যোগাযোগমন্ত্রীর ঝটিকা সফর, তবুও দুশ্চিন্তা কাটছে না by রাজন ভট্টাচার্য

এবারের ঈদেও মহাসড়কে যানজট নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক-মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখার পাশাপাশি যানজটমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যানজটের প্রধান দুই কারণ সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি নষ্ট হওয়া। এজন্য সকল মহাসড়কে পর্যাপ্ত রেকার রাখার পরামর্শ পরিবহন মালিকদের।


যানজট নিরসনে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ নজরদারি রাখার কথাও বলেছেন তাঁরা। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়ন হলে এবারের ঈদে কোথাও যানজট হবে না বলে মনে করেন অনেকে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কে রাখা হচ্ছে ৩৮টি স্পিডগান।
এদিকে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী সড়কের বেহাল অবস্থা ও পরিবহন চাঁদাবাজির কারণে যে কোন সময় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং যোগাযোগমন্ত্রী ও পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে রাস্তার ওপর একাধিক গাড়ি নষ্ট হওয়ায় চার ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় পরিবহন মালিক শ্রমিকরা প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক প্রকৌশলীকে আটকে রাখে। পরে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে তাঁকে ছাড়া হয়। এদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটের ১৭-১৯ তারিখের বাসের টিকেট অবিক্রীত থাকার কথা জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি।
যানজট নিরসনে রাস্তায় পুলিশের তল্লাশি বন্ধ, হাটবাজারসহ অবৈধ টার্মিনাল উচ্ছেদ, পর্যাপ্ত রেকার রাখা, মহাসড়কে সিটি পরিবহন চলতে না দেয়া, পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন, ঈদের তিন দিন আগে থেকে কাঁচামাল ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমদানি বন্ধ রাখা, বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, মহাসড়কের যে কোন পয়েন্টে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রেকার দিয়ে সরিয়ে নিতে হবে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলার স্থানীয় প্রশাসন তৎপর থাকলে যানজট হওয়ার আশঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট নিরসনে মালিক শ্রমিক মাঠে থাকবে। সমিতির পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি ঈদের আগে থেকেই তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। যানজট নিরসনে চান্দিনা-গৌরীপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা-ঢাকা-টাঙ্গাইল রুট, কাঁচপুর-সায়েদাবাদ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান পরিবহন মালিক সমিতির এই শীর্ষ নেতা।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আগামী দুই দিনের মধ্যে রাজধানীর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। ঈদের আগে যানজট কমাতে এর আগেও কয়েকবার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারপরেও কাজ বন্ধ হয়নি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে একাধিকবার এই রাস্তাটি পরিদর্শনে গেলেন যোগাযোগমন্ত্রী।
গত বছরের ঈদ অভিজ্ঞতা থেকে এবারও যানজট নিয়ে মহাচিন্তিত বৃহত্তর সিলেট, বরিশাল, নোয়াখালী, দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলসহ দেশের ৪২টি সড়কের বাস মালিক, শ্রমিক, চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা। এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয় ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগছে ৮-১০ ঘণ্টা।
সায়েদাবাদ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম মোল্লা জনকণ্ঠকে জানান, সায়েদাবাদ রেললাইন থেকে রাস্তার বেহাল দশার জন্য দায়ী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। রাস্তাটি যোগাযোগমন্ত্রী একাধিকবার পরিদর্শন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শনিবার এই রুটে চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জনকণ্ঠকে বলেন, দুর্ঘটনা ও রাস্তায় বিকল হওয়ার কারণে মহাসড়কে যানজট দেখা দেয়। এই দুই কারণে যে কোন সময় যে কোন পয়েন্টে যানজট দেখা দিতে পারে। তবে আগে থেকে ছুটি শুরু হওয়ার কারণে এবারের ঈদে যানজটের খুব একটা আশঙ্কা করছি না। যানজট নিরসনে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রেকার রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রেকার রাখা হলে দ্রুত বিকল হওয়া গাড়ি ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। ফলে যানজট কমবে। টাঙ্গাইল-চন্দ্রা-নবীনগর, গাজীপুর-মাওনা-ভালুকা, কাঁচপুর-নরসিংদীসহ মানিকগঞ্জের কয়েকটি পয়েন্টে যানজট নিরসনে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

যানজটের ছয় স্পট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহসড়কে যানজটের ছয়টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম রোড, সোনারগাঁও, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুর ও সীতাকু-। এই ছয়টি স্পট যানজটমুক্ত রাখা সম্ভব হলে এবারের ঈদে যাত্রী দুর্ভোগের কোন সম্ভাবনা নেই। মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ বাস থামিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করে। মহাসড়কে পাঁচ মিনিট বাস থামিয়ে রাখলে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, সিলেট মহাসড়কে ডেমরা এলাকার সুলতানা কামাল ব্রিজের আশপাশে অবৈধ শত শত যানবাহন রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে টেম্পো, হিউম্যান হলার, অটোরিক্সা। এর ফলে দীর্ঘ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কাঁচপুর ও কাজলা ব্রিজের যানজট নিরসন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাছের আড়ত উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়েছে।
সায়েদাবাদ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সায়েদাবাদ থেকে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট হওয়ার কারণে ঈদের আগে দেশের পূর্বাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক যানজটের বিষফোড়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। স্বাভাবিকভাবে পরিবহন যাতায়াতের সুযোগ পেলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। নেত্রকোনা সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ময়মনসিংহে পৌঁছতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলাসহ প্রায় ৫০টি রুটে বাস চলাচল করে এই মহাসড়কে। এই সড়কে যানজটের স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে মহাখালী, বনানী, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাহপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপাইল, ভালুকা, চন্দ্রা থেকে জৈনা বাজার পর্যন্ত। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকা পর্যন্ত দু’পাশের রাস্তায় অবৈধ পার্কিং, বাজার উচ্ছেদসহ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান পরিবহন নেতারা। তাঁরা বলেন, প্রতিবছরই ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

মাওয়া-পাটুরিয়া
যানজটের অন্যতম স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে মাওয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট। শুধু ঈদ বলে নয়, যানজটের কারণে এই দুটি স্পট বছরের বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থাকে। এই দুটি স্পটে যানজটের মূল কারণ ফেরি সঙ্কট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, আর্র্থিক বরাদ্দের অভাবে নতুন ফেরি যোগ করা যাচ্ছে না। তবে এবারের ঈদ উপলক্ষে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন স্বয়ং নৌপরিবহনমন্ত্রী। পাটুরিয়াতে রয়েছে ১২ ফেরি ও মাওয়া ঘাটে রয়েছে নয়টি। ঈদে যাত্রী ও বাসের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে পারাপারে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে চাঁদাবাজির বিষয়টি তো রয়েছেই। এ কারণে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যানজটে প্রতিবছর এসব পয়েন্টে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।
চন্দ্রা নিয়ে আতঙ্ক
ঈদে যানজটের কারণে খ্যাত ‘চন্দ্রা’ এলাকাটি বিশেষ নজরদারিতে রাখার দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ যাত্রীরা। জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের ১১৭টি রুটের বাস কাউন্টার আছে কালিয়াকৈরের চন্দ্রায়। রয়েছে বাস টার্মিনাল। ট্রাকের দীর্ঘ লাইন তো আছেই। সেই সঙ্গে রাস্তার ওপর দোকানপাট। সব মিলিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এই রাস্তাটিতে ব্যস্ততার শেষ নেই। অন্যদিকে রয়েছে ১১৭ রুটের কয়েক হাজার বাড়তি গাড়ির চাপ। এছাড়াও নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড এলাকায়ও যানজট থেকে মুক্তি নেই। সব মিলিয়ে যানজটের আতঙ্কিত স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে চন্দ্রা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চন্দ্রার যানজট নিরসনে পৃথক টিম কাজ করবে। মহাসড়কে অকারণে কোন গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেয়া হবে না। তুলে দেয়া হবে সকল প্রকার অযান্ত্রিক পরিবহনসহ নসিমন, করিমন ও ভটভটি।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কে
স্পিডগান
ঈদে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান (গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) রাখা হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে এই গান তা শনাক্ত করবে। অর্থাৎ চলন্ত গাড়ির দিকে তাক করলেই এর গতি জানা যাবে। কোন গাড়ি মহাসড়কের জন্য নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে চললে তা ধরা পড়বে। পরে ওই গাড়ির নম্বর অনুযায়ী মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হবে মামলা ও জরিমানা। এরই মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের কাছে ৩৮টি স্পিডগান হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশসহ বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ্যালকোহল ডিটেক্টরের পর স্পিডগান অভিযানের ফলে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এছাড়া কোন গাড়ি দুর্ঘটনার পর এটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল কিনা তাও এই যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যাবে।

শিমরাইলে চাঁদাবাজির
অভিযোগ
ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার বাস থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন সায়েদাবাদ পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল পয়েন্টে বিভিন্ন ভূঁইফোঁড় সংগঠনের নামে বাসপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। মাসে চাঁদাবাজি হচ্ছে দেড় কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর এই চাঁদাবাজির মূল হোতা।
এই পয়েন্টে চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঘটেছে তুমুল কা-। বিভিন্ন টেলিভিশনসহ সংবাদ মাধ্যমে প্রমাণসহ চাঁদাবাজির বিষয়টি তুলে ধরা হয় কয়েকদিন আগেই। কিন্তু যোগাযোগমন্ত্রীসহ আরও দুই মন্ত্রীর সামনে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মোঃ আসাদসহ নারায়ণগঞ্জের এডিশনাল এসপি আশরাফ চাঁদাবাজি হচ্ছে না বলে চ্যালেঞ্জ করেন। এ ঘটনার পরপরই মন্ত্রীসহ উপস্থিত সকলের তোপের মুখে পড়েন ডিআইজি আসাদ। পরিবহন মালিকদের অভিযোগ শুক্রবার এ ঘটনার পরপরই চাঁদাবাজির ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন একশ্রেণীর পুলিশের সহযোগিতায় প্রতি কাউন্টার থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। সায়েদাবাদ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম মোল্লা জানান, পুলিশের সহযোগিতায় এই পযেন্টে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা আন্দোলনে যাব।

১৭-১৯ পর্যন্ত আছে
পর্যাপ্ত টিকেট
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ১৭ তারিখ বিকেল থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পর্যাপ্ত টিকেট অবিক্রীত রয়েছে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ১৭ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত যাত্রীয় সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকেট শেষ। এর পরেই টিকেটের চাহিদা কম। বিলাসবহুল বাস থেকে শুরু করে সাধারণ বাসগুলোতে পর্যাপ্ত টিকেট রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.