শহর হোক নারীর জন্য নিরাপদ



নারীর কাজের ক্ষেত্র দিনে দিনে বিস্তৃত হচ্ছে। তবে তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার এই পথে আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এ কারণে পথটাকে মসৃণ করতে প্রয়োজন নারীবান্ধব পরিবেশ। নিরাপদ শহর।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ‘নারীর জন্য নিরাপদ শহর’ শীর্ষক একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে। ৮ ডিসেম্বর ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে ‘সেইফ সিটি অ্যান্ড আরবান স্পেস ফর উইমেন অ্যান্ড গার্ল: এন এক্সপ্লোরেটরি স্টাডি টু ডিপেন দ্য আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব দ্য কনসেপ্ট অ্যান্ড ইনডিকেটর অব সেইফ সিটি’ শিরোনামে গবেষণার সারাংশ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নগরায়ণে তেমন কোনো পরিকল্পনা থাকে না। তাই নারী-পুরুষ কারও নাগরিক অধিকারই এখানে সুরক্ষিত নয়। এ ক্ষেত্রে নারীদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়।’
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘গৃহস্থালি কাজ আর চারদেয়ালের গণ্ডি পেরিয়ে আজকের নারীদের কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃতি সর্বত্র। পরিবারে, সমাজে এমনকি জাতীয় পর্যায়ে নারীর অবদান অপরিসীম। কিন্তু বাস্তবতা হলো, নারী কোনো জায়গায়ই নিরাপদ নন। যে শহর নারীর জন্য নিরাপদ, সে শহরে প্রতিটি মানুষই নিরাপদ।’ তিনি সরকার, নীতিনির্ধারক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠনের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণ ও প্রণয়নের ওপরও জোর দেন।
ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের সহকারী কমিশনার শম্পা রানী সাহা, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, নারীপক্ষের সভাপতি ইউ এম হাবিবুননেসা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইশরাত ইসলাম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.