তএ তিশা

ত-এ তাল, ত-এ তমাল, ত-এ তুলতুলে, ত-এ তুলনা, ত-এ তিলোত্তমা, ত-এ তিশা। তার টানা টানা দু' চোখের দিকে তাকালে হারিয়ে যায় মন। তাকে দেখলে মনে হয় হাজার বছরের চেনা। তিনি আর কেউ নন তিশা।
সেই তিশাকে চিনিয়ে দিতে হবে এমন কথা কেউ বোধহয় বলবেন না। সাধাসিধে বাঙালি মেয়ের গুনাবলী রয়েছে তার মধ্যে। শ্যামল বরণ মেয়ে তিশার মায়াবী চোখে রয়েছে মুগ্ধতারই জাদু। তার চোখের মুগ্ধতায় রয়েছে রহস্যঘেরা বিষ্ময়। নাটক, মডেলিং, গানসহ সব মাধ্যমেই রয়েছে তার সমান পদচারণা।
শ-এ শুরম্নর গল্প
মূলত মাত্র চার বছর বয়সে সঙ্গিতে হাতে খড়ি তিশার। তার মায়ের পারিবারিক পরিবেশ ছিলো সংস্কৃতিমনা।ওসত্মাদ কানন মোহন গোস্বামীর কাছে তিনি প্রথম গান শেখেন। এরপর রবিউল হুসেন এবং সবশেষে ওসত্মাদ আখতার সাদমানীর কাছে। তিশার বয়স যখন মাত্র ছয় তখন তিনি নতুন কুড়ি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। আর নতুন কুড়ির পাঁচ বিষয়ের সবকটি বিভাগে তিনি প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এবং সেখানে নতুন কুড়ির মাধ্যমেই তিশাকে সবাই চেনেন। আর এরপর মডেলিং, গান, নাটকে একেরপর এক কাজ করেন।
ম-এ মডেলিং এর কথা
মিষ্টি মেয়ে তিশার মডেলিংটা ছিলো ভালোবাসার খোরাক। ২০০২ সালে আহমেদ ইউসুফ সাবেরের পরিচালনায় বোম্বে সুইটস-এর ফরসেল বুট এর বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরম্ন হয় মডেলিংয়ে। আর মডেলিংয়ের মাধ্যমেই তিনি হয়ে উঠেন অনন্য। এরপর স্কয়ার টয়লেট্রিজ এর মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি, মেরিল লিপ জেল, প্যারাসুট নারকেল তেলসহ প্রভৃতি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করেন। তবে তিনি কোকের বিজ্ঞাপন-একলাই খাইবা আমারে দিবা না... দিল ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা এর মাধ্যমে বেশি জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া সিটিসেলের নিশিতে কল কইরো আমার ফোনে... বিজ্ঞাপনটি তাকে মানুষের মনে স্থান করে নিতে সাহায্য করেছে। আর এই বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ইউরো বিনোদন বিচিত্রা অ্যাওয়ার্ড ও পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ মডেল এর পুরষ্কার। তিশা জুটিবদ্ধ হয়ে নোবেলের সঙ্গে কাজ করেছেন কেয়া কসমেটিকস এর বিজ্ঞপনেও। তাদের এ জুটির বিজ্ঞাপনটিও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল সে সময়।
ন-এ নাটকের কথা
নাটক নিয়ে তার ততবেশি ভাবনা ছিল না। কাজ করতে করতে একসময় নাটকের মধ্যেই ডুবে যান। মডেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি নাটকেও জনপ্রিয়তা পান অল্প দিনেই। তবে খুব ছোট্টবেলায় অনন্ত হীরার সাত পৌরে কাব্য নাটকের মাধ্যমে তিশার যাত্রা শুরম্ন। এরপর তিনি অভিনয় করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের নাটক ফিরে দেখা, হুমায়ুন আহমেদের প্যাকেজ সংবাদ, আবুল হায়াতের গৃহগল্প ও স্বপ্নযাত্রা, প্রণব ভট্টের রচনা ও অরণ্য আনোয়ারের পরিচালনায় কেবলই রাত হয়ে যায় নাটকগুলোতে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে ব্যাপক প্রসংশা কুড়ান। এবং এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে।
গ-এ গেয়ে যাই গান
গান দিয়েই যখন ছিল হাতে খড়ি তাই গানের শখটাও তিনি মেটাতে চেয়েছেন সমান তালে। তবে গান নিয়ে তার আর বেশি দূর যাওয়া হয়নি। ১৯৯৫ সালে মিনা কাটর্ুন-এর একটি অডিওতে কন্ঠ দিয়েছিলেন তিশা। এরপর জিঙ্গেলও গেয়েছিলেন। এঞ্জেল ফোর নামে একটি ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি কিছুদিন গানও করেছেন। এবং একটি অ্যালবামও বেড়িয়েছিল অ্যাঞ্জেল ফোরের ব্যানারে।
চ-এ চলচ্চিত্রের কথা
মডেলিং এ তিনি যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তেমনি নাটকের েেত্রও। তবে এখন বলতে হয় তিশা মডেলিং আর নাটক এ দু মাধ্যমের চেয়ে মোসত্মফা সারোয়ার ফারম্নকীর থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম ছবিতেও তিনি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। পেয়েছেন বিশাল জনপ্রিয়তা। তাই এখন তাকে আর কে পায়। জনপ্রিয়তার জোয়ারে এখন ভাসছেন তিশা। তবে তার এই জনপ্রিয়তা এখন তাকে কোথায় নিয়ে যায় এটাই দেখার বিষয়। কেননা মিডিয়ার নানা গুঞ্জনের খোরাকও যোগাচ্ছেন যে তিশা। হ

No comments

Powered by Blogger.