চেলসি ৮: ০ অ্যাস্টন ভিলা চেলসির দিনে ল্যাম্পার্ডের রেকর্ড

দারুণ এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে ৫০০তম ম্যাচ খেলা সোজা কথা! উপলক্ষ ছিল আরও।
একটি গোল করলেই ক্লাব কিংবদন্তি ববি ট্যাম্বলিংয়ের ১২৯ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতেন। তবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের মাঠে নামা নিয়েই ছিল সংশয়। দলে যে গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা! তবে রাফায়েল বেনিতেজ বহু যুদ্ধের অভিজ্ঞ সেনানীর ওপর অনাস্থা দেখাননি। প্রতিদান দিতে ভুল করেননি ল্যাম্পার্ড। নিজের ৫০০তম ম্যাচে গোল করে হয়ে গেলেন চেলসির পক্ষে ইংলিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
অথচ লন্ডনের ক্লাবটিতে এই মৌসুমের পর হয়তো আর থাকবেন না ল্যাম্পার্ড। বয়স হয়ে গেছে ৩৪, শুনতে পাচ্ছেন বেলা শেষের গান। এই মৌসুমেই নীল দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। চেলসি তাঁকে আর ধরে রাখতে আগ্রহী নয়, সুতরাং এরপর নতুন কোনো ঠিকানাই খুঁজে নিতে হবে। সামনের মৌসুমে মেজর লিগ সকারের দল লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে বেকহামের জায়গা নিতে পারেন, এমন একটা গুঞ্জন বাতাসে ভাসছে। তবে এসব আপাতত চাপা পড়ে গেছে রেকর্ড ভাঙা গোলে। তা ছাড়া এ ম্যাচে চেলসিও ছুঁয়েছে নিজেদের ইতিহাসের বৃহত্তম জয়ের রেকর্ড (৮-০)। ইংলিশ মিডফিল্ডার তাই চেলসি ছাড়া নিয়ে কথা বলতে চান না, ‘আমি এ মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে কিছু ভাবছি না। আমি শুধু খেলাটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার, আপাতত সেটাই দেখাতে চাই।’ তবে নিজের রেকর্ড নিয়ে অবশ্য রসিকতাই করেছেন, ‘তার মানে আমি বুড়িয়ে গেছি!’ পরক্ষণেই অবশ্য সিরিয়াস, ‘এটা (রেকর্ড) বিরাট ব্যাপার। এমন একটা ক্লাবের হয়ে খেলতে পেরে আমি গর্বিত।’
জাপানে গিয়ে ক্লাব বিশ্ব কাপ জিততে পারেননি, বেনিতেজ ফিরেছেন খালি হাতে। তবে ওই দূরদেশ ভ্রমণের ক্লান্তি ও হতাশার কোনো ছাপই দেখা গেল না অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে পরশুর ম্যাচে। গোল-উৎসব করল চেলসি। বেনিতেজের পরিতৃপ্তই হওয়া উচিত। কিন্তু চেলসির নতুন কোচ যেন তৃপ্ত নন, আরও উন্নতির জায়গা দেখছেন দলের, ‘আজ (রোববার) আমরা নিজেদের গেমপ্ল্যান ও আইডিয়া দেখাতে পেরেছি। জেতাটাই আসল ব্যাপার। যখন দল উন্নতি করবে তখনই আপনি এটা পারবেন। আমি নিশ্চিত আরও উন্নতি হবে।’ আট গোল করেছেন সাতজন মিলে, এটাকেই বড় করে দেখছেন বেনিতেজ, ‘দল এখন আক্রমণ করছে, এক-দুজনের ওপর নির্ভর করছে না। এটা খুব ভালো খবর। আশা করি, বুধবার (নরউইচের বিপক্ষে) আমরা আবার এটা করতে পারব।’
রোববার ইউনাইটেডের হোঁচট খাওয়ার দিনটাও ছিল ঘটনাবহুল। সোয়ানসির অ্যাশলি উইলিয়ামসের নেওয়া শট সরাসরি মাথায় লাগে মাটিতে পড়ে যাওয়া রবিন ফন পার্সির। ফার্গুসনের দাবি, এই আঘাতে এমনকি পার্সি মারাও যেতে পারতেন, ‘পার্সি মারা যেতে পারত। এফএর ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা উচিত। তাকে (উইলিয়ামসকে) লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ অনেক বছরের মধ্যে ফুটবল মাঠে দেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক দৃশ্য ছিল এটা।’ অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে উইলিয়ামস অবশ্য বলেছেন, কাজটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেননি, বরং হতাশা থেকেই হয়ে গেছে। এএফপি, রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.