মিডিয়ার উদ্বেগের মাত্রা বুঝতে কষ্ট হলো না। ‘অপারেশন সেভ শেখ হাসিনা’ এবং ‘অপারেশন সেভ প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক’ প্রকল্পের বাস্তবায়নকল্পে একই দিনে তিন তিনটি পক্ষপাতমূলক সংবাদ ছাপানোর মাধ্যমে জনমনে সরকারের নাজুক অবস্থারই জানান দিয়েছে বাংলাদেশের সুশীল (?) গোষ্ঠীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী মিডিয়া গ্রুপের এই ইংরেজি সংবাদপত্র।
প্রথম সংবাদটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন গণতন্ত্রমনস্ক, মিডিয়াবান্ধব ব্যক্তিরূপে চিত্রিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। তার সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরের সময়ে স্পিকারের নেতৃত্বে একদলীয় সংসদে মন্ত্রী-এমপিরা সাংবাদিকদের যে ধোলাই পর্বটি সম্পন্ন করেছেন, ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী সেজন্য নাকি সুশীলা প্রধানমন্ত্রী তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করে তাদের কৈফিয়ত তলব করেছেন। ডেইলি স্টারের সহযোগী বাংলা দৈনিক ‘প্রথম আলো’ এবং তার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও যে সেদিন সংসদে বিষোদগার করে তাকে ২১ আগস্ট বোমা হামলার চক্রান্তকারী নামে অভিহিত করা হয়েছে, সেই বিষয়টি দেশবাসী নিশ্চয়ই এখনও ভোলার সময় পাননি। 'PM unhappy, demands explanation' শিরোনামে সংবাদ ছাপিয়ে ডেইলি স্টার জনগণকে বিশ্বাস করাতে চাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগে মাত্র গুটিকয়েক দুষ্ট প্রকৃতির মন্ত্রী, এমপি থাকলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন অতিশয় সজ্জন ও ন্যায়নিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। হঠকারী সহকর্মীদের অপরাধে তাকে ভুল বোঝা দেশবাসীর মোটেও উচিত হবে না। এদের জন্যই বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক বৈষ্ণবভক্ত কবি লিখেছিলেন, মেরেছো কলসির কানা, তাই বলে কি ... ইত্যাদি, ইত্যাদি। এদেশের একজন নগণ্য নাগরিক হিসেবে আমি এই সংবাদ পড়ে যেটুকু বুঝেছি, তা হলো আওয়ামী লীগ এবং সুশীল (?) গোষ্ঠীর খুঁটি যে দেশে বাঁধা, সেখানকার নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রীর মেক-আপের মহান দায়িত্ব ডেইলি স্টারকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নিতে হয়েছে।
'An uncalled for debate' (একটি অযাচিত বিতর্ক) শিরোনামের সংবাদ বিশ্লেষণে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সামরিক শাসনবিরোধী, গণতন্ত্রমনা, মহাপ্রাণ এবং একজন বিপ্লবী বিচারক রূপে চিত্রিত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সমালোচকদের বেশ এক হাত নেয়া হয়েছে লেখাটিতে এবং পত্রিকাটির বিবেচনায় অপরাধীর কাঠগড়ায় অবশ্যই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সংবাদ বিশ্লেষকের মূল বক্তব্য হলো, বিচারপতি খায়রুল হকের প্রতিটি কথা অমৃতসমান। পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে তাকে অযথাই আগাম বিতর্কিত করার মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে তার বিরুদ্ধে নিন্দা-মন্দ করার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিবন্ধের লেখক। অথচ এই বিচারপতি খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণ করেই সব ধরনের সৌজন্যবোধ ও শালীনতা বিসর্জন দিয়ে প্রকাশ্যে তার পূর্ববর্তী প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের আদালত পাড়ার ইতিহাসে অতীতে কোনো প্রধান বিচারপতি এমন ন্যক্কারজনকভাবে অমার্জিত আচরণ করেননি। সময় বুঝে ভোল পাল্টানোতে বিশ্বে কোথাও বাংলাদেশের স্বঘোষিত সুশীলদের (?) প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এরা সত্তরের দশকে মস্কো এবং দিল্লির দিকে তাকিয়ে নমঃ নমঃ করতেন। এখন দিল্লি যথাস্থানে থাকলেও, শীতলযুদ্ধ অবসানে অপাঙেক্তয় মস্কোর জায়গাটি ওয়াশিংটন দখল করেছে। দিনবদলের ধাক্কায় ‘কমিউনিস্ট সুশীল’ লেবাস পাল্টে ‘সাম্রাজ্যবাদী সুশীল’ হয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং বিচারপতি খায়রুল হকের গুণমুগ্ধ যে ডেইলি স্টার সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে রীতিমত জেহাদ ঘোষণার সুরে কথা বলছে, তারাই জেনারেল মইনের কট্টর সমর্থক ছিল। ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো’র সম্পাদকদ্বয় ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য সেই সময় জানপাত করেছেন। জেলে আসার আগে চ্যানেল আইয়ের ‘ আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর মতিউর রহমানকে মইন জামানায় ‘মাইনাস টু’-এর পক্ষে অবস্থান গ্রহণের কারণে ভুল স্বীকার করতে স্বকর্ণে শুনেছি। জেলে এসে অন্য পত্রিকা না পেয়ে বাধ্য হয়েই নিয়মিত ডেইলি স্টার পড়ছি। গত চার মাসে পত্রিকাটির সংবাদ পরিবেশনের ধরন দেখে আমার মনে হচ্ছে, মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রতি অপরিসীম বিদ্বেষই বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতিতে দি ডেইলি স্টার, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। সেই আলোকেই ‘Secularism back’ (ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরেছে) শিরোনামের সংবাদটি পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
এবারের আমেরিকা সফরে সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শীতল অভ্যর্থনায় ক্ষমতাসীন মহলের মনে বিপদ ঘণ্টা বেজে উঠেছে। এ দেশের দ্বিধাবিভক্ত রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের পক্ষে ২০০৮ এর নির্বাচন-পূর্ব অবস্থান পশ্চিমারা যাতে পরিবর্তন না করে, সেই লক্ষ্যেই ডেইলি স্টারে নতুন করে ধর্মনিরপেক্ষতার গল্প ফাঁদা হয়েছে। আলোচ্য সংবাদের মাধ্যমে ইসলাম-ফোবিয়ায় আক্রান্ত পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, আওয়ামী আমলে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং এদেশে এখন বোরখা, টুপি অথবা ধুতি পরতে কাউকে আর বাধ্য করা যাবে না। সরকারিভাবে এসব পোশাক পরিধানে অতীতে কোনো নাগরিককে বাধ্য করা হয়েছে এমন তথ্য আমার অন্তত জানা নেই। কোনো পরিবারের মুরুব্বিরা যদি এমন কোনো নির্দেশ তাদের গৃহের কমবয়সীদের দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি তাদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র বা আদালত এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশে কাউকে ধুতি পরতে বাধ্য করার প্রশ্ন অবান্তর হওয়া সত্ত্বেও বোরখা এবং টুপির সঙ্গে বিশেষ উদ্দেশ্যে ধুতিকে টেনে আনা হয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো, এ দেশে ক্রমান্বয়ে বোরখা এবং টুপি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সরাসরি এ কথাটি কবুল করার সাহস ক্ষমতাসীনদের নেই। তাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে ধুতিকে সামনে আনা হয়েছে।
ডেইলি স্টারের সংবাদটি হাইকোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়ের ভিত্তিতে প্রণীত। ক’দিন আগে একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘রাণী ভবানী মহিলা কলেজে বোরখা না পরলে আসতে মানা।’ সেই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ সুয়োমোটো রায়ে বলেছেন, বোরখা, টুপি এবং ধুতি পরতে কোনো নাগরিককে বাধ্য করা যাবে না। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বিতর্ক যেখানে মুসলমান নারীর বোরখা নিয়ে, সেখানে রায়ে বাঙালি হিন্দু পুরুষের পোশাক ধুতি আমদানি কেন হলো তার জবাব আমার জানা নেই। তবে কুইনাইন গেলানোর জন্য চিনির আস্তর দেয়ার গল্প শুনেছি। এক্ষেত্রেও বোরখা বন্ধ করার মূল উদ্দেশ্য সাধনে ধুতির মোড়ক দেয়া হতে পারে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বিভাগের ব্যাপার-স্যাপার বোঝার জন্য আজকাল সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের দিকে তাকানোই যথেষ্ট। ক্ষমতাসীনরা প্রায়ই হুঙ্কার দিয়ে উঠে বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর ধর্মকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে ধর্মকে ব্যবহার করে এবং মাত্র ২২ মাসে ভীষণভাবে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠা সত্ত্বেও ক্ষমতায় টিকে আছে কেবল ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে।
ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি এবং ইসলাম-বিরোধিতার তকমা লাগিয়ে রাজনীতি, উভয়ই আমার বিবেচনায় ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে।
এই যে আওয়ামী লীগ দিবারাত্র চিত্কার করে পশ্চিমা প্রভুদের জানান দিচ্ছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে গেলেই বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদী ও জঙ্গিদের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, সেটা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে আলাদা কী করে হয়, আমার জানা নেই। পাঠক অবশ্যই আমার এই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। আজ বাংলাদেশে বোরখা নিয়ে অনাবশ্যক বিতর্ক তোলা হচ্ছে। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে হেজাব পরে দেশবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। হেজাব পরিহিত অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মোনাজাতরত পোস্টারে সারা দেশ তখন ছেয়ে গিয়েছিল। ডেইলি স্টার এবং বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ বিচার বিভাগের বিবেচনায় তাতে অবশ্য ধর্মনিরপেক্ষতার মহান আদর্শের কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধান দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) রওয়াজা জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা আরম্ভ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন। ধর্মনিরপেক্ষতার মতবাদ যে দেশ থেকে জন্মলাভ করেছে, সেই যুক্তরাজ্যের রাণীর দীর্ঘ সরকারি টাইটেল শেষ হয়েছে 'Defender of Protestant faith' বাক্য দিয়ে। খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান দুটো ধারা হচ্ছে ক্যাথলিক এবং প্রটেস্ট্যান্ট। টাইটেল অনুযায়ী ইংল্যান্ডের রাণী কেবল প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। এতে সে দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা গেল গেল রব উঠছে না। অথচ বাংলাদেশে রাণী ভবানী কলেজের ছাত্রীরা বোরখা পরলে দেশ রসাতলে চলে যাচ্ছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং মূলনীতিতে ‘আল্লাহ্র প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সন্নিবিষ্ট থাকা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক! ভণ্ডামিরও একটা সীমা থাকা দরকার।
জেলের এই নিরানন্দ জীবনে পাঁচ তারিখের ডেইলি স্টার আমাকে সবিশেষ আনন্দ দিয়েছে। আমার মতো ‘চান্স এডিটর’ এবং পত্রিকাটির সম্পাদকের মতো বিজ্ঞজনদের পত্রিকা সম্পাদনায় এটাই পার্থক্য। প্রথম পাতায় তিনটি মাত্র সংবাদ প্রকাশ করেই বিজ্ঞ সম্পাদক একদিকে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান ধারা চমত্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, অন্যদিকে বুশ ডকট্রিন-পরবর্তী বিশ্বের বাস্তবতায় এদেশে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে কোন কৌশল গ্রহণ করা আবশ্যক তারও ইঙ্গিত করেছেন। লোকমুখে শুনেছি, বারিধারা-গুলশানের দূতাবাস পাড়ার নৈশভোজে বাংলাদেশী বিশিষ্টজনদের মধ্যে যারা অবধারিতভাবে উপস্থিত থাকেন, তাদের মধ্যে এই মিডিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধাররা অন্যতম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব সঠিক ব্যক্তির হাতেই অর্পণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন, ইসলাম-বিরোধিতা এবং অন্যান্য আদর্শিক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের সুশীলরা (?) একই মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। তার অনুপস্থিতিতে সংসদে নিজেদের মধ্যে যে কলহের সৃষ্টি হয়েছিল, তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তার নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিবদমান পক্ষের মধ্যে শান্তিস্থাপনের প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে এদেশের সুশীলরাও যে কতখানি উদগ্রীব, ডেইলি স্টার সেটাই ৫ তারিখে দেখিয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থরক্ষায় দু’পক্ষের মধ্যে এই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে পূর্ববত্ উষ্ণ অভ্যর্থনার আশা এখন থেকেই করতে পারেন।

No comments

Powered by Blogger.