ওবামার ‘ফিড দ্য ফিউচার’ কর্মসূচীতে বাংলাদেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী ‘ফিড দ্য ফিউচারের’ সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। এ কর্মসূচীর সঙ্গে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিনিয়োগ পরিকল্পনা ‘কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ (সিআইপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


তবৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ইউএসএআইডির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ কথা জানানো হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। এ প্রসঙ্গে ইউএসএআইডি প্রতিনিধি দলের নেতা ওয়াশিংটনের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী প্রশাসক পল ওয়েইসেনফেল্ড বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
জানা যায়, সিআইপির ১২ খাতের মধ্যে ছয়টি খাত ‘ফিড দ্য ফিউচার’ কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৯শ’ কোটি ডলারের খাদ্য নিরাপত্তা বিনিয়োগ পরিকল্পনায় ইউএসএআইডি থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৯০ কোটি ডলার সহায়তা পেয়েছে।
প্রতিনিধি দলকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘকাল বাংলাদেশ একটি খাদ্য সঙ্কটের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সম্প্রতি দেশে খাদ্য উৎপাদন আশাব্যঞ্জকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গুদামে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে এবং দামও অত্যন্ত কম। ফলে অনেকাংশ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেছে। পুষ্টিমানের দিক থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও এ মজুদ খাদ্যশস্যের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।
তিনি জানান, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা এবং উত্তরাঞ্চলের জন্য খরাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহায়তা দেয়ার জন্য ইউএসএআইডি প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে মন্ত্রী বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা দেয়ার জন্য ইউএসএআইডিকে ধন্যবাদ জানান।
খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকার করা নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেনÑ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজেনা, ইউএসএআইডি এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডেনিস রোলিন্স, সংস্থার ওয়াশিংটন ব্যুরোর অব ফুড সিকিউরিটির অমিত মিস্ত্রি, বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিচার্ড গ্রীন, বাংলাদেশের রামোনা আল হামজাবি, খাদ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা বিভাগের পরিচালক মুস্তাফা আল হামজাবি, ডেপুটি ডিরেক্টর শাহনাজ জাকারিয়া এবং বাংলাদেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার সিনিয়র এগ্রিকালচার এটাচে ডেভিড লিসমান।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, খাদ্য সচিব মুশফেকা ইকফাৎ, খাদ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান ও খাদ্য বিভাগের যুগ্ম-সচিব খন্দকার আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.