জনমত-জনগণ কিছুই ভোলে না by মো. আনোয়ার হোসেন

মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে দৈনিক সমকাল দেশব্যাপী একটি জরিপ পরিচালনা করেছে, যাতে সরকারের কাজের বিষয়ে জনগণের মতামত প্রকাশ পেয়েছে। একই সঙ্গে জনগণ আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের ধারণা ব্যক্ত করেছে এবং বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডেরও মূল্যায়ন করেছে।
এ জরিপের তিনটি প্রশ্ন ছিল, যেখানে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সহযোগী হিসেবে যুক্ত থাকা জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণের অভিমত জানতে চাওয়া হয়। আমি আমার বক্তব্য এ বিষয়েই সীমিত রাখব। জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল রয়েছে। তাদের জোটের নাম ১৮ দলীয় ঐক্যজোট। তবে সাদা চোখেই দেখা যায়, এই জোটে কেবল এই দুটি দলই সক্রিয়। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রিসভাতেও স্থান হয়েছিল কেবল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর। মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন কর্মসূচি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। জামায়াতে ইসলামী জোটের বাইরেও পৃথক কর্মসূচি প্রদান করছে। জোটের শরিক হিসেবে হোক কিংবা পৃথক কর্মসূচি নিয়ে পথে নামুক; এ দলটি যে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সচেষ্ট_ সেটা বুঝতে কারও বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয় না। সচেতন সবার কাছে তো বটেই, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও স্পষ্ট যে, তাদের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি এবং পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের ওপর আক্রমণের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। সমকাল প্রশ্ন করেছিল, 'জামায়াতে ইসলামীর সহিংস রাজনীতির উদ্দেশ্য কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভণ্ডুল করা'_ এমন প্রশ্নে কেবল রাজনীতিসচেতনরা নন, সবাই বুঝতে পারছেন যে, জামায়াত এ লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে। তারা একাত্তরে অপরাধ করেছে এবং এখনও করে চলেছে_ জনগণের এই পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নীতিনির্ধারকদেরও এ জনমত বিবেচনায় নিতে হবে। ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলন জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আশা করব, এ পথ ছেড়ে প্রধান বিরোধী দলটি গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করবে।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কি কোনো দলের নির্বাচন ও আন্দোলনের ঐক্য হওয়া উচিত_ সমকালের এ প্রশ্নে সুস্পষ্ট মত এসেছে_ 'না'। আমরা বিজয়ের ৪১ বছর পেরিয়ে এসেছি। এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার মতো গুরুতর অপরাধের বিচার হয়নি রাষ্ট্রক্ষমতায় একাত্তরের চেতনাবিরোধী শক্তির অবস্থানের কারণে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে এ শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এর ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় নেতাদেরও বেছে বেছে হত্যা করে। এ নৃশংস বর্বরতা সংঘটিত করার জন্য তারা এমনকি কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো স্থানকেও বেছে নিতে দ্বিধা করেনি। পরবর্তী সময়ে এ অপশক্তি অনেক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে। স্কুলের পাঠ্যবই থেকে আমাদের গৌরবগাথা বাদ দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়াই অনেকের কাছে গভীর বেদনা ও হতাশার বিষয়ে পরিণত হয়।
কিন্তু ইতিহাস আমাদের ফের সঠিক পথে পরিচালিত করে। আমরা দেখছি, জনগণ জেগে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের কথা স্মরণ করতে চাই। আমাদের যখন দুঃসময় গেছে, তখন তিনি পাখির মুখ দিয়ে বলিয়েছেন_ 'তুই রাজাকার'। এটা ছিল চরম নিন্দা ও ঘৃণার প্রকাশ। বছরের পর বছর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে জনমত সৃষ্টির জন্য নানাভাবে চেষ্টা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা এবং জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সরকার রাজাকার-আলবদরদের শাস্তি প্রদান দূরের কথা, তাদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ এ কঠিন পরিস্থিতিতেই তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধে অবিনাশী চেতনা।
শহীদজননী জাহানারা ইমামের অবিস্মরণীয় আন্দোলনের কথাও আমরা ভুলব না। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের বিচার দাবিতে প্রবল জনমত গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতের প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিল। এ আন্দোলনের ফলে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের পতাকা হাতে নিয়ে দৃপ্ত পদে চলতে অনুপ্রাণিত হয়। একুশের বইমেলায় দেখেছি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাস-কবিতার বইয়ের বিপুল চাহিদা। শিশুরাও জানতে চায়, যে গৌরবের উত্তরাধিকার তারা বহন করছে, তার স্রষ্টাদের সাহস ও বীরত্বের কথা। একদিকে বিএনপি ক্রমে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আরও গাঁটছড়া বাঁধছে এবং গোলাম আযমের মতো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে; অন্যদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের অপরাধের শাস্তি দাবিতে প্রবল হয়েছে জনমত। বিএনপি শত চেষ্টা করেও এ আন্দোলন থামিয়ে রাখতে পারেনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশবাসীর এ মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যাদেরকে ফার্স্ট টাইম ভোটার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল. তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিপুলভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যারা সরকার গঠন করেছে, তারা নির্বাচনের ম্যান্ডেট স্মরণে রেখে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের বিচারের জন্য গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। যে অপশক্তি স্বাধীনতার পরবর্তী কয়েকটি দশক নানাভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপ ঠেকাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছে। বিএনপির মতো বড় দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে নিজেদের বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে। দুর্ভাগ্য, যে বিএনপি নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে দাবি করে, কিন্তু তারা এমন সব কথা বলে, যা প্রত্যক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যায়। তারা অপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধেই শুধু বলছে না; প্রকারান্তরে মুক্তিও দাবি করছে। সমকাল জরিপে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো দলেরই নিবাচনী বা আন্দোলনগত লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়_ এমন দ্ব্যর্থহীন মত আমরা জেনেছি। আশা করব, বিএনপি জনমতকে গুরুত্ব দেবে এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়বে। এ জন্য ঘোষণা আসতে হবে প্রকাশ্যে। তারা কখনও কখনও বলে যে, আওয়ামী লীগেও যুদ্ধাপরাধী রয়েছে এবং তাদেরও বিচার হতে হবে। এ দাবিতে অযৌক্তিকতা নেই এবং একাত্তরে অপরাধ করেছে এমন সবাইকে বিচারের আওতায় আনা যেতেই পারে। বিএনপিকে এ অঙ্গীকারও করতে হবে যে, তারা ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ পরিত্যাগ করা হবে না বরং ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অপরাধের জন্য এখনও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। বিএনপি যদি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে আনতে পারে, তাহলে দল হিসেবে লাভবান হবে বলেই আমার ধারণা।
আশির দশকে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রশ্নে অনমনীয় ছিলেন। দেশবাসী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে তাকে সেই ভূমিকাতেই দেখতে চায়। সমকালসহ আরও দুটি পত্রিকার জনমত জরিপে দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে। আমার মতো আরও অনেকেই ধারণা করতে পারেন যে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যের নীতিই এজন্য বহুলাংশে দায়ী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের ভেতর থেকেই বলা হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে জোট গঠনের কারণেই এমন পরিণতি। জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে কালো শক্তি। তাদের অবস্থান প্রগতির বিরুদ্ধে। তাদের রক্ষার চেষ্টা অনুচিত। এ দলটি ক্ষমতায় এলে বিএনপিকেও ছেড়ে কথা বলবে না_ সেটা বুঝতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
সমকাল জরিপে আরেকটি প্রশ্ন ছিল_ 'একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের কঠোর দণ্ড হওয়া উচিত কিনা'_ এ ক্ষেত্রেও দ্ব্যর্থহীন মত 'হ্যাঁ'। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা জর্জ ওয়াশিংটনের একটি মন্তব্য বিশেষভাবে মনে পড়ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাতে অনেক ইংরেজ যুদ্ধবন্দি ছিল। এদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা অপরাধ করেছে। আমরা তাদের ক্ষমাও করতে পারি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের যেসব লোক হত্যা-ধর্ষণ-লুটের সঙ্গে জড়িত; তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের হত্যার জন্য এমনকি বুলেটও খরচ করা উচিত নয়। গরম আলকাতরা মাথায় ঢেলে দিলেই তাদের যথার্থ শাস্তি হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে কী চমৎকার মিল!
সম্প্রতি আমি কুড়িগ্রামের উলিপুরে গিয়েছিলাম মহারানী স্বর্ণময়ী বিদ্যালয়ের ১৪৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য। সেখানকার অনুষ্ঠানেও দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে দলমত নির্বিশেষে একই অভিমত, যা প্রকাশিত হয়েছে সমকালের জরিপে। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় চিলমারী অভিযানের স্মৃতি এখনও অনেকের মনে জাগরূক। সেই যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল কাসেম চাঁদ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙ্কার যেখানে ছিল, তার পাশে মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল। তাদের অনেকের গায়ে ভালো শীতবস্ত্র নেই। চার দশকের আগের কথা উঠতেই তারা স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরলেন। একজন বলে উঠলেন, 'ওই তো মেজর তাহেরের এলএমজি রাখার স্থান।' দ্রুত সমর্থন মিলল আরও কয়েকজনের কাছ থেকে। কে কে রাজাকার ছিল_ তাদের কথাও ওঠে। কোনো স্মৃতিই হারায় না! জনগণ কিছুই ভোলে না!
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। প্রত্যাশা করি, দ্রুত রায় হবে এবং দণ্ড হবে কঠোর। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে গোলাম আযম ধরা পড়লে কী দণ্ড হতো_ সেটা আমাদের জানা আছে। গোলাম আযমের এলাকায় অনেক বধ্যভূমি রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য জিকরুল আহমদ বলেছেন, একাত্তরে আটক অনেক রাজাকারকে গণআদালতে চরম দণ্ড দেওয়া হয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, যারা এখনও বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালাচ্ছে; তাদের বিচার হতেই হবে। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে। অপরাধীরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। জ্বলন্ত সত্য অস্বীকার করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে। তাদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে এবং সেখানে অভিযুক্তরা পূর্ণ সুবিধা ভোগ করছে। একাত্তরে তারা এ সুযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়নি। মুক্তিকামী মানুষকে দেয়নি। জর্জ ওয়াশিংটনের অভিমত অনুসরণ করলে 'গরম আলকাতরা মাথায় ঢেলে'ই তাদের দণ্ড দেওয়া যেত। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। আমি আশা করব, সমকাল জনমত জরিপে যে জাতীয় প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে; তা বিচার কাজে সংশ্লিষ্ট সবার বিবেচনায় থাকবে এবং সে অনুযায়ীই রায় হবে।
বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরে বিজয়ী হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগও সফল হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.