১৭ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

হলমার্ক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের আরো ১৭ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে ওই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন।


ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাশেম হুমায়ুন গতকাল রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত ১৭ কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজাজ আহমেদ, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান, নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ও একরামুল হক মণ্ডল, শাখা পরিদর্শক কামরুল হাসান খান, রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কিশোর ধর, তুষার কান্তি দাস, জেসমিন নাহার ও মিহির চন্দ্র মজুমদার, কনিষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াকিলউদ্দিন আহমেদ, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, ঢাকা জিএম অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোলাম নবী মলি্লক ও আশরাফ আলী পাটোয়ারী, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদ উদ্দিন আহমেদ এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক নেসার আহমেদ চৌধুরী।
সোনালী ব্যাংকের ফাংশনাল অডিটে যে ৩২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেছে এই ১৭ জন তাঁদের অন্যতম। ফাংশনাল অডিটে উল্লেখ করা বাকি ২৯ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে গত রবিবার সোনালী ব্যাংককে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকালের মধ্যে এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির রূপসী বাংলা হোটেল শাখার উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ২০১০-২০১২ সময়ে মোট তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা জালিয়াতি হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই অর্থ জালিয়াতি করে। সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ পায়। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ একাই জালিয়াতি করেছে দুই হাজার ৬৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

No comments

Powered by Blogger.