পূজা পর্যায়ের গান করেছি

লিসা (লাইসা আহমেদ), আপনি ছুটছেন মনে হচ্ছে। খুব ব্যস্ত নাকি? আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ও বুয়েট স্কুলের ছাত্রী। সিট পড়েছে আজিমপুর গার্লস হাইস্কুলে।
মেয়েকে হলে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে এসেছি। আপনার নতুন একটি অ্যালবাম বেরিয়েছে। হ্যাঁ, রইব তোমার দ্বারে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রকাশ করেছে। এটি আপনার কয় নম্বর অ্যালবাম?
১১ নম্বর। আর বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে তৃতীয় অ্যালবাম।
‘রইব তোমার দ্বারে’ অ্যালবামটি নিয়ে কিছু বলুন।
অ্যালবামে একটি গান গেয়েছি: ‘নাই বা ডাকো’। এই গানেরই একটি লাইন ‘রইব তোমার দ্বারে’। সব কটিই রবীন্দ্রসংগীতের পূজা পর্যায়ের গান। আমি বলি, ভক্তিরস আর প্রার্থনার। আমার অন্য অ্যালবামগুলোতে নানা ধরনের গান গেয়েছি। এবার শুধুই পূজা পর্যায়ের গান করেছি। যে গানগুলো আমার কণ্ঠে বসে গেছে, তেমনি কিছু গান গেয়েছি। আবার কম গাওয়া হয়, সেগুলোও রেখেছি।
গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ কোথায় করেছিলেন?
পুরো অ্যালবামের সংগীতায়োজন করেছেন দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায়, কলকাতায়। তিনি সব কটি গানের ট্র্যাক তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি কণ্ঠ দিয়েছি ঢাকায়, ছায়ানটের স্টুডিওতে।
আপনার শাশুড়ি সন্জীদা খাতুন গানগুলো শুনেছেন?
শুনেছেন। তিনি গানগুলোর সংগীতায়োজনের খুব প্রশংসা করেছেন। আর আমার গানেরও প্রশংসা করেছেন।
এরপর কী ভাবছেন?
এবার তিন কবি—অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান করব। আবার শুধু অতুলপ্রসাদ সেনের গানও করতে পারি। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকেই প্রস্তাব দিয়েছে। মেয়ের পরীক্ষার পর একটু ঝামেলামুক্ত হয়ে মার্চ মাসে কাজটি করার ইচ্ছা আছে।

No comments

Powered by Blogger.