আশার অগ্রযাত্রা by ইমরান হোসেন

এবারের ভিটা-চ্যানেল আই টপ মডেল হান্টে প্রথম রানারআপ হয়েছেন আশা। শুরুতে ভাবতেই পারেননি একেবারে প্রথম রানার হয়েছেন আশা। অবশ্য মডেলিংটা একেবারে নতুন নয় আশার কাছে। জীবনের প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান এক্সটেসির মডেল হিসেবে।
এরপর চৈতী, এপেক্সসহ নামীদামী সব ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এ বছরই পাস করলেন উচ্চ মাধ্যমিক। পরিবারের কাছ থেকে প্রচুর সাপোর্ট পান আশা। শুরুতে অনেক প্রতিযোগী থাকলেও আস্তে আস্তে নিজের সর্ব্বোচ নৈপুণ্য তুলে ধরেন আশা। ভিটে প্রায় তিন মাসের একটা ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন টপ ২০। এখানে নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করেন নাচ, র‌্যাম্পসহ অভিনয়ের নানা দিক। ভাল একটা বিষয় নিয়ে গ্রাজুয়েশনটা শেষ করতে চান আগে। নিজেই একটা কিছু বিষয় নিয়ে উদ্যোক্তা হতে চান। মডেলিংটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। তবে অভিনয়টা মন দিযে করতে চান আশা। ভাল স্ক্রিপ্ট পেলে সিনেমাতেও আপত্তি নেই আশার। যখন প্রথম রানার আপের ঘোষণা এলো তখন অনেক খুশি হয়েছিল আশা কারণ পরিবারের প্রত্যাশাটা অন্তত রক্ষা করা গিয়েছে। সদ্য শেষ করলেন মাসুদুল হাসানের টেলিফিল্ম ‘দ্বিতীয় মাত্রা’। এই টেলিফিল্মে তার বিপরীতে ছিলেন তাহসান। কো-আর্টিস্ট তাহসানের কাছ থেকে পেয়েছেন অনেক সাপোর্ট। পুরো ইউনিটই হেল্প করেছেন তাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই টেলিফিল্মে তার সাথে অভিনয় করেছেন তার ছোট বোন বিপাশা। বিপাশাও মডেল হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। ছোটবেলায় বোন বিপাশার সাথে সব কিচু নিয়েই দারুণ খুনসুটি হতো আশার। সেসব কথা ভাবলে এখন হাসি পায় তার। বাংলাদেশে প্রিয়াঙ্কা আর মৌর মডেলিংয়ের দারুণ ভক্ত আশা।
কয়েক দিন আগে শেষ করলেন প্রাণ চানাচুরের টিভিসি। এছাড়া বিভিন্ন ব্রান্ডের ফটোশুট তো আছেই। সব মিলিয়ে আশার প্রদীপ আশা জ্বালতেই পারেন। পারেন সবে তো শুরু পথচলা।

No comments

Powered by Blogger.