ফেরাটা পিছিয়ে গেল নাদালের

হাঁটুর চোটের জন্য খেলতে পারেননি অলিম্পিকে। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কি ভেবেছিলেন, এই চোট ভোগাবে ছয়-ছয়টি মাস! অলিম্পিকের পর খেলতে পারেননি ডেভিস কাপ ও ইউএস ওপেনেও। সর্বশেষ টেনিস কোর্টে নামার স্মৃতিটাও তিক্তই।
উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন অখ্যাত লুকাস রসলের কাছে।
আগামী পরশুই আবুধাবির মুবাদালা টুর্নামেন্টে ফেরার কথা ছিল রাফায়েল নাদালের। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা আবার পিছিয়ে গেল। গতকাল ফেসবুক পেজে ও টুইটারে জানিয়েছেন, পাকস্থলীতে সংক্রমণের কারণে নামতে পারছেন না টুর্নামেন্টে। নাদালের ভাষায়, ‘সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। আমিও প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য উদ্গ্রীব ছিলাম। কিন্তু পাকস্থলীতে সংক্রমণের পর আমার জ্বর এসেছে। ডাক্তাররা কোর্টে নামতে তাই বারণ করেছেন।’
বছরের শেষ দিন থেকে আবার দোহাতে এটিপি টুর্নামেন্ট। সেখানে খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েই এখন সংশয়। দোহার আসরে থাকছেন জোকোভিচ-মারেও। শীর্ষ চারের মধ্যে থাকছেন না শুধু ফেদেরার।
ফেদেরার-রাজের অবসান ঘটিয়েছিলেন তিনিই। এত দিন বাইরে থাকার পরও র‌্যাঙ্কিংয়ে এখনো ৪ নম্বর। বড় প্রশ্ন এখন একটাই, নাদাল কি পারবেন আগের রূপে ফিরতে? হাঁটুর চোটের সঙ্গে সখ্যও অনেক দিনের। ভবিষ্যতে যে আবার চোট বাগড়া দেবে না, সেটাই বা কে বলতে পারে? আপাতত জ্বর কাটিয়ে দোহায় খেলাটাই নিশ্চয় ১১টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ীর ভাবনাজুড়ে আছে।
তবে তার আগে সন্দেহবাদীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি খেলা ভুলে যাইনি। আমি ৬০০ এটিপি ম্যাচ খেলেছি। এর আগেও খেলা ছাড়া দুই বছর কাটিয়েছি। আমি ভালোই বোধ করছি। এ বছরই রোলাঁ গাঁরোতে জিতেছি। সেই আবেগ এখনো আমার মধ্যে সজীব।’ তবে এসব বলেও বাস্তবতা ঠিকই মাথায় রাখছেন, ‘আমি এখন শুধু চেষ্টাই করে যেতে পারি। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে, অনেক মাস পর প্রতিযোগিতায় নামলে উন্নতির সময় দিতে হবে।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.